💔 মালয়েশিয়ার ২৮ বছর বয়সী এক নারীর গর্ভাবস্থায় দ্রুত শারীরিক পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, যা তাকে বয়সের চেয়ে কয়েক দশক বড় দেখাচ্ছিল। গর্ভাবস্থায় তার ত্বকে গভীর ভাঁজ, বেদনাদায়ক প্রদাহ এবং পুঁজ ভর্তি ফুসকুড়ি দেখা দেয়, সেই সাথে নাক ও কান বড় হয়ে যাওয়ায় যারা তাকে চিনত, তাদের কাছে তাকে প্রায় অচেনা লাগছিল।
চিকিৎসকরা পরে ব্যাখ্যা করেন যে বিরল এবং চরম হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই পরিবর্তনগুলো ঘটেছে — যার ফলে তার ত্বক এবং টিস্যুগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিল যা আগে খুব কমই দেখা গেছে। 🧬 যদিও অনেক মহিলার গর্ভাবস্থায় ব্রণ বা ফোলাভাবের মতো হালকা উপসর্গ দেখা যায়, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ধরনের গুরুতর ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
তারা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা প্রতিরোধ এবং প্রসবের পরে ত্বকের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য হরমোন ও চর্মরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তার এই গল্প মাতৃত্বের অজানা চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্ম দিয়েছে — বিশ্বকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে গর্ভাবস্থা সবসময় হাসি এবং শান্ত ছবি তোলার মতো নাও হতে পারে।
কারও কারও জন্য, এটি নীরব সাহস এবং ত্যাগের দ্বারা চিহ্নিত একটি ক্লান্তিকর, বেদনাদায়ক যাত্রা। 🌸 চিকিৎসকরা আশা করছেন যে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তার শরীর সুস্থ হবে এবং তার স্বাভাবিক চেহারা অনেকটাই ফিরে আসবে। কিন্তু শারীরিক সুস্থতার বাইরে, তার স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তি অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে — যা প্রমাণ করে যে একজন মায়ের ভালোবাসা কঠিনতম পরিবর্তনের মধ্য দিয়েও টিকে থাকে। 💛
ছবির ব্যক্তির নাম কিং বিলি। তাসমানিয়া দ্বীপের শেষ আদিবাসী পুরুষ তিনি। পশ্চিমারা এই জাতি ও জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
কিং বিলি নামটি দেওয়া হয়েছিল বিদ্রূপ করে। তার প্রকৃত নাম ছিল উইলিয়াম ল্যানি। জন্ম আনুমানিক ১৮৩৫ সালে, তাসমানিয়া দ্বীপে। তখন দ্বীপের নাম ছিল ভ্যান ডিমেনস ল্যান্ড।
এই আদিবাসীরা ছিল শান্তিপ্রিয়। তারা যুদ্ধ বা অস্ত্র চিনত না। তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল "আমাদের শান্তিতে থাকতে দাও"।
কিন্তু যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এল, তারা ঘোষণা দিল, এই দ্বীপে কেউ নেই! শুরু হলো ১৯ শতকে এক ভয়ংকর গ.ণ.হ.ত্যা, যা পরিচিত "কালো যুদ্ধ" নামে।
আদিবাসীদের জমি থেকে উৎখাত করা হলো। পুরুষদের হ.ত্যা. করা হলো ।
নারী ও শিশুদের বন্দি করে পাঠানো হলো কথিত সভ্যতা শিবিরে।
সেখানে তারা মারা গেল নির্যাতন, রোগ ও অপুষ্টিতে।
উইলিয়াম ল্যানি ছিলেন সেই অল্প কয়েকজন শিশুর একজন, যিনি এই গ.ণ.হ.ত্যা থেকে বেঁচে যান। তাকে পাঠানো হয় ফ্লিন্ডার্স দ্বীপে, যেখানে তাকে "সভ্যতা ও উন্নয়ন" কর্মসূচির আওতায় রাখা হয়।
তিনি দেখলেন, তার জাতির সংখ্যা ১৫,০০০ থেকে কমে, মাত্র কয়েকজন হয়ে গেছে, শেষে শুধু তিনিই রইলেন।
পরে তিনি হোবার্ট শহরে চলে আসেন, সেখানে তিনি নাবিক হিসেবে কাজ করেন। ইউরোপীয়রা তাকে দেখতে লাগল এক "অন্যরকম" মানুষ হিসেবে- যাকে "নমুনা" হিসেবে সংরক্ষণ করার চিন্তা করল তারা।
তাকে দেওয়া হলো একটি ব্যঙ্গাত্মক উপাধি, কিং বিলি।
১৮৬৯ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। সম্ভবত যক্ষ্মা বা নিউমোনিয়ায়।
কিন্তু মৃত্যুর পরও তার প্রতি অবমাননা থামেনি। তার দেহ নিয়ে শুরু হয় লড়াই- হোবার্টের ব্রিটিশ রাজকীয় জাদুঘর এবং স্থানীয় মেডিকেল কলেজের মধ্যে।
কে পাবে তার দেহ?
