তাহাজ্জুদ নামাজ আমরা কেন পড়বো?
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন—
.
تَتَجَافٰی جُنُوۡبُهُمۡ عَنِ الۡمَضَاجِعِ یَدۡعُوۡنَ رَبَّهُمۡ خَوۡفًا وَّ طَمَعًا ۫ وَّ مِمَّا رَزَقۡنٰهُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ
.
‘‘তাদের পার্শ্বদেশ (পিঠ) বিছানা হতে দূরে থাকে (ঘুম থেকে জেগে ওঠে), তারা তাদের রবকে ডাকে (শাস্তির) ভয় ও (পুরষ্কারপ্রাপ্তির) আশার মাধ্যমে। আর, আমরা তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে।’’ [সুরা আস-সাজদাহ, আয়াত: ১৬]
.
ইমাম ইবনু দাকিকিল ঈদ (রাহিমাহুল্লাহ) এই আয়াতটি পড়তেন আর বলতেন, ‘কীভাবে মানুষ এই আয়াত পড়ার পরও রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) আদায় না করে থাকতে পারে, অথচ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তা‘আলা তাহাজ্জুদ আদায়কারীর পুরস্কার সম্পর্কে বলেছেন!’
.
আল্লাহ তা‘আলা বলেন—
.
فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٌ مَّاۤ اُخۡفِیَ لَهُمۡ مِّنۡ قُرَّۃِ اَعۡیُنٍ ۚ جَزَآءًۢ بِمَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
.
‘‘অতএব কেউই জানে না, তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী লুকিয়ে রাখা হয়েছে—তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ!’’ [সুরা আস-সাজদাহ, আয়াত: ১৭]
.
আল্লাহ যেসব পুরস্কারের কথা লুকিয়ে রাখেন এবং প্রকাশ করেন না, সেগুলো অন্যসব প্রকাশিত পুরস্কারের চেয়েও অধিক মর্যাদার হবে। কারণ মহান আল্লাহর শান ও মান এমনই।
.
ইমাম হাসান আল বাসরি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, যেহেতু তারা নিজেদের (তাহাজ্জুদের) আমলকে গোপনে করতো, তাই আল্লাহও তাদের পুরস্কার গোপন রেখেছেন। [তাফসিরে ইবনু আবি হাতিম]
© তাসবীহ