https://linkeei.com/setting/my_points
https://linkeei.com/setting/my_points
https://www.jagonews24.com/m/health/news/733893
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট আটক
ঢাকা অফিস : বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট রচ মার্ক কাবোরেকে আটক করা হয়েছে। বিদ্রোহী সৈন্যদের হাতে তিনি আটক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির কিছু সেনা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সামরিক প্রধানদের বরখাস্ত এবং আরও অর্থ সহায়তা দাবি করেছেন। দেশটিতে নতুন করে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেনানিবাসে গোলাগুলির ঘটনার পর গুজব রটেছে, ক্ষমতা দখলে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। তবে প্রথমদিকে সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি নাকচ করে দেয় বুরকিনা ফাসো সরকার। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুর সাংগুলে লামিজানা সেনানিবাসে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফদের বাড়ি ও একটি কারাগারও রয়েছে। ২০১৫ সালেও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এখনও সামরিক অভ্যুত্থান বা প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্রোহী সৈন্যরা দেশটির প্রেসিডেন্টকে একটি সামরিক ক্যাম্পে আটক করেছে। ওই সৈন্যরা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সদর দপ্তরও ঘিরে রেখেছে। সরকার কারফিউ ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরেও হাজার হাজার মানুষ বিদ্রোহী সৈন্যদের সমর্থনে রাজপথে নেমে এসেছে। অনেকেই ক্ষমতাসীন দলে সদর দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি: গণপরিবহনে চালক শ্রমিকরাই বেশি উদাসীন
ঢাকা অফিস : দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রনের আধিপত্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গা ধীরে ধীরে দখলে নিচ্ছে ওমিক্রন। সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল গণপরিবহনে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা। এর মূল কারণ, গণপরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ধারেকাছেও নেই। সরকারের বিধিনিষেধে বলা হয়েছিল, ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সর্বপ্রকার যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরোপুরি বিপরীত। করোনার ভয়াবহতায় এখন অধিকাংশ যাত্রী গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু সেটা হয়তো কোনো কাজেই আসবে না, যতক্ষণ গণপরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা সচেতন না হবেন। রাজধানীর সব গণপরিবহনে চালক ও হেলপারের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার কথা বলা হলেও ১০ ভাগ ক্ষেত্রেও সেটি দেখা যাচ্ছে না। বরং মাস্ক না পরার প্রতিই তাদের উৎসাহ বেশি। বাসে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে না। সুযোগ পেলেই গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ অবস্থা করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী গণপরিবহনগুলো ঘুরে এমন চিত্রেরই দেখা মিলেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিভাগ বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের মুখে মাস্ক নেই। অফিস টাইমে কর্মজীবীরা লোকাল বাসে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে ছুটছেন। বাসের ভেতরে গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। একজনের নিশ্বাস পড়ছে আরেকজনের ওপর। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহনে। বাসের হেলপাররা পুরোনো অভ্যাসেই টেনে টেনে অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন। গা ঘেঁষেই চলছে ওঠানামা ও ভাড়া আদায়। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ১১ দফা নির্দেশনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখার কথা বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য মালিকপক্ষের দাবির মুখে ‘যত সিট তত যাত্রী’ এ নিয়মে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত রোববার নতুন করে কিছু নির্দেশনা এলেও গণপরিবহনের বিষয়ে নতুন কোন নির্দেশনা আসেনি। ফলে পরিবহন শ্রমিকদের উদাসীনতা এবং যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়ে উপেক্ষিতই রয়ে গেলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়টি। এদিন সকালে শাহবাগে একটি বাসের চালক ও দুই সহযোগীকে মাস্ক না পরা অবস্থায় দেখা যায়। বাসটির চালক কামাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাস্ক পরলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এখন পরিনি। পকেটে আছে।’ বাসের দুই সহযোগীর ভাষ্য- তারা মনের ভুলে মাস্ক বাসায় রেখে এসেছেন। সামনে গুলিস্থান মোড়, সেখানে গিয়ে কিছু মাস্ক কিনবেন। অনেকে আবার মাস্ক ঠিকভাবে না পরে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজন বুঝে তারা মাস্ক টেনে নাক-মুখের ওপরে তুলছেন। আবার সুযোগ বুঝে নামিয়েও ফেলছেন। দেশে সংক্রমণ বাড়ার খবরে যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা বহুগুণে বেড়েছে। তবে আসন সংখ্যার চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা অনেক সচেতন যাত্রীর পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না। এসব বিষয়ে ইমন আহম্মেদ নামের এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, আমি সচেতন হলেই কী লাভ, যদি অন্যরা সচেতন না হয়। বাসের সুপারভাইজার প্রত্যেকের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে ভাড়া আদায় করছেন। কিন্তু উনার মুখেই মাস্ক নেই। ফরিদ ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, বাসে সিট না থাকলে বাধ্য হয়েই দাঁড়িয়ে যেতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না কোনো বাসেই। স্বাস্থ্যবিধি মানার পরিস্থিতিও নেই। সরকার শুধু নির্দেশনা দিয়েই খালাস। আমরা যারা বাসে চলাচল করি তাদের কষ্ট আর স্বাস্থ্যঝুঁকির শেষ নেই। না পারি মানতে, না পারি সইতে। সকালের দিকে রাস্তায় কর্মস্থলমুখী যে পরিমাণ যাত্রী থাকে গণপরিবহনের সংখ্যা থাকে তারও কম। ফলে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হয় প্রায় প্রতিটি বাসে। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে দৌড়ানোর পাল্লায় যাত্রীরাও ঝুঁকি নিয়েই বাধ্য হয়ে উঠে পড়েন সেসব বাসে। সিট না পেয়ে রামপুরা থেকে পল্টন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আসা যাত্রী ফজলে হুদা জাগো নিউজকে বলেন, অফিসে তো সময় মতো যেতে হবে। কয়েকটা বাস মিস করেছি। এখন না গেলে দেরি হয়ে যাবে। বেতন কাটবে। ওই বাসেরই হেলপার সুমন বলেন, যাত্রীরা জোর করে ওঠে। যাদের মাস্ক নেই বললেও তারা মাস্ক পরতে চায় না। আবার অনেকে আছেন তাদের বলতে হয়। তারা খুব সচেতন। সঠিকভাবে মাস্ক পরেন।
এক সপ্তাহ পর বিধিনিষেধের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা অফিস : আগামী এক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে চলমান বিধিনিষেধের বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।’ আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর এই বিধিনিষেধ বাড়তে পারে, সেটা কী আমরা বলতে পারি— এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে...। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে...এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, এটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন। আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখবো এটা (সংক্রমণ) কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেবো।’ গণপরিবহন সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ সবাইকে মানতে হবে। ইউরোপ সংক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের পিক সময় পার করেছে। আমাদের একটু পরে শুরু হয়েছে। এজন্য আমাদের একটু পরে সেটা (চূড়ান্ত সংক্রমণ) হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা চাইবো, যাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চললে তা সবার জন্যই ভালো। পরিবহন সেক্টরে যারা রয়েছেন তাদেরও আমাদের সহযোগিতার করতে হবে। নিয়ম মেনে তারা গণপরিবহন পরিচালনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা ভালো রেজাল্ট পাবো। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ উত্তোরণ করবো।’ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষকে বলবো, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। আমাদের অ্যানাউন্সমেন্টে বলা হবে আপনারা মাস্ক পরেন। একটা ডেট দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
আবার বাড়ছে রডের দাম
ঢাকা অফিস : আবার বাড়তে শুরু করেছে নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম প্রধান উপকরণ রডের দাম। গেলো এক সপ্তাহে প্রতি টন রডের দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছায় রড। তখন ভালো মানের বা ৬০ গ্রেডের ওপরে এক টন রড খুচরা পর্যায়ে ৮১ হাজার টাকার ওপরে উঠে যায়। ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম স্পর্শ করার পর ডিসেম্বরে এসে কমতে শুরু করে রডের দাম। ৮১ হাজার টাকা থেকে কমে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৭৬ হাজার টাকায় চলে আসে। তবে এক সপ্তাহ ধরে আবার বাড়তে শুরু করেছে রডের দাম। এতে ভালো মানের এক টন রড ৮০ হাজার টাকায় উঠেছে। এর আগে ওয়ান ইলেভেনের (২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা) সময় প্রতি টন রডের দাম সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকায় উঠেছিল। রডের এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে স্ক্র্যাপের দাম বেড়েছে দুই হাজার টাকার ওপরে। সেই সঙ্গে রডের চাহিদাও কিছুটা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বেড়েছে রডের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন ভালো মানের বা ৬০ গ্রেড এক টন রড কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭৩ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭১ হাজার থেকে ৭৮ হাজার টাকার মধ্যে। এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এখন ৬০ গ্রেডের রড ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ৪০ গ্রেডের রডের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ। রডের দামের বিষয়ে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সঞ্জয় চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, গত বছরের নভেম্বরে ভালো মানের ৬০ গ্রেড রড ৮২ হাজার টাকায়ও বিক্রি করেছি। এখনো পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে এটা রডের সর্বোচ্চ দাম। এরপর রডের দাম কিছুটা কমে ৭৭-৭৮ হাজার টাকায় চলে এসেছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে রডের দাম আবার বাড়ছে। কিছুদিন আগে যে রড ৭৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ৮০ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা সামনে অস্বাভাবিক কিছু না হলে রডের দাম আরও বাড়বে। কারণ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে নির্মাণ কাজ বেশি হয়। তাই এই সময়ে রডের চাহিদাও বেশি থাকে। এরই মধ্যে রডের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। করোনার কারণে কাজকর্ম বন্ধ না হয়ে গেলে সামনে রডের চাহিদা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে রডের দাম ৮২-৮৩ হাজার টাকা হয়ে গেলে আমরা অবাক হবো না। হঠাৎ রডের দাম বাড়ার বিষয়ে কদমতলী স্টিল মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের (কেএসএমএল) চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, রডের কেমিক্যাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে রডের কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম অনেক বেড়ে গেছে। গত ৫-৬ দিনে স্ক্র্যাপের দাম বেড়েছে দুই হাজার টাকার ওপরে। কাঁচামালের এই দাম বাড়ার কারণেই রডের দাম বেড়েছ। শুধু কী কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে রডের দাম বেড়েছে, রডের চাহিদা বাড়েনি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রডের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে করোনার কারণে কিছু কাজ বন্ধ। যে কারণে রডের চাহিদা যে পরিমাণ বাড়ার কথা, সে পরিমাণ বাড়েনি। আমাদের এ সেক্টর বর্তমানে বেশ সমস্যার মধ্যে আছে। বিক্রি অনেক কম। মূলত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি।
৩০ জানুয়ারি থেকে ফাজিল পরীক্ষা হচ্ছে না
ঢাকা অফিস : আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে ফাজিল ১ম, ২য়, ও ৩য় বর্ষের নিয়মিত-অনিয়মিত-প্রাইভেট-রিটেইক-মনোন্নয়ন পরীক্ষার জন্য সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও পরীক্ষা চালু রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ঢাকায় মিলেছে ওমিক্রনের অন্তত তিন উপধরন: গবেষণা
ঢাকা অফিস : ঢাকা শহরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অন্তত তিনটি উপধরন (সাব টাইপ) পাওয়া গেছে বলে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণায় জানা গেছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরে যে তিনটি উপধরন আছে সেগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়। আইসিডিডিআর,বি বলছে, জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে তাদের ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই ছিল করোনায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৬৯ শতাংশের নমুনায়। বাংলাদেশে ৬ ডিসেম্বর ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। ওই মাসেই আইসিডিডিআর,বির ল্যাবে পরীক্ষা করা ঢাকা শহরের ৭৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে পাঁচটিতে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। গবেষণায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ওমিক্রনে আক্রান্ত ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জনের মৃদু উপসর্গ কিংবা কোনও উপসর্গও ছিল না। ২৪ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছিলেন, বুস্টার ডোজ নিয়েছেন একজন। একজন শুধু একদিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ঢাকা মেডিক্যালে বাড়ছে রোগীর চাপ
