অনেকেরই সারাবছর ত্বকের তৈলাক্ত সমস্যা থাকে। তবে গরমে আর বর্ষায় এই সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সারাক্ষণ তেল চিটচিটে ভাব ত্বকে ধুলোবালি জমে ব্রণ, ফুসবুড়ির সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যাওয়ার সমস্যা তো আছে। ত্বক যত তৈলাক্ত হবে, ততই কালচে ভাব বাড়বে।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. সাবান নয়, মৃদু ফেইস ওয়াশ বা ক্লিঞ্জার দিয়ে দিনে দুতিনবার মুখ পরিষ্কার করা উপকারী। নিম, তুলসি ও হলুদের নির্যাস সমৃদ্ধ পরিষ্কারক ব্যবহার করতে হবে।
২. ত্বকের উপরিভাগ থেকে ময়লা, বিষাক্ত উপাদান, মৃত কোষ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বলভাব ফুটিয়ে তুলতে মৃদু এক্সফলিয়েশন বা কোমলভাবে ঘষা প্রয়োজন। তৈলাক্ত ত্বকের চিটচিটেভাব কমাতে এক্সফলিয়েট করা জরুরি।
৩. নিম ও তুলসির তৈরি ফেইস স্ক্রাব বাড়তি তেল ও ময়লা দূর করে ত্বক মসৃণ করতে সহায়তা করে।
৪. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে ইউভিএ এবং ইউভিবি সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করা উচিত।
৫. অনেকের ধারণা ,তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, এটা ঠিক নয়। সব ধরনের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমে এবং উজ্জ্বলভাব ফুটে ওঠে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন, এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে।
৬. সাধারণত বৃষ্টি ও ঘামে মেইকআপ গলে যায়। বাইরে যাওয়ার সময় খুব বেশি মেইকআপ ব্যবহার করা ঠিক নয়। হালকা মেইকআপই ত্বকের জন্য যথেষ্ট। ত্বক ভালো রাখতে হালকা ও পানিরোধী মেইকআপ ব্যবহার করা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে মেইকআপ তুলতে তুলসী ও নিম সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। এতে ব্রণ ও লোমকূপ আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
Linkeei Official
192 Blog posts