৭ ভাষায় আসছে ‘দেবী চৌধুরাণী’
***********************************************************************
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরাণী’কে নিয়ে এবার নতুন করে আসছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দেবী চৌধুরাণী’। ছবিটি নির্মিত হচ্ছে ভারত-যুক্তরাজ্য সরকারের যৌথ প্রযোজনায়। মূল ছবিটি বাংলায় হলেও ডাবিং হবে আরও ছয়টি ভাষায়—হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ও কন্নড়।
ছবিটির মূল চরিত্র ‘দেবী চৌধুরাণী’র ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আরও থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবতী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দা প্রমুখ।
পরিচালনা করছেন শুভ্রাজিৎ মিত্র। প্রযোজনা করছেন অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত ও অপর্ণা দাশগুপ্ত। ছবিটি পরিবেশিত হবে কলকাতার এডিটেড মোশন পিকচার্স ও যুক্তরাজ্যের এইচসি ফিল্মস লিমিটেড। লন্ডনের এই সংস্থার কর্ণধার হলেন হাসান চৌধুরী। ছবিটির সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন বিক্রম ঘোষ।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক নারী চরিত্র ‘দস্যুরাণী দেবী চৌধুরাণী’কে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে ছবির কাহিনি।
ভারত ও যুক্তরাজ্য সরকারের ২০০৭ সালের ইন্দো-ইউকের সংস্কৃতি বিনিময়ের চুক্তির পথ ধরে ছবিটি যৌথভাবে নির্মিত হচ্ছে। ‘দস্যুরাণী দেবী চৌধুরাণী’ আজও ভারতের প্রথম নারী স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।
source : প্রথম আলো
শাবনূরের সব সুখের উৎস
***********************************************************************
ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও অভিনয়ে ফিরছেন নায়িকা। নতুন দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজও শুরু করেছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় থাকেন শাবনূর।
এবার নিজের ছেলেকে নিয়েও নতুনভাবে হাজির হলেন শাবনূর। জানান অনুভূতির কথা। ইনস্টাগ্রামে ছেলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে শাবনূর লিখেছেন, ‘আমার সব সুখের উৎস!’ মা-ছেলের সুখের মুহূর্ত দেখে খুশি ভক্ত–অনুরাগীরাও। অস্ট্রেলিয়ায় সন্তানকেই নিজের পুরোটা সময় দেন শাবনূর। সেটি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখলেই বোঝা যায়। পাশাপাশি ইউটিউবেও সক্রিয় দেখা যায় নায়িকাকে।
জানা গেছে, দেশে শাবনূরের নতুন সিনেমার শুটিংও শুরু হয়েছে। ‘রঙ্গনা’ ছবির শুটিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়া টু ঢাকা করছেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে নিজেকে অনেকটাই বদলেও ফেলেছেন শাবনূর। কয়েক দিন আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের এমন আরও দুটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। শাবনূরের নতুন লুক ভাইরাল হয়ে যায়। নতুনভাবে প্রিয় নায়িকাকে দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্ত-অনুরাগীরাও।
অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালে শাবনূর যুক্ত হন ‘রঙ্গনা’ নামের এই সিনেমায়। পরিচালনা করছেন আরাফাত হোসাইন। নতুন এই সিনেমা দিয়ে কামব্যাক করছেন নায়িকা। অন্যদিকে ‘রঙ্গনা’ পরিচালনার মাধ্যমে প্রথমবার চলচ্চিত্র পরিচালনায় নামছেন আরাফাত। এর আগে তিনি বেশ কিছু সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ‘মাতাল হাওয়া’ নামেও আরেকটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর।
source : প্রথম আলো
কলকাতার পরিচালকের চোখে অভিনেত্রী জয়া আহসান
