"মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর কী হতে পারে?" 🔴
এই প্রশ্নটিই যেন রেখে গেছেন কানাডার মেরিলিন বেরজারন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৪ বছর বয়সী মেরিলিন নিজ বাসা থেকে হঠাৎ করেই তার বাবা-মায়ের বাসায় ফিরে আসেন। তার সাথে কোনো লাগেজ ছিল না—ছিল শুধু চোখেমুখে তীব্র ভয় আর আতঙ্ক।
তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। তিনি ঘুমাতে পারতেন না, কারো দিকে সরাসরি তাকাতে পারতেন না, যেন কোনো অশরীরী কিছু তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কী হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কাঁপতে কাঁপতে শুধু বলতেন, "আমার সাথে যা হয়েছে... তা খুব খারাপ কিছু।"
পরিবার যখন ধারণা করলো যে তিনি হয়তো কোনো অপরাধ বা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, মেরিলিন হিমশীতল কণ্ঠে উত্তর দেন: "না, কোনো আক্রমণ নয়... কোনো অপরাধও নয়... তার চেয়েও খারাপ কিছু।"
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে, মেরিলিন "একটু হেঁটে আসি" বলে বাড়ি থেকে বের হন এবং আর কখনো ফিরে আসেননি।
দুপুরে একটি এটিএম বুথের সিসিটিভি ক্যামেরায় তাকে শেষবারের মতো দেখা যায়। তিনি বারবার পেছনে তাকাচ্ছিলেন, ভীষণ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল তাকে। এর কয়েক ঘণ্টা পর, বিকেল ৪:০৩ মিনিটে, বাড়ি থেকে বহু দূরে একটি ক্যাফেতে তাকে একা দেখা যায়। তিনি একটি কফি অর্ডার করেন, কিছুক্ষণ বসেন... এবং তারপর চিরদিনের জন্য অদৃশ্য হয়ে যান।
কোনো দেহ নেই। কোনো সূত্র নেই। কোনো চিহ্ন নেই‼️
১৫ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, মেরিলিন বেরজারন-এর অন্তর্ধান কানাডার সবচেয়ে অমীমাংসিত এবং ভুতুড়ে রহস্যগুলোর একটি হয়ে আছে। এটিএমের দিকে সেই শেষবারের মতো তার আতঙ্কিত চাহনি আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। তার গল্পটি যেন এক সতর্কবার্তা—এমন কিছু ভয় আছে যা মৃত্যুর চেয়েও ভয়ংকর, যার নাম দেওয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।