শিশুর দাঁতের ক্ষতি করে যেসব খাবার

বড়দের মতো ছোটদেরও দাঁতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম ক্যাভিটি। এ ছাড়াও দাঁতে প্লেক, দাঁত

বড়দের মতো ছোটদেরও দাঁতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম ক্যাভিটি। এ ছাড়াও দাঁতে প্লেক, দাঁতে যন্ত্রণা, ভাঙা দাঁত, ছোপ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে নিয়মিত ছোটদের দাঁতের যত্ন নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি মাড়ির যত্নও নেওয়া দরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁতের যত্নে দু-বার ব্রাশ করা যেমন জরুরি, তেমন খাবারের উপর নজর দেওয়াটাও দরকার। কিছু কিছু খাবার আছে যা শিশুর দাঁতের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিতে পারে। যেমন-

​​মিষ্টি বা ক্যান্ডি : নানা রকমের লজেন্স, ক্যান্ডি খেতে শিশুরা খুবই ভালোবাসে।  কিন্তু এই ধরনের খাবার দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্ডি চ্যাটচ্যাটে ধরনের মিষ্টি যা খাবার পর দাঁতে লেগে থাকে। আর তার থেকেই ব্যাকটেরিয়া জন্মায় দাঁতে। এ ছাড়া এই খাবার দাঁতের এনামেল একেবারেই নষ্ট করে দিতে পারে। শিশুরা খুব বেদি আবদার করলে মাঝে-মধ্যে দিতে পারেন।

​টক ফল
 : টক ফলে অ্যাসিডের উপস্থিতি এতটাই বেশি যে তা শিশুর দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। মুসাম্বি, কমলার মতো যে কোনও সাইট্রাস ফলের রসও শিশুর দাঁতের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ফল শিশুদের খুব বেশি খাওয়ানো ঠিক নয়। আর খেলেও খাওয়ার পরেই যেন মুখ ধুয়ে ফেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

পপকর্ন : ভুট্টার থেকে তৈরি পপকর্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এই খাবারও শিশুর দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।  পপকর্ন খাওয়ার সময় তা দাঁতে আটকে যেতে পারে, এর ফলে মাড়িতে সংক্রমণ হতে পারে। পপকর্ন খাওয়ার পর তাই দাঁত ব্রাশ করে নেওয়া ভালো।

পানীয় :  কার্বোনেটেড পানীয় যে কোনও দাঁতের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। শিশুরা কার্বোনেটেড পানীয় পান করলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। এর ফলে দাঁত ভেঙে যায়। তাই শিশুরা কার্বোনেটেড পানীয় পান করে অবশ্যই খাওয়ার পরেই মুখ ধুয়ে দিন।

​পটেটো চিপস : পটেটো চিপস বা অন্যান্য ক্র্যাকারের মধ্যে স্টার্চ থাকে যা পরে সুগারে পরিণত হয়। এ ছাড়া এই খাবার দাঁতের ফাঁকে আটকে যেতে পারে। এ কারণে শিশু চিপস খেলে তাকে দিয়ে ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে।


Linkeei Official

192 Blog posts

Comments