খেজুর দিয়ে ইফতারির উপকারিতা
খেজুর শুধু রোজার ইফতারে নয়, সারা বছরই আমাদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় থাকতে পারে। প্রথমত হাদিসের অনুসরণে খেজুর দিয়ে ইফতার করা। দ্বিতীয়ত খেজুরের ভেষজগুণকেও উপেক্ষা করা যায় না। তাই খেজুর হতে পারে ইফতারের প্রধান উপাদান। সুতরাং খেজুর দিয়ে ইফতার করার উপকারিতা হলো—
১. কয়েকটি খেজুরই সাময়িক ক্ষুধা নিবারণে সহায়তা করে।
২. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকায় দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমেই যারা পেরেশান হয়ে যান, ইফতারে খেজুর খেলে তাদের দুর্বলতা কেটে যায় এবং রোজা রাখা সহজ হয়।
৩. শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফলে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের স্বাভাবিকভাবে রোজা রাখা সহজ হয়।
৪. খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ক্ষুধামন্দা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে খেজুর বিশেষ উপকারী।
৫. খেজুর পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারী। গ্যাসের জন্যও উপকার।
৬. রোজাদারের পেট খালি থাকায় শরীরে গ্লুকোজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খেজুর সেটা দ্রুত পূরণে সাহায্য করে।
মোটকথা, নানাবিধ উপকার সমৃদ্ধ খেজুর আমাদের জীবন প্রবাহে স্বাভাবিক গতি আনতে সহায়তা করে। অল্পতেই মুটিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর করে তোলে। বহু রোগ-বালাইয়ের প্রতিরোধে খেজুর অগ্রণী ভূমিকা রাখে। পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারদের জন্য তাই খেজুরের বিকল্প নেই।
রমজান মাসে দানে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব
রমজানে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ মাসে যত বেশি দান-সদকা করা যাবে, তা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রিয় উম্মতকে রমজান মাসে বেশি পরিমাণে দান করতে উৎসাহিত করতেন। রমজান মাসে একটি নফল আমল ফরজের মর্যাদায় সিক্ত। সে হিসেবে রমজান মাসে আমাদের প্রতিটি দান-সদকাই ফরজ হিসেবে আল্লাহতায়ালার কাছে গণ্য। দান-সদকার এমন ঈর্ষণীয় ফজিলত অন্যান্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। শুধু রমজানেই এই অফার সীমাবদ্ধ।