***********************************************************************
জয়া আহসান। প্রতিনিয়তই নিজেকে ভাঙছেন আর নতুন করে গড়ছেন। তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা। বয়সকে কোনো দিনই তোয়াক্কা করেননি জয়া। দর্শক-ভক্তদের মতে, তিনি এখনো সজীব-প্রাণবন্ত। তাঁর সময়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এখন অনেকে বিনোদনজগৎ থেকে হারিয়ে গেছেন, কিন্তু তিনি অনবদ্য। একজন অভিনেত্রীর জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।
জয়া আহসানের জন্মদিন উপলক্ষে অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কলকাতার নির্মাতা ও অভিনেতা অরিন্দম শীলও। জয়াকে নিয়ে তাঁর উপলব্ধির কথা প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন।
অরিন্দম শীল লিখেছেন, ‘সোমবার জয়ার জন্মদিন। অভিনেত্রী হিসেবে ও অনেকটা পথ পেরিয়ে এল। ভেবেই আমার ভালো লাগছে। অনেকেই জানেন, এপার বাংলায় জয়ার প্রথম ছবি (“আবর্ত”) আমার পরিচালনায়। তাই আজ ওর জন্মদিন উপলক্ষে লিখতে বসে অনেক পুরোনো কথা পরপর মনে পড়ছে।
‘অভিনেত্রী জয়া এপার বাংলার দর্শকদের কাছে এখন পরিচিত মুখ। কিন্তু আজকের এই লেখায় আমি ওকে কীভাবে খুঁজে পাই, সেই অজানা গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। আমি শুরু থেকেই তারকা নয়, চরিত্রের কথা ভেবে অভিনেতা নির্বাচনের চেষ্টা করি। সেইভাবেই “আবর্ত’” ছবিতে জয়াকে নির্বাচন করা। এপার বাংলায় তখন “চারু” চরিত্রের জন্য অভিনেত্রীর খোঁজ করছি।
অথচ চরিত্রটির জন্য একাকিত্ব, নিষ্পাপ, শান্ত একটা মুখ কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। তখন বাংলাদেশের আমার কয়েকজন বন্ধু আমাকে জয়ার কথা বলে। সেটি ২০১০ সাল। মনে আছে, আমার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে জয়াকে ফোন করেছিলাম। তখন মোবাইলে আইএসডি খুব খরচ সাপেক্ষ ছিল। জয়া আমাকে বলল, “দাদা, আমি ঢাকা থেকে অনেক দূরে শুটিং করছি। আপনাকে আমার কাজের কিছু নমুনা পাঠাচ্ছি। আপনি দেখে নিন। তারপর আমরা কথা বলব।” জয়ার সঙ্গে সেই ফোনাফোনির পর বেশ কিছু দিন কেটে গেল। তত দিনে আমি বাংলাদেশে ওর অভিনীত কিছু নাটক দেখে ফেলেছি। ছবিতে ওকে নেওয়ার জন্য আমার সিদ্ধান্ত তখন চূড়ান্ত।’
অরিন্দম শীল লিখেছেন, ‘জয়া আর আমি এরপর নিয়মিত ফোনে “সিন” পড়তাম। আলোচনা করতাম। ও ওর মতামত জানাত। ওই দুই বছরে আমাদের ফোনের আইএসডি খরচ যে কত হয়েছিল! সব হয়ে যাওয়ার পর ঢাকায় ওর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ও আলাপ। ঢাকারই এক প্রযোজক ও পরিচালকের অফিসে বসে জয়াকে ছবির গোটা চিত্রনাট্যটি পড়ে শুনিয়েছিলাম।’
শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রীকে ছবিতে নেওয়া নিয়েও সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল অরিন্দম শীলকে। পরিচালকের ভাষ্য, ‘তখন ওটিটি ছিল না। কথায় কথায় দুই বাংলার শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করতেন না। সেখানে জয়া নতুন মুখ, কিন্তু আমি আমার “ইনস্টিংক্ট” থেকে কিছু বিষয় বুঝে এগিয়েছিলাম। পরে ছবি মুক্তির পর আমার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছিল।
বাংলাদেশে এলেও জয়াকে পাশে চাই পরিচালকের। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে গেলে আমার শপিং গাইড জয়া। কোথায় ভালো শাড়ি ও পোশাক পাওয়া যায়, সেখানে জয়া আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ওর মায়ের হাতের রান্না অসাধারণ। ও জানে, আমি কী কী খেতে পছন্দ করি। তাই কলকাতায় এলে মায়ের হাতের লঙ্কার আচার ও ভুনা মাংস আমার জন্য নিয়ে আসে জয়া। সে স্বাদ ভোলা কঠিন। জয়ার সঙ্গে মাত্র দুটি কাজ করেছি। প্রায় ১২ বছর হয়ে গেল। আমি ওর সঙ্গে আবার কাজ করতে চাই। জয়াও আমার সঙ্গে আবার কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু পরিচালক হিসেবে যত দিন না কোনো শক্তিশালী মুখ্য চরিত্র ওর জন্য তৈরি করতে পারব, তত দিন আমিও অপেক্ষা করতে চাই।’
