মানুষ অবহেলা করা শুরু করলে তার আচরনে তা প্রকাশ পায়। কি করা উচিত? কিচ্ছু না। একদমই কিচ্ছু না। সম্ভব হলে দুই একবার জিজ্ঞেস করে জেনে নেয়া কোনো কারনে মনে কষ্ট দিলাম কি না। বা কোনো আচরনে বিরক্তিকর কিছু করলাম কি না। ঐ পাশ থেকে যদি উত্তর আসে “না” তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি উত্তর আসে “হ্যা” সেটা কি জেনে নিয়ে সংশোধন করে নেয়া, একবারে সম্ভব না হলেও চেষ্টারত থাকা। আর যে অবহেলা শুরু করে তার থেকে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়িয়ে নিজেকে আড়াল করে চলা।
দুনিয়ায় কেউ কাউকে সন্তুষ্ট করার ক্ষমতা রাখে না। আজ সন্তুষ্ট তো কাল কিছু না কিছু নিয়ে অসন্তুষ্ট। আজ ভাল লাগে তো কাল বিরক্তিকর লাগে। স্বাভাবিক একটা সার্কেল।
হিসাব নিকাশ ফেলে আল-ওয়াদুদের আশ্রয় পেলে আর কিছু লাগে না। উনি উনার রহমতের ছায়ায় হৃদয়গুলোতে শুধু প্রশান্তিই দিতে থাকেন।
এক মুরব্বী বলেছিলেন, “মানুষ কি করে একাকীত্বে ভুগে যেখানে মহান সত্তা মানুষটার এতো কাছে থাকে, উনার যিকিরে জিহ্বা নড়াচড়ার করলেই তো একাকিত্ব বলে আর কিছু থাকে না।”
© তাহমিনা ইসলাম
আসুন শয়তানের সাথে একটু মজা করা শিখি।
শয়তান যখন আপনার মনে কোন খারাপ চিন্তা বা পাপ কাজের কামনা বাসনা নিয়ে আসে, ঠিক তখনই আপনি অন্তত ১০০ বার "আস্তাগফিরুল্লাহ" পড়া শুরু করে দেন। আর এভাবে কিছুদিন পড়ার পর শয়তানই আপনার পিছন ছেড়ে দিবে।কেননা শয়তান কখনো এটা চায় না যে সে আপনার মনে খারাপ চিন্তা এনে দিক আর আপনি ১০০ বার আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চান। ওটা শয়তানের কাছে অনেক কষ্টের। এভাবে শয়তান আপনাকে দিয়ে খারাপ কাজ করিয়ে মজা নেয়ার চেয়ে আপনিই তার সাথে মজা নিয়ে নেন।