গতকাল সন্ধার পর আমার গ্রামের একজন মহিলাকে সা'পে কা'টে।ইঁদুরের গর্তের পাশ দিয়ে তিনি হেঁটে গিয়ে ছিলেন।আমি শুনে রোগীর বাড়িতে যাই।যাওয়ার পর ছবি তুলে এই গ্রুপে এটা কিসের কামড় জানতে চেয়ে পোস্ট করি।আর রোগীর আত্মীয় স্বজনকে অতি দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেই।তারা দ্রুত হবিগঞ্জ সদরে নিয়ে যায়।
২ ঘন্টার মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে। ডাক্তার রোগীর রক্ত পরীক্ষা করার পর রক্তের মধ্যে নাকি কোন বি'ষধর সাপের বি'ষ পায়নি। ২য় বার আক্রান্ত স্থানের আশেপাশে থেকে রক্ত নেয় তারপরও বি"ষের উপস্থিত পায়নি। মানে তারা রক্ত জমাট বাধতে দেখেনি। তাদের জিজ্ঞেস করছে প্রয়োজনীয় ঔষধ আছে কিনা এন্টিভেনম আছে কিনা।
তারা নাকি বলছে প্রয়োজনীয় ঔষধ আছে। কিন্তু এন্টিভেনম দিতে অস্বীকার করে এবং রোগীর আত্মীয় স্বজনদের বলে বি"ষধর সাপের কামড়ের বি"ষ রক্তে না থাকলে এন্টিভেনম দিলে রোগী মারাও যেতে পারে।তাই দেয়নি। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখে। রোগীর পায়ে বাধ ছিল রোগী বারবার বলতেছিল বাধের নিচে বেশি ব্যাথা।
রাত ১২ টার দিকে রোগীর বাধ খুলে দেওয়া হয় ডাক্তারের পরামর্শে।ডাক্তারের ধারণা এই বাধের কারণে হয়তো বেশি ব্যথা করছে কিন্তু বাঁধ খুলে দেওয়ার পরই রোগী ঢলে পড়ে তখন ডাক্তার আসলে প্রয়োজনীয় এন্টিভেনম প্রস্তুত করতে করতেই রোগী মা"রা যায়।
আজকে ইঁদুরের গর্ত খুঁজে ২ টি প্রাণঘাতী বি"ষধর সাপ পদ্মা গোখরো পাওয়া যায়।
ডাক্তারে কী পরীক্ষা করলো বি"ষের উপস্থিত পায়নি রক্তে।
আজ যদি সঠিক সময়ে এন্টিভেনম দিতে রোগী হয়তো বেঁচে যেতো।
আমরা কেমন দেশে বাস করি।যেখানে সব জায়গায় অন্যায় দূর্নীতি।
🚨বেশি করে শেয়ার করুন এমন দুর্নীতি যেন আর কারো সাথে না হয় সবাই সচেতন থাকুন।
