Compress Image Online – Free & Fast Tool for Better Performance | #compress Image Online
Compress Image Online – Free & Fast Tool for Better Performance | #compress Image Online
#মৃতদেহের_গন্ধ_আর_কফিন_মাছির_বিস্ময়কর_ক্ষমতা! 🪰
চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নেই, লেখা আর ছবি যদি আপনাদের পছন্দ হয় তাহলে রসায়ন এর সাথে থাকবেন।
প্রকৃতির জগতে কিছু কিছু প্রাণী আছে যাদের আচরণ আমাদের বিস্মিত করে। এমনই এক অদ্ভুত জীব হলো কফিন মাছি (Coffin Fly)। এর বৈজ্ঞানিক নাম Megaselia scalaris। এরা সাধারণত মৃতদেহের গন্ধ শনাক্ত করে এবং সেই দেহের শরীরে ডিম পাড়ে।
বিশেষত্ব হলো, কফিন মাছি ২ মিটার দূর থেকেও মৃতদেহের গন্ধ অনুভব করতে পারে। তারা গন্ধ অনুসরণ করে খুব দ্রুত মৃতদেহের কাছে পৌঁছে যায়। আশ্চর্যের ব্যাপার, এমনকি যদি দেহটি মাটিচাপা থাকে বা কাঠের কফিনের মধ্যে রাখা হয়, তাহলেও এই মাছি মাটির ফাটল, কফিনের ছোট ছিদ্র বা ফাঁকফোকর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
কফিন মাছির জীবনচক্র (Life Cycle) খুবই দ্রুত। ডিম পাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিম ফুটে ছোট ছোট লার্ভা জন্ম নেয়। এই লার্ভাগুলো মৃতদেহের পচনশীল টিস্যু খেতে শুরু করে। তাদের দ্রুত বিকাশের কারণে, বিজ্ঞানীরা মৃতদেহের অবস্থা নির্ণয়ে কফিন মাছির জীবনচক্র বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর আনুমানিক সময় (Postmortem Interval বা PMI) বের করতে পারেন।
ফরেনসিক এনটোমোলজি (Forensic Entomology) বা মৃতদেহ নিয়ে পতঙ্গবিদ্যার গবেষণায় কফিন মাছি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদি কোনো দেহ দীর্ঘ সময় ধরে খোলা জায়গায় না পড়ে থেকে মাটির নিচে থাকে, সেখানে পোকামাকড়ের প্রবেশাধিকার কম থাকে — কিন্তু কফিন মাছির উপস্থিতি জানায়, দেহ কতদিন আগে মারা গেছে।
#আরওকিছু_মজার_তথ্য:
(i) কফিন মাছিরা অন্ধকারেও গন্ধ অনুসরণ করে চলতে পারে।
(ii) এরা বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম — গ্রীষ্মপ্রধান, বরফাচ্ছাদিত, এমনকি মরুভূমি অঞ্চলেও।
(iii) শুধু মৃতদেহ নয়, নষ্ট খাবার বা বর্জ্য পদার্থ থেকেও এরা পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে।
একজন বিজ্ঞানী চোখে কফিন মাছি শুধু "মাছি" নয় — বরং সময়ের নীরব প্রমাণদাতা।
জীবন-মৃত্যুর এই বিশাল চক্রের ভেতরে, ক্ষুদ্র এই প্রাণীর ভূমিকাও বিশাল। প্রকৃতি কখনও কোনো জিনিসই অপচয় করে না। মৃত্যু মানে প্রকৃতির চোখে শেষ নয়, বরং অন্য জীবের জন্য নতুন সূচনা। 🌿
২০১১ সালে নিখোঁজ কলোরাডো দম্পতি ৮ বছর পর উটাহর এক পরিত্যক্ত খনিতে বসে পাওয়া গেল তাদের!
২০১১ সালের মে মাসে শান্তির খোঁজে ক্যাম্পিংয়ে গিয়েছিল সারা বেনেট (২৬) ও অ্যান্ড্রু মিলার (২৮)।
শেষবার তাদের দেখা গিয়েছিল উটাহর গ্রিন রিভারের এক গ্যাস স্টেশনে, সেখান থেকে তারা উধাও।
হেলিকপ্টার, কুকুর, ড্রোন ; তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো সন্ধান মেলেনি।
বছরের পর বছর ধরে ছড়িয়েছিল ষড়যন্ত্র, কার্টেল, এমনকি ভিনগ্রহী তত্ত্বও।
অবশেষে, ২০১৯ সালের আগস্টে, উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক পুরোনো ইউরেনিয়াম খনির ৩০০ ফুট গভীরে খুঁজে পায় দুটি কঙ্কাল – পাশাপাশি ভাঁজ করা চেয়ারে বসা, পাশে লণ্ঠন, ক্যামেরা, থার্মোস...
তারা যেন পালাচ্ছিল না, শুধু চুপচাপ বসে ছিল… আর অপেক্ষা করছিল।
ক্যামেরায় তোলা শেষ ছবির টাইমস্ট্যাম্প ছিল গ্যাস স্টেশন ছাড়ার এক ঘণ্টা পরের।
তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেন, তারা খনির ভেতর ধসে আটকা পড়েছিল বা বিষাক্ত গ্যাসে মারা গিয়েছিল।
কিন্তু কেউ আজও নিশ্চিত নয়,কেন তারা ওই খনিতে ঢুকেছিল, কিংবা কি হয়েছিল আসলেই...
আজ সেই খনির মুখে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
এমিলি বেনেট সারার বোন, ১০ বছর পূর্তিতে কেঁদে বলেছিলেন:
"সারা আর অ্যান্ড্রু শান্তির খোঁজে গিয়েছিল...
আশা করি তারা যেখানেই থাকুক না কেন ভালো থাকুক।