শেষের দিকে পরিচালক লিখেছেন, ‘জয়াকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। অভিনেত্রী হিসেবে ও বারবার আমাদের চমকে দিয়েছে। আরও অনেকটা পথ ওকে অতিক্রম করত হবে। জন্মদিনে আমার কামনা, জয়া যেন ওর পারিবারিক জীবনে সুখে-শান্তিতে থাকে। ভবিষ্যতে যেন ও আরও ভালো কাজ করে, সেটাই চাই। ওর সঙ্গেও খুব দ্রুত একটা নতুন কাজ শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
source : প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে বিয়ে ও পরিচালককে মারপিট– নিয়ে প্রশ্নে বিব্রত নায়িকা
***********************************************************************
গত ২৩ জুন গুলশান থানায় চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির মামলা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ভবনমালিক ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনায় ববির পক্ষ থেকে পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা নিয়ে গতকাল পর্যন্ত মুখ খোলেননি ববি। আজ সোমবার ঘটনা খোলাসা করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে হত্যাচেষ্টা ও চুরির ঘটনা ছাপিয়ে আলোচনায় জায়গা করে নেয় ববি বিয়ে ও সম্প্রতি তাঁর অভিনীত ময়ূরাক্ষী সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশ নামের এক পরিচালককে মারপিট করার মতো প্রসঙ্গগুলো। মূল ঘটনার বাইরে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খান ববি।
সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, ‘আমার রেস্টুরেন্ট ভেঙেছে, আমার লোকদের মেরেছে। হাসপাতালের ভর্তি থাকতে হয়েছে আমার লোকদের। সব দিক দিয়ে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আমার নামে কখনো কোনো জিডি হয়নি। মামলা কখনোই হয়নি। করিনিও কোনো দিন; অথচ তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যাচেষ্টা ও চুরির মামলা করেছে। আমি তাদের কাছে ভবনের বৈধ কাজপত্র চেয়েছি। সেটা না দিয়ে, দিনের পর দিন ঘুরিয়ে পরে তারা সন্ত্রাস দিয়ে আমাদের লোকদের মেরেছে। সেগুলো ধামাচাপা দিতেই মামলা করেছে।’
ববির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল চেক ডিজঅনার নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে ববি জানান, এটা সত্য নয়। তাঁরা ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। আরও ৪০ লাখ টাকার চেক দেওয়া আছে। তিনি বলেন, ‘আমি সৎ ভাবেই রেস্টুরেন্ট দাঁড় করানোর জন্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করেছি। রেস্টুরেন্টটি ভাড়া নেওয়ার পরে আমরা জানতে পারি, যাঁদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছি, তাঁরা দুজন পার্টনার ছিলেন। তাঁদের একজন আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে কাবু ভাই নামের আরেক পার্টনার আমাদের ফোন দিয়ে বলেন, ‘‘আপনারা ভুল করলেন তার হাতে টাকা দিয়ে। ইনভেস্টর আমি ছিলাম। যাকে টাকা দিয়েছেন, সে বাড়িওয়ালার কাছে অনেক টাকা বাকি রেখেছে।’’ পরে সব ক্লিয়ার হয়। বুঝতে পারি, তাঁদের নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। এটাকে পুঁজি করে ভবনমালিক ও যাঁর কাছে টাকা দিয়েছি, তাঁরা পরিকল্পনা করে নতুন কাউকে যুক্ত করে এভাবে টাকা নেওয়ার ফন্দি করেছিলেন। সেটিই ছিলাম আমরা। আমাদের কাছে এখন সব পরিষ্কার।’’
সংবাদ সম্মেলনে এসব নিয়ে কথা বলার সময়েই হঠাৎ তাঁর বিয়ে প্রসঙ্গ সামনে আসে। কেউ কেউ জানতে চান, ববি একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনার মধ্যে হঠাৎ কীভাবে বিয়ের প্রসঙ্গ এল, সেটা ভেবে অবাক হয়ে যান ববি। তিনি বলেন, ‘আমি বিয়ে করেছি আমিই জানি না। কে কোন ব্যবসায়ী, সেটা তো আরও চিনি না। এ জন্যই বলছি, আমি যেহেতু চিত্রনায়িকা, আমার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা লিখে মানুষের কাছে এন্টারটেইনিং বিষয়ে রূপ দেওয়া সহজ। এটাই তারা হাতিয়ার করেছে। ভেবেছে আমাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে দেবে আমি সামনে আসব না।’
