মঞ্জু ও বাবুল খেতে কাজ করছিল। একটু দূরেই গাছের ছায়ায় বসে আরাম করছিল সগীর। মঞ্জু বাবুলকে বললো—
মঞ্জু: এই কড়া রোদে আমরা কাজ করছি। আর ওই ব্যাটা আয়েশ করে বসে আছে কেন?
বাবুল: তাই তো! দাঁড়া, গিয়ে জিজ্ঞেস করে আসি।
বাবুল সগীরের কাছে গিয়ে বললো—
বাবুল: এই যে নবাব! আমরা কাজ করছি, আর আপনি হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন কেন?
সগীর: কারণ, আমি বুদ্ধিমান।
বাবুল: কীভাবে?
সগীর: দাঁড়া, দেখাচ্ছি।
এই বলে সে তার এক হাত একটা বড় পাথরের সামনে ধরে বললো—
সগীর: আমার হাতে জোরে একটা ঘুষি মার তো দেখি।
বাবুল যেই ঘুষি মারতে গেছে, অমনি সগীর হাত সরিয়ে ফেলে। ঘুষি লাগে পাথরের গায়ে। ব্যথায় ককিয়ে ওঠে বাবুল।
সগীর হো হো করে হেসে ওঠে, আর বলে—
সগীর: দেখলি তো, তোকে কেমন বোকা বানালাম। একেই বলে বুদ্ধি।
মন খারাপ করে বাবুল যায় মঞ্জুর কাছে। মাথা নিচু করে বললো—
বাবুল: ও বসে আছে। কারণ ও বুদ্ধিমান।
মঞ্জু: কেমন বুদ্ধি?
বাবুলের চোখ আনন্দে ঝলমল করে ওঠে। নিজের নাকের কাছে হাত রেখে সে বললো, দেখতে চাস? তাহলে আমার হাতে একটা জোরে ঘুষি মার তো দেখি!