ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের ৪ বছরে দেখলাম "যত বিবাহিত মেয়ে একাউন্ট ওপেন করতে আসে বা ডিপি এস, সঞ্চয় পত্র কিনতে আসে ৯০% মেয়ে বা মহিলা তার স্বামীকে নমিনি দিতে চায় না, নমিনী দেয় তার মা বাবা অথবা ভাই বোনকে, কিন্তু বিবাহিত পূরুষদের ৯৫% ই স্ত্রীকে নমিনি দিতে চায়।"
তার মধ্যে অনেক প্রায় ২০% আসে তার সম্পূর্ণ আয় স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রাখে।
কিন্তু ২% স্ত্রী পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ যে নিজের ইনকাম স্বামীর নামে রাখা।
এটাই নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য।
লেখকঃ একজন ব্যাংকার।
ফোকাস বলেন বা লাইফের যেকোন কিছুতে, একটা জিনিস আপনি যদি মনে রাখতে না পারেন তাহলে লাইফ মিজারেবল হয়ে উঠতে বাধ্য। সেটি হলো, “ভ্যালু আর প্রাইসের” পার্থক্য বুঝা।
আমাকে যদি কেউ বলে সবচাইতে সেরা পরামর্শ কী আপনার মতে, তাহলে আমি এটিই বলব, ভ্যালু আর প্রাইস যে এক জিনিস না এ সম্পর্কে ক্লিয়ার থাকেন। প্রাইসের থেকে ভ্যালুকে গুরুত্ব দেন সর্বদা।
ভ্যালু হচ্ছে কোন জিনিসের ভেতরের সার। ইন্ট্রিনসিক ভ্যালু। এর প্রকৃত কার্যকারীতা। এর উপকারীতা আপনার লাইফে।
আর প্রাইস হচ্ছে, সোসাইটি বা অন্য মানুষেরা সেই জিনিসকে কীভাবে দেখে। সে অনুসারে তারা প্রাইস ঠিক করে।
আপনার কাছে এক জিনিসের ভ্যালু ১০০০০ ধরা যাক। সোসাইটি এর দাম ১ টাকা দিয়ে দিতে পারে।
অধিকাংশ মানুষ সোসাইটির দেয়া প্রাইস অনুযায়ী ভাবতে থাকে। তারা ঐ ১০০০০ ভ্যালুর জিনিসকে ১ টাকার মনে করতে থাকে।
আবার কোন জিনিসের ভ্যালু ১, এবং সোসাইটি তার প্রাইস ১০০০০ করে রাখলে, ঐ জিনিসকে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
পার্টনার চয়েজ থেকে শুরু করে, প্রেম, বিলাসিতা, মুভি, বই সিলেকশন, স্টক কেনা – জীবনের সব ক্ষেত্রে আপনি এটি দেখতে পাবেন, একটু ভাবলেই।
পরিচালক সৃজিত Srijit Mukherji অভিনেত্রী মিথিলাকে বিয়ে করলে মানুষ ট্রল করে। হাসে। একটা ছবিতে গুহার ছবি দিয়ে, আর পাশে সৃজিতের ছবি দিয়ে ট্রল করে।
এই যে ট্রল, এগুলি সোসাইটির প্রাইস। তারা মনে করছে সৃজিত এটাই পেলো।
কিন্তু আসলে সৃজিত কী পেয়েছে?
সেটা নির্ভর করছে তার লাইফে সে কী চায়, যে জিনিস সে পেয়েছে সেটির ভ্যালু তার লাইফে কেমন।
সৃজিত যদি সোসাইটির দেয়া প্রাইসের উপর বিশ্বাস রাখতো, তাহলে সে ভ্যালু পেতো না কখনোই। আপনি রাখলে আপনি পাবেন না কোন ক্ষেত্রেই। প্রকৃত লুজার হবার সবচাইতে ভালো এবং অব্যর্থ উপায় হলো ভ্যালুকে গুরুত্ব না দিয়ে সোসাইটির দেয়া প্রাইস দিয়ে কোন জিনিসকে বিচার করা।
সিম্পল উদাহরন এটি, পপুলার ঘটনা এবং সাম্প্রতিক তাই উল্লেখ করলাম। এরকম আপনি প্রচুর পাবেন, সব ক্ষেত্রে।
তাই মনে রাখবেন, ভ্যালুটা গুরুত্বপূর্ণ। ঐ জিনিস, ঐ শিক্ষা বা এন্টারটেইনমেন্ট বা ব্যক্তি আপনাকে কী ভ্যালু দিচ্ছে, সেটাই আপনার কাছে এর প্রকৃত মূল্য। সোসাইটির ধরে দেয়া দাম, এগুলি গর্দভদের জন্য।
অধিকাংশ মানুষ গর্দভ হতে হবে বিদ্যমান সোসাইটি ফাংশন করার জন্য। এজন্যই সোসাইটিতে মানবাধিকার নেই, এবং মানবাধিকার যে নেই তা এখানে বাস করা বেশিরভাগ মানুষগুলা বুঝেও না। বুঝবেও না। এটি সমস্যা নয়, আপনি সেই দলে না থাকলেই হলো।
যে জিনিসটা দিয়ে শুরু করেছিলাম, দি কনজুরার, সোসাইটি এখানে কনজুরারের ভূমিকা পালন করে। আপনারে ভ্যালু থেকে ডিস্ট্র্যাক্ট করে প্রাইসে নিয়ে যায়। আর আপনি প্রাইস দিয়েই তখন সকল কিছু বুঝেন। ওদিকে আপনার ভ্যালুয়েবল জিনিস পাওয়া হয় না, বা থাকলেও আপনি তা হারিয়ে ফেলেন।