১৯৯৯ সালে আর্জেন্টিনার মাউন্ট লুল্লাইলাকোর ২২,০০০ ফুট উঁচু চূড়া থেকে আবিষ্কৃত হয় এই ১৫ বছর বয়সী ইনকা মেয়েটির মমি। ৫০০ বছর ধরে বরফের নিচে হিমায়িত অবস্থায় থাকার পরও এর সংরক্ষণ অবস্থা এতটাই অসাধারণ যে, এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা সংরক্ষিত মমিগুলির মধ্যে অন্যতম।
ভাবতে অবাক লাগে, এর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিল অক্ষত, হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে রক্ত তখনও বিদ্যমান ছিল, এমনকি ত্বক ও মুখের বৈশিষ্ট্যও প্রায় অবিকৃত ছিল! বিজ্ঞানীরা সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতির সাহায্যে এর মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, যকৃত, কিডনি এবং অগ্ন্যাশয় স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছেন।
এই মেয়েটি, যার নাম দেওয়া হয়েছিল “লা ডনসেলা” (The Maiden), ইনকাদের ‘ক্যাপাকোচা’ নামক এক ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে ব"লি হয়েছিল। ইনকারা বিশ্বাস করত, পর্বত দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এবং সম্রাটের মঙ্গল নিশ্চিত করতে এই ধরনের ব"লি"দান প্রয়োজন ছিল। ব"লিদা"নের আগে শিশুদের কো"কা পাতা এবং অ্যা"লকোহ"ল দিয়ে মাদকাসক্ত করা হতো, তারপর তাদের মাটির নিচে একটি ছোট চেম্বারে রেখে দেওয়া হতো, যেখানে তারা ঠান্ডায় জমে "*মা"রা যেত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ব"লি"দানের কয়েক মাস আগে থেকে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, যেখানে ভুট্টা ও লামার মাংসের মতো অভিজাত খাবার যোগ করা হতো। লা ডনসেলার চুলের রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃ"ত্যু"র মাসখানেক আগে থেকে তার কোকা ও অ্যা"ল"কোহ"ল সেবনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছিল।
এই মমিগুলো কেবল প্রাচীন ইনকা সভ্যতার জীবনযাত্রাই নয়, বরং প্রাকৃতিক হিমায়নের মাধ্যমে মানবদেহ কীভাবে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত থাকতে পারে, তারও এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে, এই মমিগুলো সাল্টার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত আছে।
২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, Captain Chesley "Sully" Sullenberger একটি যাত্রীবাহী বিমান US Airways Flight 1549-কে Hudson River-এ নামিয়ে সকল যাত্রী ও ক্রুকে বাঁচান। এই ঘটনাকে বলা হয় উড়োজাহাজ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল পানিতে অবতরণ।
LaGuardia Airport, New York City থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি একটি বড় পাখির ঝাঁক এর সাথে ধাক্কা খায়। এতে বিমানের দুইটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ইঞ্জিন চালু করা যায়নি। 💔
তখন Captain Sully বুঝতে পারেন যে বিমানটি LaGuardia বা আশেপাশের New Jersey-র কোনো এয়ারপোর্টে-এ অবতরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন যে, পানিতে জরুরি অবতরণ করাই সবার জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। যদিও এটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তিনি সফলভাবে Hudson River-এ বিমানটি অবতরণ করান — এবং সবাই নিরাপদে বেঁচে যান।❤️🩹
কথায় আছে, ঈগলের পিঠে চেপে বসতে পারে একমাত্র পাখি হলো কাক। এই কাক কখনো কখনো ঘাড়ে ঠোকর মেরে, তাকে বিরক্ত করার দুঃসাহস দেখায়। কিন্তু ঈগল কি করে? সে কি তার এই বিরক্তিকর সঙ্গীর সাথে লড়াইয়ে নামে? না, ঈগল শুধু করে একটি কাজ – সে আরও উঁচুতে উড়ে যায়। যেখানে কাক টিকতে পারে না, শ্বাস নিতে পারে না। শেষমেশ কাক নিজেই হাল ছেড়ে পিঠ থেকে পড়ে যায়।
এই বাস্তবতা আমাদের জীবনের জন্যও এক অনন্য অনুপ্রেরণা। আমাদের চারপাশে অনেক কাক-স্বরূপ মানুষ রয়েছে – সমালোচক, হীনমন্য, ঈর্ষান্বিত, যারা আপনার সাফল্যকে হজম করতে পারে না। তারা কখনো আপনাকে ছোট করার চেষ্টা করবে, কখনো আপনার বিশ্বাসে আঘাত করবে। বন্ধুর ছদ্মবেশে, সহকর্মীর মুখোশে, এমনকি কাছের আত্মীয়রাও হতে পারে এই কাক-চরিত্রের ধারক।
কিন্তু আপনি যদি তাদের পাল্টা উত্তর দিতে যান, তাদের অপমানের জবাবে উত্তরে সময় ব্যয় করেন, তবে আপনি ধীরে ধীরে আপনার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন। আপনি যদি ঈগলের মতো হন, তাহলে আপনাকে জানতে হবে – আসল লড়াইটা নিজেকে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, নিচে থাকা কাকের সাথে নয়।
