ইতিহাসে পরিচিত প্রথম ক্যামেরা হল ক্যামেরা অবসকুরা ।
ক্যামেরা অবসকিউরার ধারণাগত বর্ণনা 400 খ্রিস্টপূর্বাব্দের চীনা গ্রন্থে চীনা পণ্ডিত মোজির এবং এরিস্টটলের লেখায় পাওয়া যায়, প্রায় 330 খ্রিস্টপূর্বাব্দে, মোটামুটি 1000 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে। আরব পণ্ডিত ও ইরাকি বিজ্ঞানী এবং লেখক ইবনে আল-হাইথাম (আলহাজেন) দ্বারা ক্যামেরা অবস্কুরার ধারণাটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
ইবনে তার "বুক অফ অপটিক্স" শিরোনামের কাজটিতে এমন একটি প্রক্রিয়া বর্ণনা করেছেন যা অনেক উপায়ে একটি ক্যামেরার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা আধুনিক ক্যামেরার নকশার সাথে জড়িত হাজার মাইল যাত্রা শুরুর সংকেত দেয়। তাই, অনেকে তাকে বৈধ উদ্ভাবক বলে মনে করেন।
ইতিহাসবিদরা সাধারণত স্বীকার করেন যে প্রথম ফটোগ্রাফিক ক্যামেরাটি 1816 সালে ফরাসী জোসেফ নিসেফোর নিপেসের দ্বারা বিকশিত হয়েছিল। 1826 সালের দিকে তিনি তৈরি করেছিলেন প্রাচীনতম বর্তমান ছবি।
দুর্ভাগ্যবশত, Niépce এর ক্যামেরা ভালো বিক্রি হয়নি। তিনি ফটোগুলি তৈরি করার জন্য তার পদ্ধতি প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন, যা স্পষ্টতা এবং ডেপথ অফ ফিল মিস করে।
অবশেষে, 1829 সালে, তিনি লুই-জ্যাক-ম্যান্ডে দাগুয়েরের সাথে একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলেন এবং এই প্রক্রিয়াটিকে নিখুঁত করতে এবং এটিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে দুই ব্যক্তি একসাথে কাজ করেছিলেন। দুঃখজনকভাবে, Niepce 1833 সালে মারা যান এবং Daguerre তার আসল নকশাকে অভিযোজিত করে অর্জিত বিশাল অর্থনৈতিক সাফল্যের সাক্ষী হতে পারেননি।
1871 সালে, রিচার্ড লিচ ম্যাডক্স একটি জেলটিন ড্রাই প্লেট তৈরি করেন যা সংক্ষিপ্ত এক্সপোজার তৈরি করে, বিংশ শতাব্দীর পোলারয়েড ক্যামেরার অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে।
আমেরিকান জর্জ ইস্টম্যান রোল ফিল্ম ক্যামেরার ব্যবহার নিখুঁত না হওয়া পর্যন্ত অ্যানালগ ফটোগ্রাফি তার শীর্ষে পৌঁছেছিল। 1888 সালে, ইস্টম্যান কোডাক নামে একটি বক্স ক্যামেরা বাজারজাত করা শুরু করেন, প্রাথমিকভাবে কাগজের ফিল্ম ব্যবহার করে কিন্তু দ্রুত সেলুলয়েডে রূপান্তরিত হয়। একটি একক কোডাক ক্যামেরা 100টি এক্সপোজারের সাথে এসেছে এবং নিউইয়র্কের রোচেস্টারে ইস্টম্যান কোডাক প্ল্যান্টে তৈরি করতে হয়েছিল।
গতিতে স্থির ছবি তোলার একটি সহজ হাতিয়ার হিসেবে যা শুরু হয়েছিল তা একটি সম্পূর্ণ শিল্প আকারে পরিণত হয়েছে যা জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে।
রঙিন ফিল্ম তৈরির মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরা অবসকুরা থেকে, ক্যামেরার ইতিহাস কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন এবং ধারণার সাথে ধাঁধাঁযুক্ত।
1888 সালে শ্যুট করা প্রথম মোশন পিকচার ছিল রাউন্ডহে গার্ডেন সিন। লুই লে প্রিন্স এবং 4 জন লোকের একটি বাগানে হাঁটার একটি অসাধারণ ডিসপ্লে সহ চোখ ধাঁধানো এই 2.11 সেকেন্ডের সিনেমাটিক মাস্টারপিস তৈরি করেছে।
