পুরুষ জলহস্তী কেন নিজ ছেলেকে হ*ত্যা করে?
একবার ভাবুন প্রায় ২৪৩ দিন গর্ভধারণ শেষে একটি জলহস্তী মা জন্ম দেয় তার সন্তানকে। কিন্তু যদি সন্তানটি ছেলে হয়, তবে শুরু হয় এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। বাবা জলহস্তীই হয়ে ওঠে তার প্রাণনাশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি!
🔒 মায়ের অশান্তি ও পরিবারের সতর্ক পাহারা:
ছেলে সন্তান জন্মের পর পরিবারজুড়ে তৈরি হয় এক অজানা আতঙ্ক। পিতার আক্রমণ থেকে তাকে রক্ষার জন্য পরিবার তাকে সর্বক্ষণ পাহারা দিয়ে রাখে। কারণ, পিতা সারাক্ষণ খুঁজে ফেরে সুযোগ—নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার।
🦛 জলহস্তীর সমাজব্যবস্থা:
ডাঙায় বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে জলহস্তী আকারে তৃতীয় বৃহত্তম। সাধারণত এক একটি দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে, যার মধ্যে মাত্র একজনই পুরুষ, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের একক শাসক—তার 'রাজত্ব' অক্ষুণ্ণ রাখাই তার প্রধান লক্ষ্য। তাই দল বা হেরেমে আর কোনো পুরুষকে সে সহ্য করতে পারে না।
👦 তাই যদি সন্তান ছেলে হয়...
পুরুষ জলহস্তী ভাবে—এই ছোট ছেলেটিই ভবিষ্যতে তার জন্য রাজনৈতিক হুমকি। একদিন বড় হয়ে সে-ই হয়তো ক্ষমতা কেড়ে নেবে। তাই জন্মের পরপরই সুযোগ পেলেই ছেলেকে হত্যা করে ফেলে। বিশেষ করে, যদি সন্তান বাবার সামনে আত্মসমর্পণ না করে বা বশ্যতা না মানে।
😔 যদি বেঁচে যায়...
যদি মা ও পরিবার সন্তানের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়, তবে অনেক কষ্টে লুকিয়ে তাকে বড় করতে হয়। তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তখন শুরু হয় পিতা-পুত্রের রক্তক্ষয়ী লড়াই, যার শেষ হয় হয় কারও মৃত্যুতে, নয়তো দল ত্যাগে।
📚 এমন প্রবণতা শুধু জলহস্তীতেই নয়...
প্রকৃতির আরো কিছু প্রাণীর মধ্যেও এমন আচরণ দেখা যায়। তবে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।
