KDP Coloring Books Bundle Review | Unlock a New Income Stream with Exclusive Coloring Books Bundle!
On the off chance that you’ve been looking and looking at ways to earn a side wage online or a web trade thought, you will have found the idea of offering computerized coloring books on Amazon Ignite Coordinate Distributing (KDP).
It can be a great trade if the case is done right, but it takes a parcel of work and expertise to distribute one advanced coloring book on Amazon KDP.
Read More:
https://dilip-review.com/kdp-c....oloring-books-bundle
#howtomakemoneywithkdpcoloringbooksbundle
#kdpcoloringbooksbundlebyparth
#makemoneywithkdpcoloringbooksbundle
#howdoeskdpcoloringbooksbundlework
#kdpcoloringbooksbundlehonestreview
#kdpcoloringbooksbundlescamorlegit
#howtobuykdpcoloringbooksbundle
#kdpcoloringbooksbundlelivedemo
#kdpcoloringbooksbundledownload
#kdpcoloringbooksbundleupgrades
#kdpcoloringbooksbundlesoftware
#kdpcoloringbooksbundlebonuses
#kdpcoloringbooksbundlereviews
#kdpcoloringbooksbundlepreview
#kdpcoloringbooksbundleupsells
#kdpcoloringbooksbundlereview
#kdpcoloringbooksbundlebonus
#kdpcoloringbooksbundledemo
#kdpcoloringbooksbundlescam
#kdpcoloringbooksbundlelegit
#kdpcoloringbooksbundleoto
#kdpcoloringbooksbundleapp
#coloringbooks
#coloringbooksforkids
#coloringbooksplr
Conseils Immobiliers au Sénégal | Aliouneseck.com
Obtenez des conseils immobiliers experts au Sénégal grâce à Aliouneseck.com. Notre approche émotionnelle vous aide à prendre des décisions éclairées pour vos besoins immobiliers.
https://aliouneseck.com/
যুক্তরাজ্যে একই আসনে মুখোমুখি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক স্বামী-স্ত্রী
***********************************************************************
যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশি–অধ্যুষিত পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে লেবার পার্টি থেকে এমপি প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগম। পূর্ব লন্ডনের এই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁর সাবেক স্বামী এহতেশামুল হক। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
আপসানা বেগমের বাবা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর মনির উদ্দীন আহমেদ। ২০১৩ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক কাউন্সিলর এহতেশামুল হকের সঙ্গে আপসানার বিয়ে হয়। দুজনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায়। বিয়ের দুই বছরের মাথায় ২০১৫ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
২০১৯ সালে আপসানা প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর পারিবারিক সহিংসতা নির্যাতনবিষয়ক ব্রিটিশ সংসদের সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে এহতেশামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর আগে আবারও বিয়ে করেছি। আপসানার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। বিচ্ছেদের পরও তাঁর সঙ্গে তিন বছর দলীয় কাজ করেছি। তাঁকে আমি সম্মান করি। তিনি (আপসানা) যেকোনো আসন থেকেই নির্বাচন করতে পারেন।’
আপসানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর নির্বাচনী ব্যস্ততার জন্য কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন প্রার্থী সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। তাঁদের মধ্যে নয়জনই নারী। তাঁদের মধ্যে লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া ছয়জন নারী এমপি হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
source : প্রথম আলো
ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে ফ্রান্স
***********************************************************************
গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের জন্য আজ শনিবার থেকেই বামপন্থা ও ডানপন্থায় বিভক্ত হয়ে পড়া ফ্রান্সের জনগণকে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। আগামীকাল রোববার প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাকারী নেতা মেরিন লে পেনের অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) দল প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারে। গত শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী প্রচার চালান। নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জুলাই।