অনেক ইতিহাসবিদ এবং বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে টমাস এডিসন প্রথম মুভি ক্যামেরা আবিষ্কার করেছিলেন কারণ তিনি 1891 সালে কাইনেটোস্কোপ নামে পরিচিত একটি ডিভাইসের পেটেন্ট পেয়েছিলেন।
28 ডিসেম্বর 1895 সালে প্যারিসে লুমিয়ের ভাইদের দশটি শর্ট ফিল্মের বাণিজ্যিক, সর্বজনীন প্রদর্শনকে প্রজেক্টেড সিনেমাটোগ্রাফিক মোশন পিকচারের যুগান্তকারী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ১৮৯৫ সালে ল্যুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় প্যারিসে বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন।
এই ঘটনার ১৮ বছরের মধ্যেই ১৯১৩ সালের ৩ মে দাদা সাহেব ঢুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে-র (যিনি দাদা সাহেব ফালকে নামে সুপরিচিত) হাত ধরে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা শুরু করে এমন দাবী বলিউডের। সাদাকালো নির্বাক সেই চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘রাজা হরিশচন্দ্র’।
এবার আসুন একটা ছক করি কিছু ব্যাপার মাথায় রেখে-
০১. প্রথম চলমান ছবি প্রদর্শনের জন্য তাদের স্ব-নির্মিত বায়োস্কোপ ব্যবহার করেছিলেন ম্যাক্স এবং এমিল স্ক্লাডনোস্কি 1 নভেম্বর 1895 জার্মানির বার্লিনে।
০২. লুমিয়ের ভাইদের দশটি শর্ট ফিল্মের বাণিজ্যিক, সর্বজনীন প্রদর্শনকে প্রজেক্টেড সিনেমাটোগ্রাফিক মোশন পিকচারের যুগান্তকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়, 28 ডিসেম্বর 1895 সালে প্যারিসে।
০৩. শীঘ্রই সারা বিশ্বে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা এবং স্টুডিও প্রতিষ্ঠিত হয়।
০৪. প্রযুক্তিগত উন্নতি দৈর্ঘ্য যুক্ত করেছে (1906 সালে একটি ফিচার ফিল্মের জন্য 60 মিনিটে পৌঁছেছে ). যখন প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিচার ফিল্ম মুক্তি পায়, দ্য স্টোরি অফ দ্য কেলি গ্যাং, যা অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্নে চিত্রায়িত হয়েছিল।
|
তার মানে, ভারত উপমহাদেশের তথা বিশ্বের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং এ উপমহাদেশের প্রথম তথ্যচিত্র নির্মাতা, বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শক হিসেবে যাঁর নামটি সবার আগে আসা উচিত তিনি এক জন বাঙালি, হীরালাল সেন (১৮৬৬-১৯১৭)।
১৮৯৮ সালে হীরালাল সেন প্রতিষ্ঠিত দ্য রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানিকে বাংলা চলচ্চিত্র তথা উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের সূতিকাগার বলে মনে করা হয়। দ্য রয়্যাল বায়োস্কোপ বেশ কিছু নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র র্নির্মাণ করে। হীরালালের তৈরি তথ্যছবি “Anti-Partition Demonstration and Swadeshi Movement at the Town Hall, Calcutta on 22nd September 1905″ উপমহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বলে গণ্য করা হয়। ১৯১৭ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে তাঁর তৈরি সকল চলচ্চিত্র নষ্ট হয়ে যায়।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার চলচ্চিত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে উৎপত্তি হয় আজকের সেন্সরবোর্ড কথাটা।
তাহলে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন নাকি দাদাসাহেব ফালকে?
