মাউন্ট এভারেস্ট: “প্রাকৃতিক গৌরবের সাথে মৃত্যুর মঞ্চ”
এভারেস্ট শুধু প্রকৃতির নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু কব/র/স্থানও। কিছু ঘটনা এতটাই হৃদয়বিদারক, যা শুনলে ঠান্ডা লেগে যাবে মেরুদণ্ডে। আজ জানুন

এমনি দুইটি ঘটনাঃ
১. হ্যানালোরা শ্মাৎজ (Hannelore Schmatz):
১৯৭৯ সাল। জার্মান পর্বতারোহী হ্যানালোরা শ্মাৎজ এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে অতিমাত্রায় ক্লান্ত হয়ে ক্যাম্পের মাত্র ৩০০ ফুট আগে বসে পড়েন। সেখানেই শীত ও অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সবচেয়ে করুণ ব্যাপার—তার দেহটি বছরের পর বছর একই ভঙ্গিতে বসে ছিল, খোলা চোখ আর বাতাসে চুল উড়ছিল, যেন চিরকালীন প্রহরী।

ডেথ জোনে (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,০০০+ মিটার) এত ঠান্ডা আর অক্সিজেন কম থাকায় শরীর পচে না, বরং প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত মমির মতো হয়ে যায়। এক ঝড়ে পরে তার দেহ সরে যায়।


২. জর্জ ম্যালরি (George Mallory):
১৯২৪ সালে কিংবদন্তি ব্রিটিশ আরোহী জর্জ ম্যালরি এভারেস্ট অভিযানে হারিয়ে যান। পারলেন কি না, রহস্যই থেকে যায়—কারণ ক্যামেরাটা মিলেনি। ১৯৯৯ সালে প্রায় অক্ষত শরীর মেলে বরফের নিচে। পায়ে চোট, কোমরে দড়ির আঘাত—সবই ছিল। ধারণা, দুঃসাহসিক পতনের পর কিছুক্ষণ জীবিত ছিলেন।

কখনো বিজয়ের গল্প, কখনো হিমশীতল বাস্তবতা। এভারেস্ট হয়তো প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ চূড়া, তবে এখানে কোথাও পড়ে আছে মানুষের হার-না-মানা আত্মার শেষ স্মারকও।

image