পরিদর্শনে দুদকের তদন্ত দল, পিচ-পাথরের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
***********************************************************************
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেহাল অবস্থা দেখতে ও সংস্কারকাজে দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের একটি তদন্ত দল। গতকাল বুধবার দুপুরে দলটি মহাসড়কটি পরিদশর্ন করে। তদন্ত দলটির সদস্যরা ঝিনাইদহের অংশসহ অন্তত ২০ কিলোমিটার ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে পিচ-পাথরের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
দলটির নেতৃত্বে ছিলেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক ও তদন্ত দলের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তদন্ত দলটির সদস্যরা জানান, প্রথম আলো পত্রিকার খবরের পর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুদকের দলটি গতকালই তদন্তে নামে। তবে এদিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় নির্বাচন থাকায় সরকারি সব অফিস বন্ধ ছিল। এ কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাউকে তাঁরা পাননি। তবে তাঁদের কাছে সড়ক সংস্কারকাজের সব কাগজপত্র চাওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত (ড্যামেজ) স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে তাঁদের চিঠি পাঠানো হয়। দ্রুত তদন্ত করার জন্য নির্দেশ পেয়ে তাঁরা বুধবারই মহাসড়কটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো দেখতে যান।
মহাসড়কটির ঝিনাইদহ অংশের তেঁতুলতলায় মাটি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে মেরামতকাজ করতে দেখেন। মহাসড়কের অন্যান্য জায়গা দু–এক দিনের মধ্যে ঠিক করা হয়েছে। তাঁরা যেটা দেখেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহারের কারণেই মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, তদন্তকালে তাঁরা এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের বিভিন্ন স্থানে উঁচু ঢিবি আর গর্ত তৈরি হয়েছিল। পাশ থেকে দেখতে ঢেউখেলানো মনে হতো। উঁচু ঢিবিগুলো দেখতে অনেকটা সড়ক বিভাজনের মতো ছিল। জাতীয় এই মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের মনে হয়েছে সংস্কারকাজে অনিয়ম–দুর্নীতি হতে পারে। তাই তাঁরা সড়কের পিচ-পাথরের নমুনা ল্যাব পরীক্ষার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
এদিকে গত কয়েক দিন থেকে মহাসড়কের উঁচু ঢিবিগুলো মাটি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে উঁচু ঢিবি কাটাও হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। দু–চার দিন যেতে না যেতেই আবার আগের মতো গর্ত তৈরি হচ্ছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ অংশের ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল থেকে কালীগঞ্জের নিমতলা পর্যন্ত একাধিক স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবিতে পরিণত হয়েছিল। মহাসড়কটি সংস্কারের ৬ মাস যেতে না যেতেই মাঝেমধ্যে এ অবস্থা তৈরি হচ্ছিল। স্থানীয় সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে যা মাটি খননযন্ত্র দিয়ে কাটা হতো, কিন্তু কাটার দুই থেকে চার দিন যেতে না যেতেই আবার একই অবস্থা তৈরি হতো। দুই সপ্তাহ আগে থেকে সড়কের ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অংশের বাইপাস রোড, চুটলিয়া, তেঁতুলতলা, বিষয়খালী, কয়ারগাছি, কালীগঞ্জ উপজেলা অংশের খয়েরতলা, কলেজ মোড় ও নিমতলা এলাকায় খুবই খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ৭ মে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন দুদকের পক্ষ থেকে মহাসড়কটির অবস্থা তদন্ত করে দেখা হয়।
source : প্রথম আলো।
আমি তোমাকে দেখাব
দেখুন আমি কিন্তু চিৎকার করব, ছাড়ুন আমার হাত।
"করো চিৎকার।" শাওন শান্তভাবে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল।
আমি হাত ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে বললাম, লাগছে আমার ছাড়ুন আমাকে।
"কী মনে করো তুমি আমাকে?" শাওন বলল।
https://www.lovestory-bd.com/2....024/05/blog-post_86.