পরে তার মাথা কে.টে. নেওয়া হয়। চুরি করা হয় তার খুলি ও যৌ.না.ঙ্গ। তথাকথিত "নৃবিজ্ঞান" গবেষণার নামে। যা ছিল বর্ণবাদী শ্রেষ্ঠত্ব তত্ত্বের অংশ।
তাসমানিয়ার সরকার এখনও তাকে সম্মানের সাথে পুনঃসমাধিস্থ করার প্রচেষ্টা করছে ।
২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল ছবিটি প্রকাশ করে। দুটি সাপ যুদ্ধে লিপ্ত। একটি অজগর, অন্যটি কিং কোবরা। দুজনেই শক্তিশালী এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ আর ক্ষমতাবান বলে মনে করে।
লড়াইয়ের এক পর্যায়ে অজগরটি কিং কোবরাকে মরণপাশে পেঁচিয়ে ধরে এবং কিং কোবরা অজগরটিকে অন্তিম ছোবল দেয়। শেষ পর্যন্ত দুটি সাপই মা*রা যায়; একটি শ্বাসরোধে, অন্যটি বিষে।
ঠিক এভাবেই মানুষ অন্যের চেয়ে নিজেকে বড় বা ক্ষমতাধর প্রমাণ করতে গিয়ে ধ্বংস ডেকে আনে।
আমাদের আশেপাশে ঠিক এইরকম খেলা চলমান আছে। কেউ কাউকে ছাড় দিতেই চায়না, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের ধংশ না হয়। সমস্যা থাকবে, সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা এমন এক আশ্চর্য আবিষ্কার করেছেন, যা বিজ্ঞানের পুরো ভিত্তিকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তারা আবিষ্কার করেছেন Thiomargarita magnifica — এমন এক ব্যাকটেরিয়া যা খালি চোখেই দেখা যায়!
এটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে প্রায় ৫,০০০ গুণ বড়, এবং সাদা সূক্ষ্ম সুতার মতো দেখতে যা দৈর্ঘ্যে ২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, কোনো মাইক্রোস্কোপ ছাড়াই এটি দেখা সম্ভব।
সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার আকার: ১–৫ মাইক্রোমিটার
এই ব্যাকটেরিয়ার আকার: ২০,০০০ মাইক্রোমিটার (২ সেন্টিমিটার)
এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের মাথায় যেন বাজ ফেলে দিয়েছে, কারণ—
ব্যাকটেরিয়া কখনোই খালি চোখে দেখার মতো বড় হওয়ার কথা নয়
এর কোষের ভেতরে আছে ঝিল্লিবেষ্টিত অভ্যন্তরীণ অংশ, যা সাধারণত শুধু প্রাণী, উদ্ভিদ ও ছত্রাকের কোষেই থাকে
এমনকি এর ডিএনএ আলাদা করে আবদ্ধ, অনেকটা “নিউক্লিয়াস”-এর মতো — যা আগে কোনো ব্যাকটেরিয়ায় দেখা যায়নি
এর জিনোম (DNA) পৃথিবীর অন্য যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় প্রায় তিনগুণ বড়
এই আশ্চর্য প্রাণীগুলো ক্যারিবিয়ান দ্বীপের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের পচা পাতার ওপর বেড়ে ওঠে। শুরুতে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন এগুলো হয়তো একাধিক ব্যাকটেরিয়ার উপনিবেশ, কিন্তু পরে জেনেটিক বিশ্লেষণে জানা যায় — এটি একটিই একক কোষ!
এই আবিষ্কার পুরো মাইক্রোবায়োলজির পাঠ্যবই পাল্টে দিচ্ছে। এতদিন আমরা শিখেছি, ব্যাকটেরিয়া হলো সাধারণ প্রোক্যারিওটিক জীব— যাদের কোনো নিউক্লিয়াস বা জটিল গঠন নেই। কিন্তু Thiomargarita magnifica প্রমাণ করল, প্রকৃতি নিজেই নিয়ম ভাঙে, আর জটিলতার জন্ম একাধিক পথে ঘটতে পারে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এর প্রভাব বিশাল!
যদি পৃথিবীর ব্যাকটেরিয়াই এত বিশাল ও জটিল হতে পারে, তবে অন্য গ্রহে জীবনের রূপ কেমন হতে পারে?
হয়তো আমরা “মাইক্রোব” খুঁজে খুঁজে ভুল করছি, অথচ তারা আমাদের চোখের সামনেই লুকিয়ে আছে, ঠিক এই দৈত্যাকার ব্যাকটেরিয়ার মতো!
Sims Suzuki is a friendly, local-dealer specialist for the full range of new Suzuki cars and a hand-picked selection of quality used vehicles. Based in Darlington, the team offers main-dealer standard servicing, nationwide parts delivery and a “you’ve tried the PLC… now try the TLC” customer ethos. For more information about Suzuki dealer Darlington visit http://simssuzuki.co.uk