মা হওয়া কখনই সহজ নয়।
মা হতে গেলে একজন নারীকে নিজের আরাম, ঘুম, স্বপ্ন—সবকিছু ত্যাগ করতে হয়।
নরমাল ডেলিভারি হোক বা সিজারিয়ান—দু’টো ক্ষেত্রেই একজন মাকে জীবনের সাথে লড়াই করতে হয়।
কিন্তু অনেকেই সিজারিয়ান ডেলিভারিকে খুব হালকাভাবে নেন।
আপনারা যদি তাদের একজন হয়ে থাকেন, তাহলে একটু জেনে রাখুন:
সিজারিয়ান হলো একমাত্র সার্জারি যেখানে—
🔹 সাতটি স্তর টিস্যু কাটা হয়
🔹 মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই একজন মাকে উঠে দাঁড়াতে হয়
🔹 সাথে সাথেই তাকে আরেকটি জীবনের দায়িত্ব নিতে হয়
🔹 জরায়ুর তীব্র সংকোচন, বুক ভারি হওয়া, দুধ চলাচল, হরমোনের পরিবর্তন—সব একসাথে সামলাতে হয়
এমনকি নিজের সেলাই শুকানোর আগেই, রাত জেগে সেই মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান।
আপনি যদি একজন সিজারিয়ান মা হন—তাহলে জেনে রাখুন, আপনি আপনার কল্পনার থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী।
নিজেকে নিয়ে গর্ব করুন। কারণ আপনি নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে আরেকটি জীবন পৃথিবীতে এনেছেন।
শিক্ষা : আমরা সন্তানরা কি সেটা মনে রাখি?
যখন সেই মা বৃদ্ধ হয়ে পড়েন, হাঁটতে পারেন না, চোখে কম দেখেন—তখন আমরা কী করি?
🔹 আমরা কি তার সেই কাটার দাগ ভুলে যাই?
🔹 আমরা কি তার নিদ্রাহীন রাতের মূল্য দিতে পারি?
🔹 নাকি বৃদ্ধাশ্রমই হয় তার শেষ আশ্রয়?
ভাবুন—আপনার হাসি, আপনার প্রাণ, আপনার জীবন—এর পেছনে কার অশ্রু, রক্ত, ব্যথা লুকানো ছিল?
সম্মান দিন। ভালোবাসুন। যত্ন নিন।
কারণ মা—জীবনে একবারই মেলে, বিকল্প হয় না।