একের পর এক দুই পক্ষ বসে ঘটনার মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু লুকোচুরি করে এভাবে বসতে চাননি বলে জানান ববি। কারণ সেখানে বারবার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসে। এভাবে দেরি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন এই নায়িকা। তাঁর দাবি, কাগজপত্র ও নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে চাইলে ভবনের মালিকেরা রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করেন, ববির লোকদের মেরে চুরি ও হত্যাচেষ্টার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাগুলো যখন একের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করছিলেন, তখন সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, পরিচালক রাশিদ পলাশকে থাপ্পড় মেরেছিলেন কি না? তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছিল?
কিছুটা বিব্রত হতে দেখা যায় ববিকে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা প্রযোজক ভালো বলতে পারবেন। তাঁরা আসছেন। তাঁদের বাসায়ই সেদিন কথা হয়েছে। তাঁরা পথে আছেন। এলেই জানতে পারবেন। আর রাশিদ পলাশ যেভাবে কথা দিয়েছেন সেভাবে কাজ করতে পারেননি। তা ছাড়া আমার নাম ভাঙিয়ে তিনি অনেকবার তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যেখানে আমি নিজের পেমেন্টই পুরোটা পাইনি। টাকা নিয়ে পলাশের সঙ্গে অনেকবার ঝামেলা হয়েছে। শেষের দিকে ডিস্ট্রিবিউশন নিয়েও ঝামেলা করেছে। শুটও ঠিকমতো করেননি।’
কথার ফাঁকে সাংবাদিকেরা বারবার জানতে চান পরিচালকের গায়ে হাত তুলেছেন কি না? এ প্রসঙ্গে উত্তর দিচ্ছিলেন না ববি; কিন্তু একের পর এক একই প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ববি। তিনি জানান, রাশিদ পলাশের সঙ্গে কাজ করাটাও ভুল হয়েছে, সে অনেক নাটকের জন্ম দিয়েছে, শুটিং সেটে অপেশাদার আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন ববি; কিন্তু সেই ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পালাশকে থাপ্পড় মারার ঘটনাই বারবার ঘুরেফিরে আসে। সাংবাদিকেরা কেউ কেউ বলেন একটি গণমাধ্যমের কাছে থাপ্পড় মারার ভিডিও রয়েছে। তখন ববি বলেন, ‘আমি এমন কোনো ভিডিও দেখি ও পাইনি।’ কিন্তু থাপ্পড় আসলেই মেরেছিলেন কি না, সেটা নিয়ে কোনো উত্তর দেননি।
source : প্রথম আলো
বছরের প্রথম বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি
***********************************************************************
বছরের প্রথম সিনেমা হিসেবে বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ইনসাইড আউট ২’।
হলিউডের বাজার ও বিশ্বব্যাপী আয়ে এই রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। শুধু তাই নয়, ১১তম কোনো অ্যানিমেশন সিনেমা হিসেবে বিলিয়ন ডলারের ঘরে প্রবেশ করেছে ‘ইনসাইড আউট’–এর এই সিকুয়েল।
বিশ্বব্যাপী ১৪ জুন সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে উত্তর আমেরিকা থেকে আয় করে ৪৬৯.৩ মিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয় করে ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে হাজার মিলিয়ন ডলার। এটি দিয়ে এখন পর্যন্ত ডিজনির ৮টি সিনেমা বিলিয়ন ডলার আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করল।
শুরুতে বক্স অফিসে কিছুটা হোঁচট খেলে ধারণা করা হয়েছিল সিনেমাটি বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে না। কারণ, গত ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া ‘ডিউন: পার্ট-২’ প্রথম দিনের আয় ছিল বেশি। পরে সিনেমাটি বিলিয়ন ডলার আয় করতে ব্যর্থ হয়।
পরে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। দর্শক ক্রমাগত বাড়তে থাকে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে সিনেমাটি বক্স অফিসে শীর্ষে ছিল। হলিউড ও আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার জায়গা দখল করে নেয় এটি।
