নেপালে নতুন জোট সরকার হচ্ছে
***********************************************************************
নেপালে নতুন জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে। নতুন এই সরকারের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। গতকাল শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর নতুন সরকার গঠনের পথ খুলেছে।

এর মধ্য দিয়ে নেপালে ২০ মাস ধরে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানো হয়। এর পর থেকে গণতান্ত্রিক নেপালে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা। কে পি শর্মা অলি নতুন সরকার গঠন করলে সেটা হবে ২০০৮ সালের পর দেশটিতে গঠন করা ১৪তম গণতান্ত্রিক সরকার।

নেপালের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সব সময় বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কড়া নজরদারিতে থাকে। হিমালয়ঘেঁষা নেপালে এই দুই দেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। দিল্লি ও বেইজিং নেপাল ও নেপালের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চায়।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলের সরকারের ওপর থেকে গত সপ্তাহে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি।

এরপর পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলের সামনে দুটি বিকল্প খোলা ছিল—হয় তাঁকে সরকারপ্রধানের পদ ছাড়তে হবে, নতুবা পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পুষ্পকমল দহল দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নিয়ে ব্যর্থ হন।

নেপালের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সব সময় বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কড়া নজরদারিতে থাকে। হিমালয়ঘেঁষা নেপালে এই দুই দেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। দিল্লি ও বেইজিং নেপাল ও নেপালের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চায়।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলের সরকারের ওপর থেকে গত সপ্তাহে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি।

এরপর পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলের সামনে দুটি বিকল্প খোলা ছিল—হয় তাঁকে সরকারপ্রধানের পদ ছাড়তে হবে, নতুবা পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পুষ্পকমল দহল দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নিয়ে ব্যর্থ হন।

স্পিকার দেব রাজ ঘিমিরি ভোট গণনা শেষে বলেন, আস্থা ভোটে পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকার গঠন করেছিলেন পুষ্পকমল দহল। তখন তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। এরপর সরকার টেকাতে তাঁকে তিনবার জোটসঙ্গী বদলাতে হয়। আর পাঁচবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়। গতকাল পঞ্চমবারের অনাস্থা ভোটে হেরে যান তিনি।

ইউএমএল পার্টির আইনপ্রণেতা যোগেশ ভট্টরাই গতকাল বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে নতুন জোট সরকারের প্রয়োজন ছিল।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে গতকাল এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল বলেন, কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের জোটের অবস্থান গণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে।

নেপালি কংগ্রেস দেশটির পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউএমএল। এই দুটি দল এখন নেপালে জোট সরকার গড়বে।

source : প্রথম আলো

image