শেষ হলো আইসিটি অলিম্পিয়াড
***********************************************************************
প্রাক্‌–বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আয়োজিত ‘আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে ছয়টি বিভাগে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় প্রাক্‌–বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. সামিউল আলিম। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন যথাক্রমে তাহমিদ সাদিক এবং আতিয়া ফায়রুজ। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অমেরা ফিদান। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন এস এম মুসফিকুল হাসান এবং সায়্যেদা নাফেজা ফায়রোজ। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো. সামিন মুস্তাকিম। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন অনন্য জারিফ এবং শাহী নূর। নবম থেকে দশম শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাহবিন আহমেদ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন সানন্দা দেব ও রুদ্রনীল ঘোষ। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জোহাদ শিকদার। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন সৈয়দ আবরার ইয়াছির ও মো. আবু সায়েদ। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মো.আসোয়াদ আলভী ইয়ানুর। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন ডি এম নাদিম হায়দার এবং মো. মোবাশির হাসান।

প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) উপাচার্য মো. ফায়েজ খান বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহ-উপাচার্য নজরুল ইসলাম, ব্রাইট স্কিলসের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ কবির, আমারপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশতিয়াক সারওয়ার, ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট ও শিশুতোষ প্ল্যাটফর্ম ‘হুইসেল’ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ৬৪ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৬৫৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। চারটি রাউন্ডে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরে ১৫০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ বিষয়ে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গভর্নিং বডির সদস্য মনির হোসেন জানান, প্রাক্‌–বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষা জনপ্রিয় করে তুলতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

Source: প্রথম আলো

image