একদা ছিল এক শিকারী কুকুর, যার ডাকনাম ছিল 'স্টাকি' (Stuckie)। ১৯৮০ সালে তাকে একটি ওক গাছের গুড়ির ভেতরে মমি অবস্থায় পাওয়া যায় যেখানে প্রায় ৬০ বছর আগে সে আটকে পড়ে মারা গিয়েছিল। মর্মান্তিক ঘটনাটি তখন আবিষ্কৃত হয়, যখন জর্জিয়া ক্র্যাফট কর্পোরেশন নামক একটি কাঠ কোম্পানি গাছটি কাটার সময় এর কাণ্ডের ভেতর ওই কুকুরটির মৃতদেহ আবিষ্কার করে।
ধারণা করা হয়, কুকুরটি কোনো শিকারকে ধাওয়া করছিল এবং সেটিকে অনুসরণ করতে গিয়ে গাছের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু এরপর আর বের হতে পারে নি। পেরে সে সেখানেই আটকে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে।
এখন প্রশ্ন হলো এত বছর পরও কিভাবে কুকুরটির নিখুত দেহ পাওয়া গেল?
গাছের কাণ্ডের ভিতরের পরিবেশ, জল ও বায়ুমুক্ত হওয়ার কারণে ১৯২০ এর দশকে মৃত কুকুরটির শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছিল । তাছাড়া ওক গাছের ছালের মধ্যে থাকা ট্যানিন উপাদান সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এটি আর্দ্রতা হ্রাস করে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বংশবিস্তারে বাধা দেয়। জৈব নৃতত্ত্ববিদ ক্রিস্টিনা কিলগ্রোভের মতে, এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটিই স্টাকি’র শরীরের অপ্রত্যাশিত রকমের সংরক্ষণের ব্যাখ্যা দেয়। সেই কাঠের গুড়িসহ স্টাকিকে জর্জিয়ার Museum of the Southern Forest-এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।