মালি দেশের সাহেল অঞ্চলে বসবাসকারী এক রহস্যময় জাতি "Dogon" এই জাতি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন অনন্য সংস্কৃতির ধারক-বাহক। ডগোনরা আজও অনন্য ধরনের মুখোশ নৃত্য,ভাস্কর্য ও কাহিনির
মাধ্যমে নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

তাদের রহস্যময় বৈশিষ্ট্যগুলো -----

১. ডগোনরা মূলত শিকারি ও কৃষিজীবী হলেও তাদের জ্যোতির্বিদ্যা জ্ঞান ছিল অবাক করার মতো।

২. বলা হয়,তারা সিরিয়াস নক্ষত্রমণ্ডল সম্পর্কে এমন সব তথ্য জানতো,যা আধুনিক টেলিস্কোপ আবিষ্কারের আগেই তারা জানত।

সিরিয়াসের মূল নক্ষত্র ছাড়াও তার সঙ্গী সিরিয়াস বি-এর অস্তিত্ব তারা জানতো,যেটি খালি চোখে দেখা যায় না।

৩. ডগোনরা বিশ্বাস করে,তাদের পূর্বপুরুষেরা আকাশ থেকে আগত এক জাতি বা দেবতার কাছ থেকে এই জ্ঞান পেয়েছিল।

৪. তাদের মিথ,সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান-এ আকাশ,
নক্ষত্র,ও রহস্যময় প্রাণীর কাহিনি পাওয়া যায়।

অনেক গবেষক মনে করেন,হয়তো তারা প্রাচীনকাল থেকেই নক্ষত্র পর্যবেক্ষণে দক্ষ ছিল। আবার অনেকেই বলেন,হয়তো কোন অতিপ্রাকৃত সংযোগ বা রহস্যময় জ্ঞানের মাধ্যমে তারা এসব জানত।

ডগোন জাতিকে ঘিরে তাই এখনো রয়েছে এক অমীমাংসিত রহস্য! তারা কি সত্যিই মহাজাগতিক অতিথির কাছ থেকে জ্ঞান পেয়েছিল,নাকি তাদের নিজস্ব বিজ্ঞান ছিল অসাধারণভাবে উন্নত?

image