ভারতীয়দের আজ সিনেমা এনে দিয়েছিলেন একজন বাংগালী স্বপ্নদ্রষ্টা তরুন যার জন্ম তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ মহকুমার বগজুড়ি গ্রামে। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর ফটোগ্রাফীর প্রতি অসীম আগ্রহ এবং আগ্রহ থেকে অধ্যবসায়। ১৮৮৭- ১৮৯৮ সালের মধ্যে ফটোগ্রাফি চর্চায় শ্রেষ্টত্বের জন্য হীরালাল সাতবার স্বর্ণপদক পান।
ইউরোপে চলচ্চিত্র আবিষ্কারের সংবাদে তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে হীরালাল সেন তার ভাই মতিলাল এবং দেবকীলাল সেন সহ ভোলানাথ গুপ্তের সহযোগিতায় ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে নিজস্ব চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা দ্য রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি বাংলার তথা ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা গড়ে তোলেন। সূচনা লগ্নে তিনি লন্ডনের ওয়ারউইক ট্রেডিং সংস্থা থেকে কেনা একটি আরবান বায়োস্কোপ ব্যবহার করেছিলেন।
১৯০১ সালে ক্লাসিক থিয়েটার চিত্রায়িত করে কিছু বাংলা নাটকের দৃশ্য। এর মধ্যে ছিল সীতারাম, হরিপদ,ভ্রমর, সরলা,দোলযাত্রা, বন্ধু ইত্যাদি।
১৯০১ সালে ১৩ ডিসেম্বর ব্যবসায়িকভাবে চিত্র প্রদর্শনী শুরু করে। তা দেখার জন্য আসে প্রধান বিচারপতি স্যার উইলিয়াম ম্যাকমিলান। ১৯০১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী তাঁর চলচ্চিত্রায়িত আলিবাবা নাটকের মর্জিনা আবদাল্লার নৃত্য দৃশ্যের চলচ্চিত্র রূপ প্রদর্শন করে ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ১৯০১-১২ সালের মধ্যে তিনি ১২টি কাহিনী, ৩০টি সংবাদ চিত্র এবং ৩টি প্রচার চিত্র নির্মাণ করেন, যেগুলোর দৈর্ঘ্য ৫০ থেকে ২৫০ ফিট পর্যন্ত ছিল”।
গবেষণায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে হীরালাল সেন শুধু অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশেরই নন, সমগ্র এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলেরও প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রকার।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জনমানসকে সচেতন ও আধুনিকমনস্ক করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। বিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে বাংলাদেশ ও তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের প্রত্যন্ত শহর ও গ্রামাঞ্চল নির্বিশেষে অভিজাত, মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনসাধারণের মধ্যে চলচ্চিত্র দেখিয়ে আধুনিকতা, দেশাত্মবোধ ও রাজনৈতিক চেতনা সৃষ্টি করে উপমহাদেশে সত্যিকারের বিকল্পধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনেরও জন্ম দেন। সেই সময়ের পৃথিবীতে হীরালাল সেন ছাড়া দ্বিতীয় এমন কোনো চলচ্চিত্রকার ছিলেন না, যিনি চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশে এককভাবে এমন বহুবিচিত্র, সৃজনশীল ও বর্ণাঢ্য ভূমিকা পালন করেছেন। এসব কারণেই আমার বিবেচনায় তিনিই ইউরোপ এবং আমেরিকার বাইরে (এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের) পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রকার।
বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের কয়েকটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত ও মাইলফলক স্থাপন করেছিলেন হীরালাল সেন।
প্রথমত – ১৯০৩ সালে হীরালাল সেন নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বের প্রথম পূর্ণদের্ঘ্য চলচ্চিত্র – আলিবাবা। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানির প্রযোজনায় নির্মিত হয় চলচ্চিত্রটি। এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল (প্রভাত, ৩৫)।
