বর্ষাকালে পায়ে চুলকানি-ব়্যাশ নিয়ে নাজেহাল? কী করবেন

বর্ষাকালে পায়ে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে এই সময়ে পা ভালো রাখার জন্য যত্ন নিতে হবে। তা না হলে

বর্ষাকালে পায়ে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে এই সময়ে পা ভালো রাখার জন্য যত্ন নিতে হবে। তা না হলে পায়ের মধ্য়ে জীবাণু বাসা বাঁধে। এ সময় পায়ের যত্ন নিতে হবে ধাপে ধাপে।

সঠিক জুতা বেছে নিতে হবে : বর্ষাকালে চলাফেরা করার জন্য যেমন ইচ্ছে জুতা পরে ঘুরে বেড়ালে হবে না। বরং সঠিক জুতা বেছে নিতে হবে। প্রথমেই এমন জুতা বেছে নিন, যা পরে পায়ে কোনও অস্বস্তি হবে না। এই সময় কাপড়ের জুতা এড়িয়ে চলুন। পা যেন সুরক্ষিত থাকে সেভাবে জুতা নির্বাচন করুন। সেক্ষেত্রে রাবারের জুতা পরতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন রঙিন রাবারের জুতা পাওয়া যায়। এছাড়াও ব্যাগে বা অফিসে পারলে এক্সট্রা এক জোড়া জুতা রেখে দিন। এতে পা ভালো থাকবে।

প্রতিদিন ভালো করে পা পরিষ্কার করুন
 : আপনি যদি বাইরে বের হন বা নিয়মিত অফিসে যান তাহলে অবশ্য়ই পা পরিষ্কার করুন। বাড়ি ফিরে পায়ের যত্ন নিন। এজন্য একটি বালতি বা গামলায় গরম পানি নিন। তাতে সামান্য পরিমাণে লবণ মিশিয়ে নিন। সেটায় পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। বেশ কিছুক্ষণ ওভাবেই থাকুন। এরপর ধীরে ধীরে পা ধুয়ে নিন।

পা স্ক্রাব করুন
 : সপ্তাহে অন্তত একবার পা স্ক্রাব করুন। খুব ভালো হয় যদি, দুই দিন পর পর পা স্ক্রাব করতে পারেন। কিন্তু যদি তা না হয়, সপ্তাহে অন্তত একবার করুন। প্রথমে পা ভিজিয়ে নিন। তারপর বডি স্ক্রাব নিন। সেই বডি স্ক্রাব পায়ে ঘষে ঘষে পা পরিষ্কার করে নিন। পিউমিস স্টোন দিয়ে ভাল করে গোড়ালি থেকে ঘষে-ঘষে মরা চামড়া তুলে নিন। এরপরে ভালো করে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার বা ক্রিম লাগিয়ে নিন।

পায়ে ব়্যাশ হলে যা করণীয়

১. সঙ্গে সব সময় অ্যান্টি ফাঙ্গাল পাউডার রাখুন। বর্ষায় পায়ে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। কারণ সব সময় পা ভিজতে থাকে। একটা সময় পরে পায়ে ব়্যাশ বেরিয়ে যায়। সংক্রমণ হতে পারে। তাই অবশ্যই পায়ের যত্ন নিন।

২. পায়ে মালিশ করতে হবে। নারকেল তেল ব্য়বহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়। এটি ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে।

৩. ফুট ক্রিম ব্যবহার করুন। পরিমাণ মতো ফুট ক্রিম নিন। সেটি ভালো ভাবে পায়ে ম্যাসাজ করুন। ময়শ্চারাইজিং ফুট ক্রিম পায়ের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এতে পা ভালো থাকে।


Linkeei Official

192 Blog des postes

commentaires