দরজা খুলে শাওন রুমে ঢুকতেই আমার ভয় লাগতে শুরু হলো। লাগাটাই স্বাভাবিক। কারন কয়েকদিন আগেই আমি আমার বান্ধবীর ফুলসজ্জার গল্প শুনেছিলাম। ওর বিয়ে মাত্র ১০ দিন আগে হয়েছে। ওর বছস ১৫ বছর। আমার চেয়ে ও ১ বছরের ছোটো।
https://www.lovestory-bd.com/2....024/05/blog-post_9.h
‘আমি ছেলেকে ছাড়া বাঁচব কী করে’
***********************************************************************
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের বৈমানিক নিহত আসিম জাওয়াদ ওরফে রিফাতের (৩১) মানিকগঞ্জের বাড়িতে চলছে মাতম। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্বজনেরা শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার বাসায় গিয়ে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়।
নিহত আসিম জাওয়াদ সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের চিকিৎসক আমান উল্লাহর ছেলে। তাঁদের শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকায় একটি বহুতল ভবনে একটি ফ্ল্যাট আছে। মা নিলুফা আক্তার খানম ও বাবা আমান মানিকগঞ্জ শহরে ওই ফ্ল্যাটে থাকেন। বৈমানিক আসিম জাওয়াদের স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে মা নিলুফা আক্তার বাসার একটি কক্ষের মেঝেতে শুয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা সেবাযত্ন করছেন। এরই মাঝে বলে ওঠেন, ‘আমার ছেলে কোথায়? আমার ছেলেকে এনে দাও। আমি ছেলেকে ছাড়া বাঁচব কী করে।’ এরপর তিনি আবার মূর্ছা যান। নিহত বৈমানিকের বাবা আমান উল্লাহকে বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিকেলে তিনি চট্টগ্রামে যান।
২০১৬ সালে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ অন্তরা খানমকে বিয়ে করেন। তাঁদের আয়েজা খানম নামের ছয় বছরের এক মেয়ে এবং এক বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে থাকতেন।
স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের খালাতো ভাই মো. মশিউর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল বৈমানিক হবেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে অকালে সবাইকে শোকে রেখে তিনি চলে গেলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০ মার্চ ১৯৯২ সালে আসিম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ঢাকার সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে বিএসসি (অ্যারো) পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।
চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে আগুন লাগার পরে আসিম জাওয়াদ ও অপর একজন বৈমানিক প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়।
source : প্রথম আলো।
একসাথে থাকবে?
(গত রাতের ঘটনা)
- " ছাড়ুন আমাকে। লাগছে আমার।"
শাওন ওর আঙুল দিয়ে আমার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে দিল। আমি ওনাকে ধাক্কা দেবার চেষ্টা করে বললাম, "শাওন দা প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।"
https://www.lovestory-bd.com/2....024/05/blog-post_50.
নতুন গৃহকর স্থগিত চেয়ে সিলেটে মানববন্ধন, প্রতিবাদ চলছেই
***********************************************************************
দলমত–নির্বিশেষে সিলেট নগরের সর্বস্তরের লোকজন নতুন গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাতিল চান। এমনটিই দাবি করেছেন সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় কয়েক শ মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন কর্মসূচি করে তাঁরা এমন দাবি জানান।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনিও নতুন গৃহকর বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে নতুনভাবে গৃহকর নির্ধারণের পরামর্শও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেন।
এর আগে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর গত ৩০ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন নতুন নির্ধারিত বার্ষিক গৃহকর অনুযায়ী, ভবনমালিকদের গৃহকর পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে। এরপর নগরের প্রায় পৌনে ১ লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। এ নিয়ে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর পর থেকে প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন সংগঠন গৃহকর বাতিলের দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শুরু করে।
আজ বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘সিলেটের নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এতে সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে ভুক্তভোগী কয়েক শ ভবনমালিকও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা ‘সিটি করপোরেশনের আরোপিত লাগামহীন, অযৌক্তিক, অন্যায্য গৃহকর’ বাতিলের দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন বাসদ সিলেটের সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল। এতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন। বক্তারা নতুন গৃহকরকে ‘ভৌতিক গৃহকর’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ১০০ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত গৃহকর বাড়ানো হয়েছে। এ তথ্য পাগলেও বিশ্বাস করবে না। অথচ এটাই সত্য।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি সিলেটের সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জাসদ সিলেটের সভাপতি লোকমান আহমদ, সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বজ্র গোপাল, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেটের সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, বাসদ সিলেটের আহ্বায়ক আবু জাফর, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী, সিলেট জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা প্রমুখ।