দ্বিতীয়ত – তিনি পৃথিবীর প্রথম রাজনৈতিক চলচ্চিত্র – Grand Patriotic Film (১৯০৫) নির্মাণ করেন (ঘোষ, ২০১১, পৃ ১)। তাঁর তৈরী তথ্য ছবিঃ Anti- partition Demonstration and Swadeshi movement at the Town hall, Calcutta on 22nd September 1905, ভারতের প্রথম রাজনীতিক চলচ্চিত্র বলে গণ্য করা হয়।
১৯০৫ এর এ ছবির বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল – “আমাদের নিজেদের স্বার্থে খাঁটি স্বদেশী সিনেমা” ছবির শেষ গাওয়া হয়েছিল “বন্দে মাতরম”
তৃতীয়ত – তিনি প্রথম সংবাদভিত্তিক তথ্যচিত্র – The Visit Film (১৯১২) নির্মাণ করেন। এই চলচ্চিত্রই ইতিহাসে প্রথম চলচ্চিত্র, যা রাজনৈতিক কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় (সজল, পৃ ২৪৬)। বিশ্বচলচ্চিত্র ইতিহাসে অনুলিস্নখিত এ-তিনটি বিষয় তাই গুরুত্বসহ আলোচনার বিশেষ দাবি রাখে।
চতুর্থত - হীরালাল সেনকে উপমহাদেশের বিজ্ঞাপনের জনক বলা হয়। তাঁর তৈরী বিজ্ঞাপন চিত্র হলো এডওয়ার্ডস টনিক, জবাকুসুম হেয়ার ওয়েল। তাঁর আগে কেউ ভারতে বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরী করে নি।
হীরালাল সেন মারা যান ১৯১৭ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। মৃত্যুর আগে হীরালাল অনেক দুর্গতি আর অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এলফিনস্টোন বায়োস্কোপ কোম্পানীর জামশেদজি ফ্রেমজি ম্যাডান তার থেকে অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করেন।
চলচ্চিত্র-গবেষক সৈকত আসগর, প্রভাত মুখোপাধ্যায়, কালীশ মুখোপাধ্যায়, সজল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের গবেষণামূলক কাজের তথ্য-উপাত্ত থেকে এ পর্যন্ত হীরালাল সেন-নির্মিত বিজ্ঞাপনচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য, পূর্ণদৈর্ঘ্য, রাজনৈতিক চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র সব মিলিয়ে মোট পঞ্চান্নটি চলচ্চিত্রের নাম উদ্ধার করা গেছে। তবে সম্প্রতি চলচ্চিত্র-গবেষক অনুপম হায়াৎ উলেস্নখ করেছেন – হীরালাল সেন ১৮৯৮ থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রায় একশ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
১৯১৭ সালের এক অগ্নিকাণ্ডে তার তৈরি সমস্ত ছবি ও নথিপত্র নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে দাদাসাহেব ফালকের অবদানের স্বীকৃতিতে ভারত সরকার ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এই পুরস্কার প্রচলন করে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলে পরিচিত দাদাসাহেব ফালকে এরপর প্রায় চব্বিশ বছর ধরে ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। যার শুরু ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হরিশচন্দ্র নামক ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যার ১০ বছর আগে হীরালাল সেন করেছেন।
হীরালাল সেন উপমহাদেশে একাধারে প্রথম কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপনচিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তিনিই এদেশের প্রথম চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শক, আমদানিও রফতানিকারক। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, উদ্ভাবক এবং চলচ্চিত্র-বিজ্ঞানী।
আপনার কি মনে হয়? ইতিহাস আর অবদানের মূল্যায়ন কি আমাদের ঠিক দিকে নিয়ে যাচ্ছে? নাকি এখনো বর্ণ, গোত্র, ভৌগলিকভাবে আমরা আজো সংকীর্ণ!