গত বছরে মুক্তি পাওয়া ‘বার্বি’ সিনেমার মতোই বক্স অফিস চাঙা রেখেছিল সিনেমাটি। দুটি সিনেমার প্রথম দিনের আয়ও প্রায় একই রকম। যে কারণে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধারণা করেছিল, এবার রেকর্ড গড়তে পারে ‘ইনসাইড আউট-২’। সেটাই হলো।
২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘ইনসাইড আউট’। সিনেমাটি ৮৫৯ মিলিয়ন ডলার আয় করে। পরে সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তির ঘোষণা দেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কোভিডসহ নানা কারণে আটকে যায় কাজ।
ন্যাশনাল থিয়েটার অনার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মিশেল ও’লিয়ারি ভ্যারাইটিকে বলেন, ‘ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অ্যানিমেশন সিনেমা দ্রুত সময়ে বিলিয়ন ডলার আয় করল। অভিনন্দন ডিজনিকে।’
source : প্রথম আলো
সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ট্রাম্পের উচ্ছ্বাস
***********************************************************************
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের ৬ জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন; বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। সেই অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে জয় পান জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, ওই নির্বাচনের ফল বদলাতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলার পেছনেও উসকানি দিয়েছিলেন তিনি।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা–ও তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় ছিল। ক্যাপিটলের দিকে যাত্রা করতে ৬ জানুয়ারি সমর্থকদের প্রতি দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশও ছিল তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে।
এর আগে ৬ জানুয়ারির ঘটনা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ওই আবেদন খারিজ হয়। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের সেই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। একই সঙ্গে মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে নভেম্বরের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলাসংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না। আর তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এ মামলায় বিচার বন্ধের চেষ্টা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য এটা একটা বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমি গর্বিত।’ অন্যদিকে আদালতের সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট নয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি। বাইডেনের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যা ঘটেছিল, তা বদলে যাবে না।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনবিশেষজ্ঞ আজিজ হক। তিনি বিবিসিকে বলেন, এই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে স্মিথের পথ আরও কঠিন হলো।
source : প্রথম আলো
ইরাকের কুয়েত আক্রমণের খবর জেনেও উড়োজাহাজের অবতরণ, ৩৪ বছর পর মামলা
***********************************************************************
১৯৯০ সালে কুয়েত আক্রমণ করে ইরাক। তখন ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। এ সময় কয়েক শ যাত্রীবাহী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ জিম্মি করা হয় কুয়েতে। সেই উড়োজাহাজে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের ব্যবহার করা হয় ‘মানবঢাল’ হিসেবে। এই ঘটনার ৩৪ বছর পরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করছেন সেই ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রুরা।
