১৯৭০ সালের কথা - বাঙাল দেখত মেট্রিক পাশ করলেই চাকরি! একটা গ্রামে হয়ত একটা মেট্রিক পাশ। ১৯৮০ সালে মাস্টার্স পাশ করলেই ব্যাংক ডেকে নিত।
এখন ২০১৯। যারা সে সময় ছাত্র ছিল এখন তারা বাবা-মা।
তারা ভেবে পায় না, তারা পাশ করার সাথে সাথে চাকরি পেয়েছিল - তার ছেলে পায় না কেন?
ছেলে বলে, বাবা তো সার্টিফিকেট চেয়েছিলেন - অন্যের খাতা দেখে হলেও এনে দিয়েছি। চাকরি তো আর চুরি করে হয় না।
.
বাঙাল কাজ চায় না, চাকরি চায়।
সে মাস গেলে বেতন চায়।
সে বড় কারো চাকর হওয়ার গর্ব চায়।
এই সমস্ত জিনিস সে যতদিন না পাচ্ছে সে ততদিন বেকার থাকে। সে কোনো কাজই করে না - এমনকি নিজেকে উন্নত করার জন্য যে কিছু শিখবে - সেটাও না। কারণ সে ক্লাস থ্রিতে নকল করতে শেখার পরে আর নতুন কিছু শেখেনি।
.
আমরা অফিসে একজনে দুইজনের কাজ করি - লোক পাই না। যে লোক পাই সে একা দুইজনের বেতন চায় কিন্তু কাজ পারে না।
.
বাঙালের ধারণা টাকা হাওয়া থেকে আসে। আপনি যদি বাঙাল হন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে জেনে রাখেন - ফরজ ইবাদাতের পরের ফরজ হচ্ছে হালাল রিযক অন্বেষণ করা।
আমাদের খুবই কষ্ট করে টাকা আয় করতে হয়। সেখান থেকে অফিস ভাড়া, বিল, ট্যাক্স, কর্মচারীর বেতন। আমরা চাইলেই অনেক টাকা বেতন দিতে পারি না। আপনি যদি হালাল উপার্জন করতে চান - আপনার উপার্জন খুব বেশি হবে না - এটা মেনে নিতে হবে।
আর আপনাকে কাজ পারতেই হবে।
হালাল রুযির জন্য সার্টিফিকেট এখন খুবই দুর্বল একটা হাতিয়ার - চোর ছ্যাচড়, মাস্তান, ডাকাত - সবারই সার্টিফিকেট আছে, কিন্তু জ্ঞান নেই।
.
আপনার কী আছে যেটা সবার নেই? জ্ঞান? অভিজ্ঞতা? সততা?
বই পড়েন, শেখেন।
ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক করেন।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।
ওয়ার্কশপ, সেমিনার করেন।
বাসায় বসে ফ্রি অনলাইন কোর্স করেন।
বেকার থেকেন না, নিজেকে বেকার বোলেন না। কিছু করেন আল্লাহর ওয়াস্তে।

#collected

consulte Mais informação
This page has been loaded 11272 times.