কানে ব্যথা হয় সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে। পুরনো সর্দিকাশি থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। আবার গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে গিয়েও টনটন করতে পারে। কানে ব্যথা কমাতে হলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে। সংক্রমণ কমাতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তার আগে প্রচণ্ড যন্ত্রণা কমিয়ে একটু স্বস্তি পেতে পারেন ঘরোয়া উপায়ে। যেমন
গরম সেঁক : কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতে আরাম পাওয়া যায়। এতে কানের ভিতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথাও কম অনুভূত হবে। গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে দুই মিনিট রাখুন। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
ভিনেগার সলিউশন : ভিনেগারের অ্যাসিড কানের সংক্রমণ কমাতে পারে। সম পরিমাণে সাদা ভিনেগার আর রাবিং অ্যালকোহল নিন একটা পাত্রে। ড্রপার দিয়ে সংক্রমিত কানে দু' তিন ফোঁটা দিন। পাঁচ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন । তারপর আগের মতোই মাথা অন্যদিকে কাত করে তরলটা কান থেকে বের করে দিন।
কান শুকনো রাখুন : গোসলের সময় কোনোভাবে যেন কানে পানি ঢুকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে। গোসল করতে যাওয়ার আগে কানে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখানো তুলো গুঁজে নিন।
কান খোঁচাবেন না : কানে ব্যথা হলে আমাদের প্রথম প্রবণতাই হয় খোঁচাখুঁচি করার। তাতে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানে কোনওরকম ইয়ারবাড, দেশলাই কাঠি, সেফটিপিন জাতীয় জিনিস ঢোকাবেন না, তাতে সমস্যা আরও জটিল হবে।
রসুনের তেল: অল্প অলিভ অয়েলে এক কোয়া রসুন অল্প থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু'তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।
নিমের রস : নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে থেঁতো করে নিন। নিমপাতার এই রসটা কানে দিতে পারেন। অথবা নিমের তেলে তুলো ভিজিয়ে নিংড়ে কানে কয়েক মিনিট দিয়ে রাখুন। নিমে ব্যথা কমানোর গুণ রয়েছে যা কান ব্যথাতেও ফল দেয়।
মনে রাখবেন, কানে যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে, তা হলে এসব ঘরোয়া সমাধান সাময়িক আরাম দেবে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। কিন্তু তা কোনোভাবেই চিকিৎসার বিকল্প নয়। তাই ব্যথা সাময়িক কমে গেলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
Linkeei Official
192 blog posts