🌍 সিরিয়া, ১৮৮৯ সালের কাছাকাছি — এমন একটি জগৎ যা এর গঠিত রুক্ষ রোদ ঝলমলে রাস্তার মতোই নিষ্ঠুর ছিল। যেখানে দুর্বলতা দেখালে খুব কমই দয়া করা হতো, সেখানে দুই বালক লিখেছিল শক্তির এক নীরব গল্প — পেশী দিয়ে নয়, বরং ভালোবাসা দিয়ে। আহমেদ এবং সামির দুজনেই ছিল অনাথ, দুজনেই পৃথিবীর দ্বারা বিস্মৃত, তবুও তারা এমন কিছু খুঁজে পেয়েছিল যা অধিকাংশ মানুষ পায় না: ভাগ্যের চেয়েও শক্তিশালী এক বন্ধুত্ব।
আহমেদ ছিল সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। সামির, ছোট এবং দুর্বল, পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে পা বাঁকা ছিল। জীবন তাদের কাছ থেকে প্রায় সবকিছুই কেড়ে নিয়েছিল — কিন্তু তারা একে অপরের সঙ্গ পেয়েছিল। আর তাদের কাছে, সেটাই ছিল যথেষ্ট। 🤝
প্রতিদিন, আহমেদ সামিরকে তার পিঠে বহন করত — বোঝা হিসেবে নয়, বরং ভাইয়ের মতো। কারণ সামির ছিল তার পা, যেখানে আহমেদ যেতে পারত না... আর আহমেদ, বিনিময়ে, সামিরকে তার চোখ হিসেবে বিশ্বাস করত। সে ফিসফিস করে যা দেখত তা বলত — সিঁড়ির আকার, অপরিচিত ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি, মেঘ সরে গেলে আকাশের রঙ। ☁️👀 যেন বাস্তব সময়ে কবিতা শুনে জগৎ দেখা। তারা বাজারে মটরশুঁটি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। 🫘
কোনো ভিক্ষা নয়। কোনো অভিযোগ নয়। শুধু কাজ — নীরব, সৎ, এবং সম্মানে পরিপূর্ণ। লোকেরা তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থামত, করুণা থেকে নয়, বরং তাদের সম্পর্কে এমন কিছু ছিল যা মুহূর্তের জন্য পৃথিবীর কোলাহলকে স্তব্ধ করে দিত। একজন ছিল মুসলিম। অন্যজন, খ্রিস্টান। ✝️☪️
কিন্তু ধর্ম তাদের কখনো বিভক্ত করতে পারেনি। বরং, এটি তাদের আরও কাছাকাছি এনেছিল — দুটি আত্মা, যারা দয়াবশত একত্রিত ছিল, কোনো মতবাদ দ্বারা নয়। তাদের "আমরা" যেকোনো "হয়/অথবা" থেকে শক্তিশালী ছিল। কিন্তু একদিন, সামিরের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ল। এবং এর সাথে, আহমেদেরও বেঁচে থাকার ইচ্ছাশক্তি চলে গেল। সে কথা বলা বন্ধ করে দিল। খাওয়া বন্ধ করে দিল। এবং কয়েক দিনের মধ্যে, সেও চলে গেল — অসুস্থতা থেকে নয়, আঘাত থেকে নয়, বরং এমন এক গভীর দুঃখ থেকে যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব ছিল না। 💔
তাদের একই ঘরে পাওয়া গেল। নিথর। শান্ত। নীরব। কোনো ক্ষত ছিল না। কোনো বিদায় ছিল না। শুধু এমন একটি হৃদয় ছিল যা তার অন্য অংশ ছাড়া চলতে পারছিল না। কারণ মাঝে মাঝে, ভালোবাসা তোমাকে ধরে রাখে... আর যখন এটি চলে যায়, তখন এটি তোমাকে সাথে নিয়ে যায়। 🕊️