সমাবেশে জানানো হয়, আগামী সোমবার বেলা দুইটায় কোর্ট পয়েন্টে জমায়েত হয়ে তিনটার দিকে মেয়র বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে নতুন গৃহকর বাতিলের দাবি জানানো হবে। এ সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে ৪২টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নিয়ে নতুন আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে বেলা তিনটার দিকে আগের পরিষদের বিদায়ী সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরের কুমারপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, নতুন গৃহকর সাবেক পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত এবং বর্তমান পরিষদ সেটা বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু মূল কথা হলো, আমরা অ্যাসেসমেন্ট করার পর স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বর্গফুটে দুই টাকা বাড়িয়ে গৃহকর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘প্রতি বর্গফুটে দুই টাকা বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নাগরিকদের সঙ্গে আবারও আলাপ-আলোচনা হয়। তখন দুই টাকা বাড়ানোর বিষয়েও নাগরিকদের পক্ষ থেকে আপত্তি আসে। তাই বিষয়টি তখনই আমরা স্থগিত করি। সেই স্থগিত করা সিদ্ধান্তই এখন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের আগে নাগরিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা উচিত ছিল।’
source : প্রথম আলো।
মেট্রোরেল ব্যবহারের সুবিধার্থে টঙ্গীবাসীর জন্য শাটল বাস সার্ভিস চালু
***********************************************************************
মেট্রোরেল ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের জন্য গাজীপুরের টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত শাটল বাস সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এর মাধ্যমে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকার লোকজন সহজেই মেট্রোরেলের সুবিধা পাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে বাস সার্ভিসটি চালু হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির লোকজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেলের স্টেশন। এখান থেকেই মেট্রোরেলে লোকজন যাতায়াত করেন। মেট্রোরেলটি ব্যবহারের জন্য উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে দিয়াবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত বিআরটিসি বাস (শাটল সার্ভিস) চালু রয়েছে। কিন্তু টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত সরাসরি কোনো বাস সার্ভিস ছিল না। সে ক্ষেত্রে টঙ্গী বা আশপাশের লোকজন মেট্রোরেল ব্যবহার করতে চাইলে তাঁদের ভেঙে ভেঙে যেতে হতো। এতে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে বাস সার্ভিসটি হাউস বিল্ডিং থেকে বাড়িয়ে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, বাস সার্ভিসটি শুরু হবে প্রতিদিন সকাল ৭টায়। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর মাধ্যমে যাত্রীরা প্রথমে টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে বিআরটিসি বাস ব্যবহার করে দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে মেট্রোরেল ব্যবহার করে যাবেন ঢাকায়। প্রথম অবস্থায় বাস চলাচল করবে ১১টি। ভাড়া ২২ টাকা।
বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক মেজর মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ টঙ্গী থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত আমাদের শাটল বাস সার্ভিস চালু হলো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক যাত্রী মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। পরবর্তী সময়ে চাহিদা বা পরিস্থিতি অনুযায়ী সার্ভিসটি গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত বর্ধিত করা হতে পারে।’
বাস সার্ভিসটির উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল। পরে তিনিই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সফল একটি প্রকল্প হলো মেট্রোরেল। এটি চালু হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ খুব সহজেই ঢাকায় যাতায়াত করতে পারছেন। ২-৩ ঘণ্টার রাস্তা ২০ মিনিটেই চলে যেতে পারছেন। টঙ্গীবাসী এত দিন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাঁরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ রাখা হয়েছে। এখন সহজেই টঙ্গীবাসী মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির জোয়ার সাহারা বাস ডিপোর ম্যানেজার অ্যান্ড অপারেশন মো. কামরুজ্জামান, গাজীপুর বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) রাকিবুল হাসান, গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়নের সভাপতি মো. শামসুল হক প্রমুখ।
source : প্রথম আলো।