আট বছর পর আবার
***********************************************************************
২০০৮ সালে ‘চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ঝিলিক। ইমরান মাহমুদুল প্রথম রানারআপ। প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে একসঙ্গে দ্বৈত গান করেছিলেন ২০১৪ সালে। ‘বেসামাল’ শিরোনামে সেই অডিও গানটি লেজারভিশন থেকে প্রকাশ হয়েছিল। প্রায় আট বছর পর আবারও অডিওর গানে জুটি বাঁধলেন এই ‘সেরাকণ্ঠ’ দুই শিল্পী। ‘কি করে’ শিরোনামে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন বিরতির পর একসঙ্গে গান করা প্রসঙ্গে ঝিলিক বলেন, ‘বিরতির অন্য কোনো কারণ নেই। অনেক দিন থেকেই অডিও গানে একসঙ্গে কাজ করব করব মনে করে করা হয়নি। পরিকল্পনা করি, চূড়ান্ত করি, কিন্তু দেখা গেল শেষ পর্যন্ত ব্যাটেবলে মেলে না। এ কারণেই মাঝে দুজনের অনেক দিনের বিরতি হয়ে গেছে। এবার শেষ পর্যন্ত কাজটি করেছি আমরা। তবে বছর দুয়েক আগে ‘তোকে ছাড়া’ শিরোনামে একটি নাটকের গান করেছিলাম।’
ঝিলিক জানান ‘কি করে’ পুরোপুরি রোমান্টিক একটি গান এবং গল্প বেজ। সাধারণত এ ধরনের গান করার সুযোগ আগে তেমন একটা হয়নি। বলেন, ‘গানটির মধ্য দিয়ে একটি গল্প বেরিয়ে আসে। গানের ভিডিওতে আমাকে অভিনয়ও করতে হয়েছে। আগে এভাবে গান করিনি আমি। কাজটি করতে গিয়ে মজা পেয়েছি।’
২০০৮ সালে সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দুজনের পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব। মাঝে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কোনো গান করা না হলেও দুজনের বন্ধুত্বের জায়গায়টি তেমনই আছে।
ঝিলিক বলেন, ‘সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। মাঝখানে দুজনের তেমন কাজ না হলেও প্রায় দেখা হয়, গান নিয়ে আড্ডা হয় আমাদের। সেই শুরু থেকে আজও দুজনের সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
এ ব্যাপারে ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘সেরাকণ্ঠ থেকে আমরা একসঙ্গে বেরিয়েছি। দারুণ গায় ঝিলিক। অসাধারণ কণ্ঠ তাঁর। তাঁর গানের ভক্ত আমি। সারা বছরই পরিকল্পনা করি দুজন একসঙ্গে গান করব। একসঙ্গে বসে অনেকবার পরিকল্পনা চূড়ান্তও করেছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর করা হয়নি। এভাবে অনেক বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু এবার আমরা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। একসঙ্গে গান করেছি। আশা করছি, এখন থেকে নিয়মিত কাজ করা হবে।’
‘কি করে’ গানটি লিখেছেন জামাল হোসেন। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান নিজেই।
এরই মধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিওর কাজ শুরু হয়েছে। এটি পরিচালনা করছেন সৈকত রেজা।
জানা গেছে শিগগির রঙ্গন মিউজিক থেকে ভিডিও আকারে প্রকাশিত হবে গানটি।
Source: প্রথম আলো