উত্তর লন্ডনের এক ছোট্ট ফ্ল্যাটে একা থাকতেন জয়েস ক্যারল ভিনসেন্ট। হাসিখুশি, প্রাণবন্ত এক নারী। যার জীবনে একসময় ছিল গান, বন্ধু, স্বপ্ন।
২০০৩ সালের ডিসেম্বরে এক রাতে, তিনি চুপচাপ পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন।
কেউ কিছু টের পেল না।

ফ্ল্যাটে তখনও টেলিভিশন চলছিল, ক্রিসমাসের উপহারগুলো খোলা হয়নি, আর টেবিলে আধভর্তি কাপের পাশে নিঃশব্দে পড়ে ছিল তার শরীর নিথর, একা।
আরও অবাক করা বিষয়
তিন বছর ধরে কেউ তাকে খুঁজে দেখেনি!
ব্যাংকের অটো-পেমেন্টে ভাড়া যাচ্ছিল, কেউ দরজায় নক করছিল না, ফোন বেজে বেজে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল...
বন্ধু, পরিবার সবাই ভেবেছিল, “হয়তো ব্যস্ত আছে।”
এভাবেই টিভির শব্দে ঢাকা পড়ে গেল এক নারীর মৃ*ত্যু।

২০০৬ সালের জানুয়ারির এক সকালে, যখন অবশেষে কর্মকর্তারা দরজা ভাঙলেন
তারা পেলেন এক কঙ্কাল, যার পাশে তখনও টিভি চালু ছিল।
এক ভয়ঙ্কর নীরবতা যেন পুরো ঘরটাকে গিলে খেয়েছিল।
এই গল্প শুধু জয়েসের নয়
এটা আমাদের সময়ের গল্প।
যেখানে হাজার ফলোয়ার আছে, কিন্তু কারো খোঁজ নেওয়ার মানুষ নেই।
যেখানে হাসির ইমোজি আছে, কিন্তু সত্যিকারের কথোপকথন নেই।
যেখানে শহরের ভিড়ে মানুষ একা হয়ে মরে যায়, আর টেলিভিশনের শব্দ ঢেকে দেয় তার শেষ নিঃশ্বাস।

একবার ভাবুন
শেষ কবে আপনি সত্যি কারও খোঁজ নিয়েছিলেন, “তুমি ঠিক আছো?” এই প্রশ্নটি করেছিলেন?
কারণ, অনেক সময় একটা ছোট ফোন কল...
একটা দরজায় কড়া নাড়াই কারও জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।
Joyce Carol Vincent (1971–2003) আধুনিক পৃথিবীর নিঃসঙ্গতার এক নীরব প্রতীক।

image