মহাজাগতিক বিস্ফোরণের রহস্য জানাবে এআই
***********************************************************************
গোয়েন্দা উপন্যাসের জনপ্রিয় চরিত্র শার্লক হোমস বা প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা ম্যাগনিফাইং গ্লাসের মাধ্যমে অজানা নানা রহস্যময় ঘটনার সমাধান করতেন। আজ থেকে শত শত বছর আগে ইতালির প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলি টেলিস্কোপ দিয়ে দূর নক্ষত্রের গতিবিধি জানার চেষ্টা করতেন। এরপরে সময় যত গড়িয়েছে, ততই মহাবিশ্বের রহস্য জানার নতুন নতুন মাধ্যম তৈরি হয়েছে। এবার মহাজাগতিক বিস্ফোরণের রহস্য বিশ্লেষণ করতে বিশেষ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বর্তমানে এআই মডেলের মাধ্যমে সুপারনোভার বিস্ফোরণের সিমুলেশন তৈরি করছেন। সুপারনোভাকে বাংলায় অতি নবতারা বলা হয়। সুপারনোভা বা অতি নবতারা হলো শক্তিশালী ও আলোকিত নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ। এই সুপারনোভা কেন বা কীভাবে হয়, তা জানাবে এআই মডেলটি।
গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী মার্ক ম্যাজি জানান, সাধারণত সুপারনোভা নিয়ে গবেষণার সময় সেগুলোর বর্ণালি বিশ্লেষণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর তীব্রতা থেকে সুপারনোভার উপাদান জানার চেষ্টা করা হয়। সুপারনোভার প্রতিটি উপাদান বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো তৈরি করে বর্ণালি তৈরি করে। আমরা মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে এআই অ্যালগরিদমকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ফলে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরণে ধরন সম্পর্কে শিখছে এআই। এর মাধ্যমে সুপারনোভার সিমুলেশন তৈরি করা হবে। এখনো এআই দিয়ে সুপারনোভার বিস্ফোরণ বিশ্লেষণের অনেক কাজ বাকি আছে।
প্রাথমিকভাবে এআই মডেলের মাধ্যমে সুপারনোভা বিশ্লেষণ করতে প্রায় ৯০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়। ভবিষ্যতে এআই ব্যবহার করে হাজার হাজার সুপারনোভা মডেলকে এক সেকেন্ডের কম সময়ে বিশ্লেষণ করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এআইয়ের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় আরও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে।
সূত্র: বিবিসি ও ফিজিস ডট অর্গ
source : প্রথম আলো