অধিকাংশ জনমত জরিপে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে আরএন ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে। লে পেনের দলকে টক্কর দিতে পারে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট জোট। জরিপে দেখা গেছে, এ জোট ২৭ থেকে ২৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে এমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থী জোট জাতীয় পরিষদ অর্ধেকের বেশি আসন হারাতে পারে। জরিপে দেখা গেছে, তাদের জোট ২০ থেকে ২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
ইউরেশিয়া গ্রুপ রিস্ক কনসালটেন্সির ইউরোপ প্রধান মুজতবা রহমান বলেন, জরিপ মিলে গেলে ফ্রান্সে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে পারে। এতে দেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। ফ্রান্সের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে এ ধরনের অচলাবস্থার কোনো নজির নেই।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন মাখোঁ। একই সঙ্গে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণাও দেন। তাঁর এ ঘোষণায় দেশটির অনেকেই হতবাক হন। এ ছাড়া ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
সিএনএন জানায়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে একটি কট্টর-বাম বা কট্টর-ডান সরকার গঠিত হতে পারে অথবা কোনো ব্লক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। এতে দেশে এবং দেশের বাইরে নানা সমস্যায় পড়বে ফ্রান্স।
মাখোঁ সাহসী সিদ্ধান্তে ভয় পান না। মাত্র এক বছর আগে গড়া দল নিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচন তাঁর দলের জন্য বিশাল ঝুঁকি। প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কেভিন আর্সেনোক্স সিএনএনকে বলেন, মাখোঁ যদি তাঁর বাজির মূল্য তুলে আনতে পারেন, তাব তিনি একজন দক্ষ কৌশলবিদ হিসেবে নাম কুড়াবেন। তা না হলে তিনি ইতিহাসে এমন একজন হয়ে যাবেন, যিনি মূলত ফ্রান্সের ঐতিহ্যগত পার্টি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলেন বলে গণ্য হবেন।
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ আসন রয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন ২৮৯। বিদায়ী সরকারে মাখোঁর জোটের আসন ছিল মাত্র ২৫০টি। তাই আইন পাস করার জন্য অন্যান্য দলের সমর্থন প্রয়োজন পড়ে।
নির্বাচনের আগেই মাখোঁর সরকারের নানা বিষয়ে সমালোচনা করে আসছেন লে পেন। ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁকে সতর্ক করেছেন দেশটির অতি ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন লে পেন। তিনি বলেন, তাঁর দল পরবর্তী সরকার গঠন করলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সুযোগ পাবেন না মাখোঁ।
স্থানীয় পত্রিকা লে টেলিগ্রামকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেরিন বলেন, ন্যাশনাল র্যালির নেতা জর্ডান বারদেলা ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মনে করেন তিনি। তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মেরিন বলেন, তাঁর (মাখোঁর) সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই জর্ডানের। তবে তিনি একটি চূড়ান্ত সীমা ঠিক করে দেবেন, প্রেসিডেন্ট সেনা পাঠাতে সক্ষম হবেন না।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর কাছে পরাজিত হওয়া মেরিন আরও বলেন, পার্লামেন্ট নির্বাচনে ন্যাশনাল র্যালি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে দলের ২৮ বছর বয়সী জর্ডানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ছাড়া মাখোঁর সামনে তেমন কোনো পথ খোলা থাকবে না।
এক্সে এক পোস্টে লে পেন বলেছেন, ‘যদি ক্ষমতায় আসি, ফ্রান্সের জনগণকে দেখাতে পারব আমরা প্রতিশ্রুতি রেখেছি।’
এর মানে হলো ক্ষমতা ভাগাভাগি; প্রেসিডেন্ট ও সরকারের আলাদা দল। ফ্রান্সে ২০০২ সালের পর এমনটি দেখা যায়নি। এদিকে ফ্রান্সের নির্বাচন ঘিরে মাখোঁ ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে অতি ডান ও অতি বামপন্থী জোটের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, তাদের ‘চরম’ কর্মসূচিগুলো দেশকে ‘গৃহযুদ্ধের দিকে’ নিয়ে যেতে পারে।
তবে মাখোঁ জোর দিয়ে বলেছেন, যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ থাকা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে তিনি থাকবেন।
source : প্রথম আলো
Service de remplacement roulements Porsche IMS Belgique| Race4fun.be
Faites confiance à notre service de remplacement de roulements IMS en Belgique pour votre Porsche. La fiabilité à chaque tour de roue.
