ডেঙ্গু মোকাবিলায় কী করবেন

চারদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। অন্যান্য ভাইরাল অসুখের মতোই ডেঙ্গুও একধরনের ‘খারাপ’ ভাইরাস। সাধারণত এ

চারদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। অন্যান্য ভাইরাল অসুখের মতোই ডেঙ্গুও একধরনের ‘খারাপ’ ভাইরাস। সাধারণত এডিস মশা কামড়ানোর ৬-১৮ ঘণ্টার মধ্যে উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

জ্বর, সারা শরীরে ব্যথা, চোখের পিছনের অংশে ব্যথা , বিভিন্ন গাঁটে অসহ্য যন্ত্রণা এই অসুখের সাধারণ লক্ষণ। অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের চেয়ে ডেঙ্গুর পার্থক্য হলো, এই অসুখে অসহ্য ব্যথা হয়। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সবারই যে উচ্চ জ্বর থাকবে তা নয়। অনেকেরই শরীরের তাপমাত্রা ১০০-১০১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। পুরোটাই নির্ভর করবে ইমিউনিটি সিস্টেমের উপর। তবে জ্বর নয়, জ্বরের আনুষাঙ্গিক উপসর্গগুলোই ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে চিন্তাজনক। মাংসপেশি, গাঁটে ব্যথা, চোখের পিছনে অসহ্য ব্যথা, ত্বকের বিভিন্ন অংশে কালসিটে পড়লে বা ব্রাশ করার সময়ে মাড়ি থেকে রক্তপাত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  লক্ষণ দেখা যাওয়ার এক-দু’দিনের বেশি অপেক্ষা করা উচিত নয়। ডেঙ্গুর জন্য কোনও অ্যান্টি-ভাইরাল নেই। জ্বরের মোকাবিলায় সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখা। ডেঙ্গু জ্বর হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া খুব জরুরি। ডেঙ্গু  ভাইরাস শরীরের রক্তনালীতে লিকেজ তৈরি করে। ফলে, শরীরের মধ্যে পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আর শরীর ফুলে ওঠে। পানিশূন্যতা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছলে এমনটা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট কাউন্ট জরুরি। দিনে দু’বার ব্লাড কাউন্ট চেক করা প্রয়োজন। সাধারণভাবে একজন সুস্থ মানুষের প্লেটলেট কাউন্ট থাকে দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। যদি প্লেটলেট কাউন্ট ২০ হাজারের নীচে না নামে তাহলে ব্লিডিংয়ের আতঙ্ক সাধারণত থাকে না। ফলে,ডেঙ্গু হলে অযথা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যদি কাউন্ট ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তাহলে হাই ডিপেন্ডেন্সি কেয়ার ইউনিটে রোগীকে স্থানান্তরিত করতে হতে পারে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় যা করণীয়-

১. ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথমেই প্রয়োজন মশা যাতে না কামড়ায় সেই চেষ্টা করা

২. বাড়ির চারপাশটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন

৩.মসকিটো রিপেলেন্ট ক্রিম ব্যবহার করুন

৪. শোওয়ার সময়ে মশারি ব্যবহার করুন

৫. দুর্বলতা কাটাতে বিশ্রাম আর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে

৬. শরীরকে পর্যাপ্ত প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের জোগান দিতে হবে

৭. খুব তেলমসলা বা ঝালযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়

৮. চিকেন ব্রথ, সুপ জাতীয় খাবার খেতে পারেন এসময়ে


Linkeei Official

192 Blog posts

Comments