মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়,তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।
এই সময বিদ্যুৎ খরচ কমাতে যা করবেন-
যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
লাইটের উপর বিদ্যুতের বিল অনেকটা নির্ভর করে। কত পাওয়ারের লাইট কিনছেন তাতে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হবে জেনে রাখবেন। পারলে সিলিং কিংবা দেওয়ালের লাইট কম ব্যবহার করবেন।
চার্জার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন কিংবা মাইক্রোওয়েভের মতো জিনিস ব্যবহার করার পর প্লাগ লাগিয়ে রাখবেন না। কাজ হয়ে গেলে তা খুলে রেখে দিন।
পুরনো ডেস্কটপের বদলে ল্যাপটপের ব্যবহারে জোর দিন। বিদ্যুতের সাহায্য ছাড়াও কিছুক্ষণ ল্যাপটপ চালাতে পারবেন। সেই সময়টুকু বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
ওয়াশিং মেশিনে গরম পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে অনেকটা কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একইভাবে ইস্ত্রি করার আগে জামাকাপড় ভালো করে শুকিয়ে নেবেন। তাতে কম সময়ে কাজ হয়ে যাবে।
টেলিভিশন পুরনো হয়ে গেলে তা বদলে ফেলুন। এখন বিভিন্ন সময়ে অদল বদল অফার পাওয়া যায়। পুরনো টিভিতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এরপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে বাড়ির ওয়্যারিং সিস্টেম এবং আর্থিং অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানকে দেখিয়ে নিতে পারেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে বিনা কারণে পাখা, লাইট, এসি, ফ্রিজ, ইন্ডাকশন, মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে রাখবেন না।
Linkeei Official
192 Blog posts