https://www.race4fun.be/servic....e/specialiste-porsch
বাইডেন সরে দাঁড়ালে ডেমোক্রেটিক পার্টি কী করবে
***********************************************************************
বাইডেনের বিকল্পের বিষয়ে সিএনএনের বিশ্লেষক ও ডেমোক্রেটিক ভোট কৌশলী ডেভিড অ্যাক্সেলরড বলেন, ‘এটা গত শতকের ষাটের দশক নয়। এখন (প্রাথমিক দলীয় বাছাইয়ে) দলের নিবন্ধিত ভোটাররা প্রার্থী বাছাই করেন। সুতরাং প্রাথমিক বাছাইয়ে যিনি জয়ী হবেন, তিনিই প্রার্থী।’
১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই নিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি ব্যাপক ঝামেলায় পড়েছিল। সেই ঝামেলার পরই দলটির বর্তমান বাছাইপর্বের নিয়ম তখন তৈরি করা হয়। তখন ডেমোক্র্যাটরা তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট হুবার্ট হামফ্রেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কারণ, ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণে চাপে থাকা ও জনপ্রিয়তা হারানো ডেমোক্রেটিক দলীয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন পরবর্তী নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মনোনয়ন পাওয়া হামফ্রে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় সম্মেলনে (কনভেনশন) জনসনের ভিয়েতনাম যুদ্ধের নীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এমন ঘোষণার পরও হামফ্রেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই ইস্যুতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
এখন ২০২৪ সাল, ইতিমধ্যে অনেক কিছু বদলে গেছে। এখন যদি বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রার্থী বাছাই করতে হবে।
দলের নিয়ম অনুযায়ী, অধিকাংশ বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর বা সম্মেলন চলাকালে যদি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সরে দাঁড়ান, সে ক্ষেত্রে প্রতি ডেলিগেটকে দলীয় সম্মেলনেই নতুন প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দিতে হবে। কোনো কারণে ডেলিগেটরা সরাসরি ভোট দিতে না পারলে অনলাইনে নিজের মতামত জানাতে হবে। আগামী আগস্টে শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে বাইডেনকে নিয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রকৃত ডেলিগেট কারা? কারণ, ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিজেদের ৩ হাজার ৯০০-এর বেশি ডেলিগেটকে ২২ জুনের মধ্যে প্রার্থী বাছাই করার সময় বেঁধে দিয়েছিল, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ডেলিগেটদের প্রায় সবাই বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতেও আগস্টে অনুষ্ঠেয় ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ডেলিগেটদের একটা বড় অংশ নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রস্তাব করতে পারেন। তাঁরা এমনটি প্রস্তাব করলে বাইডেনের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক মতবিরোধ দেখা দেবে, দলের অভ্যন্তরে বিবাদ দেখা দেবে।
আর বাইডেন নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও সহজে সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, যেসব ডেলিগেট ইতিমধ্যে তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদেরই নতুন প্রার্থীর জন্য ভোট বা সমর্থন দিতে হবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে একটা বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
source : প্রথম আলো
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর বাইডেনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা
***********************************************************************
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বিতর্কে বিপর্যয়ের পর জো বাইডেনকে নিয়ে নাখোশ তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকে। ৮১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে টিকতে পারবেন কি না, দলের ভেতরে এমন প্রশ্ন উঠছে। দলের অনেকে প্রেসিডেন্ট পদে বিকল্প প্রার্থীর কথাও বলছেন। এমনকি নিউইয়র্ক টাইমস-এর মতো প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। উদ্যত ট্রাম্পের বাক্যবাণে প্রথম দিকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। বাইডেন যে বিতর্কে ভালো করেননি, তা স্বীকার করেছেন তাঁর দলের সদস্যরাও।
বিতর্কে ভালো না করার কথা স্বীকার করেছেন বাইডেনও। নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে গতকাল শুক্রবার এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি বলেছেন, ‘এখন আমি আর তরুণ নই। আগের মতো সাবলীলভাবে কথা বলতে পারি না। তবে যদি মন থেকে বিশ্বাস করতাম প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগুলো আমি পালন করতে পারব না, তাহলে এই পদের জন্য আবার নির্বাচনে প্রার্থী হতাম না।’
