তিনিই এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন
***********************************************************************
অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তির প্রায় এক সপ্তাহ পর দেশে ফিরেছিলেন। হলে হলে যাচ্ছেন, দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন?

খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি, বিশেষ করে শিশুদের কাছ থেকে। তাদের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি ছিল। কলকাতা থেকে ফিরে টানা তিন দিন বিভিন্ন হলে ঘুরছি, শিশুদের সঙ্গে সিনেমা দেখছি। দর্শক হিসেবে ওরা খুব উপভোগ করছে সিনেমাটি।

বাচ্চাদের সঙ্গে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা কেমন?

লায়ন সিনেমাসে দুই শ শিক্ষার্থীর সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন দেখেছি। এর আগে মধুমিতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দেখেছি। তারা কোনো কোনো দৃশ্য হাসে, হাতে তালি দেয়, আবেগপ্রবণ হয়। এসব দেখে অন্য রকমের অভিজ্ঞতা হচ্ছে।

শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও দেখছেন?

শিশুরা যখন সিনেমাটি দেখতে আসছে, তারা তো একা আসছে না। অভিভাবকদের সঙ্গে আসছে। বড়দের জন্য যখন সিনেমা বানানো হয়, তখন শিশুরা সাধারণত দেখার সুযোগ পায় না। কিন্তু এই ছবিটির বেলায় শিশুদের সঙ্গে বড়রাও দেখতে হলে আসছেন। তাঁরা উপভোগও করছেন। ছবির বিভিন্ন দৃশ্য দেখে শিশুরা মজা করছে, তালি দিচ্ছে। শিশুদের সঙ্গে বড়রাও মজা পাচ্ছেন। ছবিটি দেখতে গিয়ে ছোট ও বড়দের সুন্দর মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে।

এক ভিডিও বার্তায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছবিটির জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন...

এটি খুবই ভালো লাগার ব্যাপার। প্রসেনজিতের মতো মানুষ আমার ছবির জন্য কথা বলেছেন। আমি কলকাতার একটি ছবিতে অভিনয় করতে যাচ্ছি। ওই ছবির সহশিল্পী প্রসেনজিৎ। কিছুদিন আগে আমাদের ছবির রিহার্সাল চলছিল, কয়েক দিন একসঙ্গে থাকা হয়েছে। আমার ছবির সঙ্গে কলকাতায় তাঁরও কাবেরী অন্তর্ধান নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। উনিও জানতেন বাংলাদেশে আমার একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। যখন জানলেন, আমার ছবিটি শিশু-কিশোরদের নিয়ে, তখন তিনি আগ্রহী হয়েই কথা বললেন। আমাকে তিনি বললেন, ‘সিয়াম, আমি এখানে বাচ্চাদের “কাকাবাবু” সিরিজের সিনেমা করব। এটি নিয়মিত করব। কারণ, বাচ্চাদের সঙ্গে কাজ করা আলাদা শান্তি আছে।’

কলকাতার ছবির খবর কী?

আগামী মাসে শুটিং শুরু হবে। আপাতত মেকআপ নিয়ে শুটিংয়ের পোশাকে ক্যামেরার সামনে কয়েকটি দৃশ্যের মহড়া করেছি। এটি শুটিংয়ের আগের প্রস্তুতি। উদ্দেশ্য চরিত্রগুলো পর্দায় কেমন লাগবে, তা আগেই মহড়ার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা।

গত বছর ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সাফল্য পেলেও বছরের শেষভাগে সেভাবে কোনো সিনেমা ব্যবসা করতে পারেনি। নতুন বছরের শুরুটা কেমন হলো?

শুরুটা যে মারমার কাটকাট হয়েছে, তা বলব না। তবে সিনেমার মানুষ হিসেবে এতটুকুই বলতে পারি, ভালো গল্প, ভালো কাজের চেষ্টা দিয়ে বছরটা শুরু হলো। কারণ, দর্শক কোন ছবি দেখবেন, কোন ছবি দেখবেন না, সেটি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। ভালো গল্প, ভালো সিনেমা কিন্তু আলাদা আলাদা বিষয়। শুধু সিনেমা ভালো হলেই যে তার ওপর নির্ভর করে দর্শক হলমুখী হবেন, তা নয়। নতুন বছরে ‘ব্ল্যাকওয়ার’ ও ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ নামে দুটি বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একটি অ্যাকশন থ্রিলার, অন্যটি শিশুতোষ সিনেমা। দুটি সিনেমাই মোটামুটি দর্শক দেখছেন। আরও সাড়া পেলে ভবিষ্যতে ভালো ছবি তৈরির তাগিদ বাড়বে।

আর কী কাজ করছেন?

কলকাতার ছবিটির সঙ্গে ‘ইন দ্য রিং’ নামে দেশের বাইরের আরেকটি ছবি করছি। এখন ছবিটির জন্য ভাষাগত প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আপাতত এই ছবি দুটি নিয়ে আগামী দুই মাস আমার ব্যস্ততা।

Source:. প্রথম আলো

image