ছয় পায়ের কুকুর
***********************************************************************
নিজেদের কুকুর মারা যাওয়ার পর তখনো শোকে কাতর অলি বার্ডের পরিবার। এই অবস্থায় তাঁদের ঘরে ছয় পায়ের একটি কুকুর আসে। কুকুরটিকে কে বা কারা একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। ছয় পায়ের অ্যারিয়েল এখন নতুন পরিবারে গিয়ে বেশ ভালোই আছে।

গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার শহরের বিঅ্যান্ডএম দোকানের সামনে অ্যারিয়েলকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অলি বার্ড পোষ্য হিসেবে নেওয়ার আগে কুকুরটিকে বিঅ্যান্ডএম দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার করে গ্রিনঅ্যাকর রেসকিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ছয় পায়ের পাশাপাশি ককার স্প্যানিয়েল জাতের কুকুরটির কিডনি একটি।

উদ্ধারের সময় কুকুরটির বয়স ছিল ১১ সপ্তাহ। তখন স্বাভাবিকভাবে বেওয়ারিশ কুকুরটির নাম কী, তা জানার উপায় ছিল না। নিজেরা পোষ্য নেওয়ার পর ডিজনির চলচ্চিত্র ‘লিটল মারমেইড’-এর একটি চরিত্রের নামে অলি বার্ড কুকুরটির নাম রেখেছেন অ্যারিয়েল।

৪০ বছর বয়সী অলি বার্ড ওয়েলসের ফ্রেশওয়াটার ওয়েস্ট শহরে থাকেন। পশ্চিম ওয়েলসে তিনি একটি সার্ফিং স্কুল পরিচালনা করেন। পোষা কুকুর হারিয়ে তাঁর পরিবার বেশ মন খারাপ অবস্থায় ছিল। এমন সময়ে তাঁর পরিবারে এল অ্যারিয়েল।

বার্ড জানান, অ্যারিয়েল তাঁদের ঘরে আসার মাত্র ২ দিন আগে ১৬ বছরের বয়সী পোষা কুকুরটি মারা যায়। ১৩ বছর আগে ফ্রেশওয়াটার ওয়েস্ট সমুদ্রসৈকত থেকে কুকুরটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন তিনি। কুকুরটির হঠাৎ মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের সবারই মন খারাপ হয়।

কুকুরটি হারিয়ে তাঁদের মন এতটাই খারাপ ছিল যে সে কথা জানাতে গিয়ে বার্ড বলেন, ‘আমাদের আর কোনো কুকুর পোষার পরিকল্পনা ছিল না। কারণ, এভাবে পোষা কুকুর মারা যাওয়াটা অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু একটা সময় কুকুর ছাড়া আমাদের ঘর খালি খালি লাগছিল। এ অবস্থায় আমরা একটি পোষা কুকুর নিতে গ্রিনঅ্যাকরে আবেদন করি।’

এরপর গ্রিনঅ্যাকর থেকে বার্ডের পরিবারকে অ্যারিয়েলের সন্ধান দেওয়া হয়। কুকুরটি সম্পর্কে জেনে তাঁদের আগ্রহ বেড়ে যায়। দেরি না করে তাঁরা কুকুরটিকে নিজেদের বাসায় নিয়ে আসেন।

অ্যারিয়েল যেহেতু অসুস্থ ছিল, তাই সেটার চিকিৎসার জন্য অর্থের দরকার ছিল। তাই কুকুরটি পরিত্যক্ত হওয়ার কথা জানাজানির পর চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। পরে অ্যারিয়েলের অস্ত্রোপচার করা হয়। অ্যারিয়েলের চিকিৎসায় এমন সহায়তা পাওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বার্ড পরিবার।

বার্ড জানান, অ্যারিয়েল এখন দিব্যি সুস্থ। কুকুরটি তাঁদের সঙ্গে সব জায়গায় যায়। স্ত্রী কুকুরটি ভালোভাবে হাঁটতে পারলেও কিছুদূর যাওয়ার পর একটু থামতে হয়। তবে সে সাগরে সাঁতার ও সার্ফিং করা থেকে শুরু করে সবকিছু করতে পারে।

source : প্রথম আলো

image