জিম্মি যাত্রী ও ক্রুদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। মামলায় তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বহনকারী উড়োজাহাজটি কুয়েতে অবতরণ করার কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও যুক্তরাজ্য সরকার জানতে পেরেছিল কুয়েতে ইরাক সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে। তাঁদের আরও দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত ও গোপনে সেনা মোতায়েনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সেই ফ্লাইট। গোপনে ওই ফ্লাইটে করে বিশেষ অভিযান চালাতে সক্ষম এমন একদল সেনা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুয়েতে। এ ক্ষেত্রে উড়োজাহাজে থাকা বেসামরিক লোকজনের ঝুঁকির বিষয়টি ধর্তব্যের মধ্যেই নেওয়া হয়নি।
ঘটনাটি ১৯৯০ সালের ২ আগস্টের। এদিন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি যাচ্ছিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। যাত্রী ছিলেন ৩৬৭ জন। ১৮ জন ছিলেন ক্রু সদস্য। মাঝপথের নির্ধারিত যাত্রাবিরতির অংশ হিসেবে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল উড়োজাহাজটি। এটি ছিল সেখানে অবতরণ করা শেষ বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এই সময় কুয়েত আক্রমণ করে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী।
এরপর প্রায় পাঁচ মাস উড়োজাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। এ সময় তাঁদের ওপর চলে নানা ধরনের নির্যাতন। ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে। অনেক সময় অনাহারে থাকতে হয় তাঁদের।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল আর্কাইভস থেকে এ-সংক্রান্ত নথি প্রকাশিত হওয়ার পর জানা যায়, সেই ফ্লাইটটি অবতরণের আগে ইরাকের কুয়েত আক্রমণের খবর পেয়েছিলেন কুয়েতে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আগেই জানিয়ে সতর্কও করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসও বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাষ্ট্রদূতের সতর্ক করার বিষয়টি কয়েক দশক ধরে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল ব্রিটিশ সরকার।
লিজ ট্রাস বলেছিলেন, কুয়েত আক্রমণের খবর জানতে পারলেও তখন তা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে জানায়নি পররাষ্ট্র দপ্তর। ওই ফ্লাইটে বিশেষ বাহিনীর সেনাদের গোপনে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যা-ই থাকুক না কেন তখন যাত্রীবাহী একটি ফ্লাইটকে এ ধরনের কোনো কাজে ব্যবহার করতে চায়নি সরকার।’ তবে মামলাকারী যাত্রী ও ক্রুদের আইনজীবীরা বলছেন, কুয়েত আক্রমণের খবরটি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানত এবং সেই ফ্লাইটে গোপনে বিশেষ বাহিনীর একদল সেনাকে কুয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সেই ফ্লাইটের কেবিন ক্রুদের মধ্যে একজন ছিলেন নিকোলা ডাউলিং (৫৬)। কুয়েতে জিম্মিদশায় প্রায় দুই মাস থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এ সময়ে তাঁকে মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
নিকোলা বলেন, ‘সব জেনেও এত বছর ধরে ন্যায়বিচারের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া জঘন্য একটি কাজ। সাদ্দাম হোসেন নারী ও শিশুদের আড়ালে লুকিয়ে আছেন—এমন কথা বলাটা মার্গারেট থেচারের (তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) জন্য খুবই ভালো ছিল। তিনি জেনেবুঝেই আমাদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন। এ জন্য সাদ্দাম হোসেন ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মতো তিনিও সমান দায়ী।’
