লেয়ান্দ্রো ডি সুজা, যিনি একসময় ব্রাজিলের সবচেয়ে বেশি ট্যাটু করা মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তার গল্পটা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।
তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশে ছিল ১৭০টিরও বেশি ট্যাটু, এমনকি তাঁর মুখেও। বছরের পর বছর তিনি মাদকাসক্তি, গৃহহীনতা এবং জেল জীবন পার করেছেন। তিনি নিজেই বলতেন যে একসময় তার নিজেকে একটা 'সার্কাসের আকর্ষণ' মনে হত।
দুই বছর আগে তাঁর জীবন মোড় নেয় যখন তিনি আধ্যাত্মিক পথের সন্ধান পান। তখন থেকেই শুরু হয় তাঁর নতুন জীবন, আর এর অংশ হিসেবে তিনি বেছে নেন ট্যাটু অপসারণের কষ্টকর প্রক্রিয়া। প্রতিটি সেশনই ট্যাটু করার চেয়েও বেশি বেদনাদায়ক, কিন্তু লেয়ান্দ্রোর কাছে এটি ছিল তার পুরোনো জীবনকে পেছনে ফেলে নতুন অধ্যায়কে আলিঙ্গন করার প্রতীক।
এই গল্পটিকে আরও বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক করে তুলেছে ট্যাটু অপসারণ স্টুডিওটির মহানুভবতা। তারা লেয়ান্দ্রোর এই পরিবর্তনকে শুধু বাহ্যিক নয়, বরং ভেতরের রূপান্তর হিসেবে দেখে বিনামূল্যে এই কাজটি করে দিয়েছে।
লেয়ান্দ্রোর এই গল্পটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা জীবনের পথে যতই দূরে চলে যাই না কেন, পরিবর্তন সবসময়ই সম্ভব।