আপনার সাফল্যই হবে সেরা প্রতিশোধ। যত সমালোচনা আসুক না কেন, আপনি যদি প্রতিনিয়ত নিজের কাজের মাধ্যমে উন্নতি করেন, আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখেন, তবে একসময় সেই সমালোচকরাই হার মানবে। কারণ আপনার উচ্চতা, আপনার মানসিক দৃঢ়তা, আপনার লক্ষ্য – এই সবই এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে কাকেরা টিকতে পারবে না।
উচ্চতা মানে শুধুমাত্র সামাজিক মর্যাদা নয়, বরং এটি আপনার চরিত্র, আপনার ধৈর্য, আপনার সহনশীলতা, আর আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতীক। জীবনের এই পথচলায় যখনই কোনো কাক দেখবেন, নিজেকে মনে করিয়ে দিন – ঈগল কিন্তু কখনো কাকের সাথে লড়াই করে না। সে শুধু আকাশে আরও ওপরে উঠে যায়।
তাই আপনি যখন নিজের পথে হাঁটছেন, যখন চারপাশের মানুষ আপনাকে নিয়ে অকারণে বিচার করছে, তখন মনে রাখবেন – তারা আপনাকে নিচে রাখতে চায়, কারণ তারা জানে আপনি অনেক ওপরে যেতে পারবেন। আর আপনি যদি ঈগলের মতো হন, তাহলে তাদেরকে আপনার সাথে নিয়ে উঁচুতে উড়ুন, যেখানে তাদের টিকে থাকা অসম্ভব।
তাই সমালোচকের সাথে নয়, নিজের উন্নতির দিকেই মনোযোগ দিন। কারণ সত্যিকার বিজয় তখনই আসে, যখন আপনি প্রমাণ না দিয়ে নিজের উচ্চতা দিয়ে সবাইকে নীরব করে দেন।
২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, Captain Chesley "Sully" Sullenberger একটি যাত্রীবাহী বিমান US Airways Flight 1549-কে Hudson River-এ নামিয়ে সকল যাত্রী ও ক্রুকে বাঁচান। এই ঘটনাকে বলা হয় উড়োজাহাজ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল পানিতে অবতরণ।
LaGuardia Airport, New York City থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি একটি বড় পাখির ঝাঁক এর সাথে ধাক্কা খায়। এতে বিমানের দুইটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ইঞ্জিন চালু করা যায়নি। 💔
তখন Captain Sully বুঝতে পারেন যে বিমানটি LaGuardia বা আশেপাশের New Jersey-র কোনো এয়ারপোর্টে-এ অবতরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন যে, পানিতে জরুরি অবতরণ করাই সবার জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। যদিও এটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তিনি সফলভাবে Hudson River-এ বিমানটি অবতরণ করান — এবং সবাই নিরাপদে বেঁচে যান।❤️🩹
১৯৯৯ সালে আর্জেন্টিনার মাউন্ট লুল্লাইলাকোর ২২,০০০ ফুট উঁচু চূড়া থেকে আবিষ্কৃত হয় এই ১৫ বছর বয়সী ইনকা মেয়েটির মমি। ৫০০ বছর ধরে বরফের নিচে হিমায়িত অবস্থায় থাকার পরও এর সংরক্ষণ অবস্থা এতটাই অসাধারণ যে, এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা সংরক্ষিত মমিগুলির মধ্যে অন্যতম।
ভাবতে অবাক লাগে, এর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিল অক্ষত, হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে রক্ত তখনও বিদ্যমান ছিল, এমনকি ত্বক ও মুখের বৈশিষ্ট্যও প্রায় অবিকৃত ছিল! বিজ্ঞানীরা সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতির সাহায্যে এর মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, যকৃত, কিডনি এবং অগ্ন্যাশয় স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছেন।
এই মেয়েটি, যার নাম দেওয়া হয়েছিল “লা ডনসেলা” (The Maiden), ইনকাদের ‘ক্যাপাকোচা’ নামক এক ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে ব"লি হয়েছিল। ইনকারা বিশ্বাস করত, পর্বত দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এবং সম্রাটের মঙ্গল নিশ্চিত করতে এই ধরনের ব"লি"দান প্রয়োজন ছিল। ব"লিদা"নের আগে শিশুদের কো"কা পাতা এবং অ্যা"লকোহ"ল দিয়ে মাদকাসক্ত করা হতো, তারপর তাদের মাটির নিচে একটি ছোট চেম্বারে রেখে দেওয়া হতো, যেখানে তারা ঠান্ডায় জমে "*মা"রা যেত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ব"লি"দানের কয়েক মাস আগে থেকে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, যেখানে ভুট্টা ও লামার মাংসের মতো অভিজাত খাবার যোগ করা হতো। লা ডনসেলার চুলের রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃ"ত্যু"র মাসখানেক আগে থেকে তার কোকা ও অ্যা"ল"কোহ"ল সেবনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছিল।
এই মমিগুলো কেবল প্রাচীন ইনকা সভ্যতার জীবনযাত্রাই নয়, বরং প্রাকৃতিক হিমায়নের মাধ্যমে মানবদেহ কীভাবে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত থাকতে পারে, তারও এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে, এই মমিগুলো সাল্টার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত আছে।