তাঁকে যখন মুক্তি দেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের আচরণে চরম হতাশ হয়েছেন বলে জানান নিকোলা। বলেন, মুক্তি পাওয়ার পর দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হতে থাকে। এর কারণ হিসেবে কেবিন ক্রুর সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যে আবারও ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর কথা বলা হয়েছিল। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটের দায়িত্ব না দিতে বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
নিকোলা বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না মানলে চাকরিচ্যুত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাই বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দেন। এরপর ১৫ বছর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে ছিলেন। প্রতি মাসেই একবার করে মধ্যপ্রাচ্য যেতে হতো। সেই ফ্লাইটে থাকা সহকর্মীদের অনেকের মতো ‘মেডিকেল পেনশনে’ অবসরে গিয়েছিলেন তিনি। সে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিকোলা বললেন, ‘এটা ছিল অত্যাচার।’
নিকোলা জানান, দায়িত্বে অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে সেই ফ্লাইটের ৯৫ জন যাত্রী ও কেবিন ক্রু মামলা করেছেন। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই এই মামলা করেছেন জানিয়ে নিকোলা বলেন, ‘এই ঘটনা আমার জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।’
source : প্রথম আলো
ছয় পায়ের কুকুর
***********************************************************************
নিজেদের কুকুর মারা যাওয়ার পর তখনো শোকে কাতর অলি বার্ডের পরিবার। এই অবস্থায় তাঁদের ঘরে ছয় পায়ের একটি কুকুর আসে। কুকুরটিকে কে বা কারা একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। ছয় পায়ের অ্যারিয়েল এখন নতুন পরিবারে গিয়ে বেশ ভালোই আছে।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার শহরের বিঅ্যান্ডএম দোকানের সামনে অ্যারিয়েলকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অলি বার্ড পোষ্য হিসেবে নেওয়ার আগে কুকুরটিকে বিঅ্যান্ডএম দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার করে গ্রিনঅ্যাকর রেসকিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ছয় পায়ের পাশাপাশি ককার স্প্যানিয়েল জাতের কুকুরটির কিডনি একটি।
উদ্ধারের সময় কুকুরটির বয়স ছিল ১১ সপ্তাহ। তখন স্বাভাবিকভাবে বেওয়ারিশ কুকুরটির নাম কী, তা জানার উপায় ছিল না। নিজেরা পোষ্য নেওয়ার পর ডিজনির চলচ্চিত্র ‘লিটল মারমেইড’-এর একটি চরিত্রের নামে অলি বার্ড কুকুরটির নাম রেখেছেন অ্যারিয়েল।
৪০ বছর বয়সী অলি বার্ড ওয়েলসের ফ্রেশওয়াটার ওয়েস্ট শহরে থাকেন। পশ্চিম ওয়েলসে তিনি একটি সার্ফিং স্কুল পরিচালনা করেন। পোষা কুকুর হারিয়ে তাঁর পরিবার বেশ মন খারাপ অবস্থায় ছিল। এমন সময়ে তাঁর পরিবারে এল অ্যারিয়েল।
বার্ড জানান, অ্যারিয়েল তাঁদের ঘরে আসার মাত্র ২ দিন আগে ১৬ বছরের বয়সী পোষা কুকুরটি মারা যায়। ১৩ বছর আগে ফ্রেশওয়াটার ওয়েস্ট সমুদ্রসৈকত থেকে কুকুরটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন তিনি। কুকুরটির হঠাৎ মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের সবারই মন খারাপ হয়।
কুকুরটি হারিয়ে তাঁদের মন এতটাই খারাপ ছিল যে সে কথা জানাতে গিয়ে বার্ড বলেন, ‘আমাদের আর কোনো কুকুর পোষার পরিকল্পনা ছিল না। কারণ, এভাবে পোষা কুকুর মারা যাওয়াটা অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু একটা সময় কুকুর ছাড়া আমাদের ঘর খালি খালি লাগছিল। এ অবস্থায় আমরা একটি পোষা কুকুর নিতে গ্রিনঅ্যাকরে আবেদন করি।’
এরপর গ্রিনঅ্যাকর থেকে বার্ডের পরিবারকে অ্যারিয়েলের সন্ধান দেওয়া হয়। কুকুরটি সম্পর্কে জেনে তাঁদের আগ্রহ বেড়ে যায়। দেরি না করে তাঁরা কুকুরটিকে নিজেদের বাসায় নিয়ে আসেন।
