প্রতারক চক্রের কাছ থেকে পাওয়া গেল বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের পাসপোর্ট। কিন্তু ঐশ্বরিয়া পাসপোর্ট যে হারিয়ে গেছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। তার মানে এই পাসপোর্ট নকল। এই নকল পাসপোর্ট দিয়ে প্রতারকেরা কী করছেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে আছে পুলিশও। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।

প্রতারক চক্র ধরতে অভিযান চালায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সন্দেহজনক তিন বিদেশি ব্যক্তিকে আটক করে তারা। তাঁদের দুজন নাইজেরিয়ার এবং একজন ঘানার বাসিন্দা। তল্লাশি চালালে তাঁদের একজনের কাছে একটা পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পাসপোর্টে ছিল ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম এবং তাঁর ছবি। জন্মতারিখ দেওয়া ছিল ১৯৯০ সালের ১৮ এপ্রিল এবং জন্মস্থান লেখা ছিল গুজরাটের ভাবনগর। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীকে কে না চিনে। তাই তো পুলিশের চোখ এড়ায়নি ভুল তথ্যগুলো।

এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ ১১ কোটি টাকার জাল নোট এবং লাখ লাখ টাকার নকল বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে। তদন্তে জানা গেছে তাঁরা তিনজন একটি ভুয়া ওষুধ কোম্পানির মালিক। তাঁরা বিভিন্নভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। মানুষকে ফাঁদে ফেলে তাঁরা তাঁদের কাজ উদ্ধার করতেন।

তাঁদের এই ফাঁদে পড়েছিলেন সাবেক এক সেনা অফিসারও। তাঁকে দিয়ে অবৈধভাবে যৌগ কোলানাট ক্রয় করছিলেন অভিযুক্তরা। যৌগ কোলানাট ব্যবহার হয় এ ধরনের ক্যানসারের নিরাময়ের ওষুধ তৈরিতে। বিদেশি এই তিন নাগরিকের কাছে নিজেদের পাসপোর্ট বা ভিসা কিছুই পাওয়া যায়নি।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নকল পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল প্রতারকদের কাছে। ২০১২ সালে গুজরাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সেই পাসপোর্ট। পুলিশ তদন্ত করছে কেন এই সাবেক বিশ্বসুন্দরীর নকল পাসপোর্ট তৈরি করেছেন প্রতারকেরা।

Source: প্রথম আলো

image