বাইডেনের এ বক্তব্যের অর্থ হলো তিনি প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন না। তবে তাঁর বিকল্প নিয়ে দলে আলোচনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য হাকিম জেফরিসকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। তবে সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নভেম্বরে পার্লামেন্ট আবার নিজেদের দখলে নিতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করব।’
বিতর্কের পর বাইডেনকে প্রার্থিতা ছেড়ে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-এর সম্পাদকীয় বোর্ড। সংবাদমাধ্যমে এক লেখায় বোর্ড বলেছে, ‘বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো আবার নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়া।’ নিউইয়র্ক টাইমস-এর সম্পাদকীয় বোর্ড ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে সমর্থন জানিয়েছিল।
গত শুক্রবার মর্নিং কনসাল্ট প্রো পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতের বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী চান। ওই জরিপে ২ হাজার ৬৮ জন নিবন্ধিত ভোটার অংশ নিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাইডেন বিতর্কে খারাপ করার পর নির্বাচনী তহবিলে অর্থদাতাদের নিয়েও বিপদে রয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি। নির্বাচন ঘিরে প্রতি মাসে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করছেন, তাতে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। বর্তমান অবস্থায় বাইডেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কারণ, তাঁরা মনে করতে পারেন, তাঁরা দৌড়ে হারতে থাকা ঘোড়ার ওপর বাজি ধরছেন।
তবে বিতর্কের পর প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাইডেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দলের অনেকে। ডেমোক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র মাইকেল টেইলর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ চিন্তাশক্তি ভালো নয়, এমন কোনো প্রার্থীর চেয়ে আমরা বরং একটি খারাপ রাতকেই (বিতর্কের রাত) মেনে নেব।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটনের মতো জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট নেতারাও বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) ওবামা লিখেছেন, ‘বিতর্ক খারাপ হতেই পারে। বিশ্বাস করুন, এটা আমি জানি। তবে সারা জীবন মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন, আরেকজন নিজের কথা ভেবেছেন—এমন দুজনের ভেতর থেকে একজনকে বেছে নেওয়ার সুযোগ এখনো এই নির্বাচনে রয়েছে।’
এখন এত আলোচনার মধ্যে যদি বাইডেন শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ছেড়ে দেন, তাহলে নতুন কাউকে বেছে নেওয়ার জন্য দুই মাসের কম সময় পাবে ডেমোক্রেটিক পার্টি। আগামী ১৯ আগস্ট দলটির জাতীয় কনভেনশন (সম্মেলন) শুরু হচ্ছে। সেখানে বিকল্প কাউকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম। শেষ পর্যন্ত যদি তা-ই হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ থাকবে কমলার সামনে। তবে বাইডেনের বিকল্প হিসেবে এই তালিকায় ডেমোক্র্যাট গভর্নর ও দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের নামও আসছে।
source : প্রথম আলো
মোদি বিন্দুমাত্র বদলাননি, নিবন্ধে সোনিয়ার অভিযোগ
***********************************************************************
ভারতের লোকসভায় সরকারের মনোভাব ও আচরণ দেখার পর কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, ‘ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, ভোটের পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিন্দুমাত্র বদলাননি। মুখে সহমতের কথা বলছেন, ঐকমত্যের শিক্ষা দিচ্ছেন, অথচ চলেছেন সংঘাতের পথে। নির্বাচন থেকে কিছুটা অন্তত শিক্ষা পেয়েছেন, তেমন সামান্যতম নিদর্শনও তিনি এই কদিনে রাখতে পারেননি।’
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু পত্রিকায় আজ শনিবার প্রকাশিত এক মতামতধর্মী নিবন্ধে মোদি ও তাঁর সরকারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করে সোনিয়া লিখেছেন, ‘প্রচারের সময় যিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য বলে জাহির করেছিলেন, তাঁর কাছে এই নির্বাচন ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। যে বিভাজন নীতি ও ঘৃণার রাজনীতি তিনি অনুসরণ করে চলেছিলেন, দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। অথচ তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এত দিন যেভাবে চলেছেন, সেভাবেই চলবেন।’