ঢাকা অফিস : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া রোগীও রয়েছেন অনেকে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকার বাইরের রোগী। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গিয়ে জানা গেছে, রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রোগী ১৯ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা ও এর আশপাশের বাকি ১৪ জনই ঢাকার বাইরের রোগী। এদের মধ্যে কয়েকজন করোনা পজিটিভ, আর বাকিরা করোনার উপসর্গসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসছেন। হাসপাতালের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ ও ২২ জানুয়ারি, দুই দিনে পাঁচ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে তিন জনেরই ভ্যাকসিন নেওয়া ছিল। জানুয়ারির শুরুতে করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিল ১৬২ জন। এরমধ্যে ৩২ জনেরই ছিল করোনা পজিটিভ। ২২ জানুয়ারিতে ভর্তির সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জনে, তার মধ্যে পজিটিভ ছিল ১৭৪ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নেওয়া ছিল ১২ জন আর ২য় ডোজ নেওয়া ছিল ৩৪ জনের। ঢামেকে করোনার ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৯১ জন। চট্টগ্রামের ষোলশহর থেকে আব্দুস সালাম হাওলাদার (৫৬) নামে এক রোগীকে ঢামেকের করোনা ইউনিটে নিয়ে এসেছেন তার ছেলে মো. হামিদ। তিনি জানান, তার বাবার দুটি ভ্যাকসিনই দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার কিডনি সমস্যা ধরা পরে। পরে করোনা পরীক্ষাতেও পজিটিভ আসে। সেখান থেকে রেফার করা হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। একই দিনে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কক্সবাজার টেকনাফের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম (৩৫) নামে আরেক রোগী। তার ফুপাতো ভাই শাহনেওয়াজ জানান, মাজহারুল দুবাই প্রবাসী ছিলেন, সেখান থেকে তিনি একসময় মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দেশে ফিরে আসেন। এখানে প্রাইভেট একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার বোন মেরুর ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই চিকিৎসা চলাকালেই তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে তাকে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ভর্তি করতে না পারায় রবিবার ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শাহনেওয়াজ বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখানে তার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তাকে ক্যান্সার বিভাগে পাঠানো হবে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও টিকা না নেওয়ার কারণেই বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে প্রতিনিয়ত যে ভাবে রোগী আসছে, সে বিবেচনা করে, কোভিড রোগীদের জন্য কয়েকটি ওয়ার্ড ফাকা করা হয়েছে। এখন সেই ওয়ার্ডগুলোতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে রোগী : তিনি বলেন, বর্তমানে কোভিড ইউনিটে (২৩ জানুয়ারি) ৩৫০ রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতাল ৩'শ শয্যা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে মেডিসিন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের কার্যক্রম কমিয়ে দিয়ে হাসপাতালের দুটি ভবন, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের কিছু অংশ, আইসিইউ, এইচডিইউসহ প্রায় ৯'শ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড করা হয়। যেখানে সর্বোচ্চ ভর্তি ছিল প্রায় ৯৫০ জন রোগী। একটা সময় দৈনিক ১শ’রও বেশি করোনা রোগী ভর্তি হতো। একদিনে সর্বোচ্চ ভর্তি হয়েছিল ১১৯ জন। সেখান থেকে রোগী কমতে কমতে ডেল্টা ঢেউয়ের পর করোনা রোগীর সংখ্যা দেড়'শোর নিচে চলে আসে। পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রোগীর চাপ বেড়ে গেলে পর্যায়ক্রমে আবারও সব শয্যা খালি করে ফেলা হবে। বর্তমানে আমাদের অক্সিজেনের ব্যবস্থাও বেড়েছে, আমাদের সকল ব্যবস্থাপনা রয়েছে। আমরা চাই না পরিস্থিতি আগের পর্যায়ে যাক। এ জন্য সকলের সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে, টিকা নিতে হবে। টিকা নিলেও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাবে বলে জানান ঢামেকের পরিচালক।
................................
০৬
বিজেপির সঙ্গে জোট করে ২৫ বছর নষ্ট হয়েছে: শিব সেনা
ঢাকা অফিস : বিজেপিকে ২৫ বছর ধরে লালন-পালন করা ঠিক হয়নি। শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এভাবে ফের একবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজনীতির স্বার্থে ‘হিন্দুত্ববাদ’-কে ব্যবহার করেছে বিজেপি। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন,‘বিজেপির সঙ্গে জোট করে ২৫ বছর নষ্ট করেছে শিবসেনা। প্রয়াত বাংলা সাহেবের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে বলেন,‘আজ তারা যে ফাঁপা হিন্দুত্ব প্রদর্শন করে, তা ক্ষমতার ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা তাদের ২৫ বছর ধরে লালন-পালন করেছি...আমরা হিন্দুত্ব ত্যাগ করিনি, কখনও করব না। আমরা বিজেপি ছেড়েছি, হিন্দুত্ব নয়। বিজেপি হিন্দুত্বের সমার্থক নয়... আমরা হিন্দুত্বের জন্য ক্ষমতা চেয়েছিলাম। আমরা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য হিন্দুত্বকে ব্যবহার করিনি।’ উল্লেখ্য, বাল ঠাকরের হাত ধরেই জোটের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল বিজেপি ও শিবসেনা। তবে প্রায় তিনদশকের সেই সম্পর্ক তেতো হয়ে ভেঙেছে। আর বাল ঠাকরের জন্ম জয়ন্তীতেই ফের একবার বিজেপিকে একহাত নিলেন উদ্ধব।
Napa Extra
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?