কলিজার টুকরো সন্তানের লা*ঞ্ছ*না সইতে না পেরে যে মা নিজেই বেছে নিয়েছিলেন আ*ত্ম*হ*ত্যা*র পথ, কবরে গিয়েও সেই মায়ের নিস্তার হলো না! কি ভ*য়ং*কর, কি অ*মানবিক এই নে*শা*র জগত!

মা*দ*কা*স*ক্ত ছেলের হাতে মা*র*ধ*র আর অ*প*মা*ন* সইতে না পেরে মা অভিমানে গ*লা*য়** দ*ড়ি দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, ম*রে গেলে হয়তো সব জ্বা*লা জুড়োবে। ম*য়*না*ত**দ*ন্ত শেষে তাকে কবরেও শুইয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু নিয়তির কি নি*র্ম*ম পরিহাস!

রাতে যখন সবাই ঘুমে, তখন সেই নেশাখোর সন্তান মায়ের কবরের মাটি খুঁড়ে বের করে আনে মায়ের লা*শ। নিজের ঘরে এনে, যত্ন করে মশারী টাঙিয়ে, লেপ-কাঁথা দিয়ে মাকে জড়িয়ে সারারাত পাশে শুয়ে থাকে সে। যে মাকে সে বেঁচে থাকতে এক মুহূর্ত শান্তি দেয়নি, মৃ*ত্যুর পর সেই মায়ের লা*শ*কে আঁ*ক*ড়ে ধরেই সে ঘুমাতে চাইল!

সকালে প্রতিবেশীকে নিজের এই পাগলামির কথা জানিয়ে সে উধাও হয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘরে গিয়ে দেখে—সত্যিই বিছানায় শুয়ে আছেন মা, তবে প্রা*ণ*হী*ন।

এটা কি অনুশোচনা? নাকি নে*শা*র ঘোরে করা কোনো ভয়ংকর বিভীষিকা? উত্তর জানা নেই। শুধু এটুকুই বোঝা গেল, নে*শা মানুষকে শুধু পি*শা*চ বানায় না, তার বোধশক্তি, বিবেক আর মনুষ্যত্বকেও কবর দিয়ে দেয়।

হে আল্লাহ, এমন সন্তান আর এমন মৃ*ত্যু যেন কোনো মায়ের কপালে না জোটে।

image