কেন তিনি এই অভিমত দিচ্ছেন, সোনিয়া তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। একের পর এক নিদর্শন দেখিয়ে বুঝিয়েছেন, মোদির আচরণগত কোনো পরিবর্তনই দৃশ্যমান নয়। প্রথমেই তিনি টেনেছেন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন প্রসঙ্গ। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দূতদের সরাসরিই বলা হয়েছিল, কংগ্রেস এই ক্ষেত্রে সরকারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। সরকারের মনোনীত ব্যক্তিকেই স্পিকার পদে মেনে নেবে। কিন্তু সরকারের উচিত প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের ছেড়ে দেওয়া। অথচ এই ন্যায্য চাহিদাটুকু সরকার মানল না।
সোনিয়া নিবন্ধে লেখেন, দ্বিতীয়ত, নিরপেক্ষ থাকা যাঁর ধর্ম সেই নবনির্বাচিত স্পিকারকে দিয়ে সরকার জরুরি অবস্থাসংক্রান্ত বয়ান দেওয়াল। এটা করার উদ্দেশ্য সংবিধানকে যেভাবে তারা পদদলিত করে চলেছে, তা থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ঘোরানো। অথচ ঘটনা হলো, ১৯৭৭ সালে দেশের মানুষ জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল এবং সেই রায় কংগ্রেস দ্বিধাহীন চিত্তে মেনে নিয়েছিল। তার তিন বছর পর সেই পর্যুদস্ত দলটি যে বিপুল সংখ্যায় জিতে ফিরে এসেছিল, মোদি ও তাঁর দল তা কোনো দিন অর্জন করতে পারেনি।
মোদি সরকারের আচরণ কেমন ছিল, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে সোনিয়া লিখেছেন, ‘১৪৬ সদস্যকে বহিষ্কার করে সেই সরকার বিনা আলোচনায় বিতর্কিত দণ্ডবিধি বিল পাস করেছে। বহু বিশেষজ্ঞ ওই তিন আইন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। আমরাও তা-ই চাই। একই সঙ্গে পাস করানো হয়েছিল বন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আইনের সংশোধন। প্রধানমন্ত্রীর আওড়ানো সহমত অনুযায়ী এগুলোও পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’
এরপরই সোনিয়া গান্ধী টেনে এনেছেন সর্বভারতীয় পরীক্ষা ‘নিট’-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত বিতর্ককে। বলেছেন, এ নিয়ে সরকার সংসদে আলোচনায় প্রস্তুত নয়। প্রধানমন্ত্রীও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন অথচ তিনি বারবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ করে থাকেন। এ কথা লেখার পাশাপাশি সোনিয়া বলেছেন, মূল সমস্যা গত ১০ বছরে শিক্ষাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মকভাবে ধ্বংস করা।
সংখ্যালঘু নির্যাতন, ঘৃণা ভাষণের মাত্রা আবার নতুন করে বেড়ে গেছে লিখে সোনিয়া বলেছেন, শুরু হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে বুলডোজার নীতি। তাদের লক্ষ্য বিচারের বাইরে সংখ্যালঘুদের চটজলদি শাস্তি দেওয়া। সাম্প্রদায়িকতায় খোলাখুলি উসকানি দেওয়া হয়েছিল। তা মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করেছে। প্রধানমন্ত্রী হারিয়েছেন তাঁর মর্যাদা।
মণিপুর প্রসঙ্গে সোনিয়া লিখেছেন, ‘ক্ষমতা লাভের ১৫ মাসের মধ্যে মণিপুর জ্বলতে শুরু করেছে। তাকে জ্বলতে দেওয়া হয়েছে। অথচ এত প্রাণহানি, হানাহানি, হিংসা, ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী একবারও সেখানে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। এই কারণেই তাঁর দল সেখানে দুটি আসনই হারিয়েছে। কিন্তু তাতে এখনো তাঁর কোনো হেলদোল নেই।’
মোদি সরকারের এই কঠোর সমালোচনার পর সোনিয়া লিখেছেন, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সংঘাত চায় না। বিরোধীরা যে সহযোগিতা চায়, বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। জোটের অন্য নেতারাও বলেছেন, তাঁরা চান সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করুক এবং সভা নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হোক।
নিবন্ধটি সোনিয়া শেষ করেছেন এই বলে, ‘প্রাথমিক দিনগুলো ভালো চলেনি ঠিকই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার ইতিবাচক সাড়া দেবেন। বিরোধীরা কার্যকর সংসদ উপহার দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁরা চান কোটি কোটি মানুষের কথা তুলে ধরতে। তাঁদের কণ্ঠ যেন রুদ্ধ না হয়। আশা করি, সরকারপক্ষ আমাদের গণতান্ত্রিক কর্তব্য পালনে সাহায্য করবে।’
গতকাল শুক্রবার লোকসভায় রাহুল গান্ধী ও রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ‘নিট’সংক্রান্ত আলোচনা করতে অনুমতি দেননি সভাধ্যক্ষরা। রাহুলের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছিল। চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য খাড়গেকে সভার ওয়েলে নেমে আসতে হয়েছিল। কিন্তু দুই কক্ষেই মুলতবি প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়নি।
খাড়গে আজ শনিবার ‘এক্স’ হ্যান্ডলে সোনিয়ার পুরো নিবন্ধ তুলে দিয়েও ওই একই কথা লিখেছেন, ‘সহমতের কথা বলা হচ্ছে, অথচ সংঘাতে দেওয়া হচ্ছে উৎসাহ।’
source : প্রথম আলো