অ্যারিয়েল যেহেতু অসুস্থ ছিল, তাই সেটার চিকিৎসার জন্য অর্থের দরকার ছিল। তাই কুকুরটি পরিত্যক্ত হওয়ার কথা জানাজানির পর চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার পাউন্ডের বেশি অনুদান পাওয়া গিয়েছিল। পরে অ্যারিয়েলের অস্ত্রোপচার করা হয়। অ্যারিয়েলের চিকিৎসায় এমন সহায়তা পাওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বার্ড পরিবার।
বার্ড জানান, অ্যারিয়েল এখন দিব্যি সুস্থ। কুকুরটি তাঁদের সঙ্গে সব জায়গায় যায়। স্ত্রী কুকুরটি ভালোভাবে হাঁটতে পারলেও কিছুদূর যাওয়ার পর একটু থামতে হয়। তবে সে সাগরে সাঁতার ও সার্ফিং করা থেকে শুরু করে সবকিছু করতে পারে।
source : প্রথম আলো
বাইডেনের পরিবার চায়, তিনি নির্বাচনে থাকুন
***********************************************************************
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী পদে অবিচল থাকতে ও সরে দাঁড়ানোর চাপ উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রোববার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবকাশযাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে এ পরামর্শ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ভালো করতে পারেননি বাইডেন। এরপর বাইডেনের নিজ দল, সাধারণ ভোটার ও বিশেষজ্ঞের মধ্যে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর দাবি বাড়তে থাকে।
গতকাল ক্যাম্প ডেভিডে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করার দিনই সিবিএস নিউজ ও ইউগভের প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যায়, ডেমোক্রেটিক পার্টির ৭২ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মতো বাইডেনের মানসিক স্বাস্থ্য নেই বলে মনে করেন। অন্যদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মত দিয়েছেন।
কিন্তু বাইডেনের প্রচার দল ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারাতে এখনো বাইডেনই সবচেয়ে বড় ভরসা।
ক্যাম্প ডেভিডে পারিবারিক বৈঠকটি ফটোশুটের জন্য আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল। তারকা চিত্রগ্রাহক অ্যানি লেবোভিটজকে এ জন্য ঠিক করা হয়েছিল। এতে বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন, তাঁর সন্তান ও নাতি-নাতনিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাইডেনকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী থাকার পক্ষে পরিবারের সদস্যদের জোর সমর্থনের বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস। পরবর্তীকালে বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার সিবিএস নিউজ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে।
গত বৃহস্পতিবারের বিতর্কে খারাপ করার পেছনে বাইডেনের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সহযোগীরা তাঁকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারেননি। বাইডেনের দলের শীর্ষ নেতা ও দাতাদের একাংশও একই ধরনের মনোভাব দেখিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে। তবে জিল বাইডেন এমনটি মনে করেন না বলে তিনি নিজেই সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন।
৮১ বছর বয়সী বাইডেনের পাশাপাশি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের বয়স নিয়েও বৃহস্পতিবারের বিতর্কের আগে থেকে আলাপ-আলোচনা চলছিল। তবে বৃহস্পতিবারের বিতর্কে বাইডেনের কণ্ঠস্বরের সমস্যা ছিল, এ জন৵ তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না। তা ছাড়া তিনি বিভিন্ন প্রশ্নেরও ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় তাঁর সরে দাঁড়ানোর দাবি বাড়তে থাকে।
নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ড এক মতামতধর্মী লেখায়ও বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছে। ওই লেখায় বলা হয়, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় যে জনসেবাটি বাইডেন দিতে পারেন, সেটা হলো আবার নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়া।’
source : প্রথম আলো