হ্যাঁ,এই সেই নন্দিনী চ্যাটার্জী,যিনি কীনা হাজার হাজার বাঙালী মেয়েদের হার্টথ্রব আবীর এর স্ত্রী!এবং তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন প্রায় অনেক বছর প্রেম করে।এটা পোস্ট করার একটাই কারণ।সে'ই আসল পুরুষ বা স্বামী,যে তার স্ত্রী এর রুপ,শারীরিক গঠণ এর চেয়েও বেশি তার গুণের কদর করে।অর্থাৎ, যেসব মেয়েরা "কেন সুন্দরী হলাম না,বা ওর থেকে আমি কম সুন্দর বলে আজ ও ওকে আমার থেকে বেশি পছন্দ করছে"
এইসব ভেবে ডিপ্রেশড হয়ে যাও,তাদের বলি,রুপ দুদিনের।বয়সের সাথে রুপ হারিয়ে যায়,তবে গুণ শেষ নিশ্বাস অবধি থাকে।তাই যে তোমায় ভালোবাসবে,
সে তোমায় সবটা জুড়েই ভালোবাসবে!🌸
আমাদের গুরুত্বটা যার কাছে যেমন,ঠিক ততটুকুই গুরুত্ব আমরা পাবো।গুরুত্ব,সন্মান,ভালবাসা,এগুলো আসলে জোর করে কখনই কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়না,কেউ পায়নি আজ পর্যন্ত।আমাদের জীবনে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের ভিড়ে নির্দিষ্ট কয়েকটা মানুষের কাছ থেকে আমরা খুব বেশি সন্মান পেয়ে থাকি।তারপরও যাদের থেকে আমরা সন্মান,ভালবাসা পাইনা,তাদেরকেও জীবনে জড়িয়ে রাখি, রাখতে বাধ্য আমরা।সাথে রাখতে হয় বলেই তাদের সাথে রাখা,সমাজ নিয়ে বসবাস করতে হয় বলেই সেইসব মানুষদেরকে নিয়ে আমাদের বেচে থাকা।
একসাথে একই ছাদের নিচে পুরোটা জীবন কাটিয়ে দিয়েও একে অপরের মন বুঝতে পারেনা।মনের না বলা কথাগুলো কখনই চোখের ভাষাতে পড়ে নিতে চায়না।মতামতের ভিন্নতা,চাহিদাগুলো সম্পূর্ন ভিন্ন রুপে ভিন্ন আঙ্গিকে চলে আসে দিনের পর দিন।চলাফেরা,খাওয়া,সবকিছুই একসাথে হলেই যে মানুষদুটো একে অপরের পরিপূরক হবে,তা ভাবা একেবারেই ভুল।বাচতে হয় বলেই অনেকেই বেচে থাকে।মানতে হয় বলেই অনেকেই মেনে নেয়া সম্ভব না হওয়াটাকেও মেনে নিতে বাধ্য হয়।রুচি না থাকা সত্বেও অনেক সময় অনেক ক্ষেএে অরুচিটাকে রুচির আওতায় আনতে হয়,বুকের মাঝে হাহাকার রেখে মুখে হাসি দিয়ে অনেক সময় অপছন্দের মানুষটাকেও পছন্দের বলে স্বীকার করে নিতে হয়।
ভালবাসাটা সবার প্রতি আসেনা,যার প্রতি মনের লুকায়িত সবটুকু ভালবাসা আসে,সে আসলে ভাগ্যেই থাকেনা।জীবনের সবটুকুতে প্রকাশিতভাবে মিশে থাকেনা।সে থাকে দীর্ঘশ্বাসে,মনের বিরাট অংশ জুড়ে।চাইলেই তাকে চোখের সামনে পাওয়া যায়না,যখন তখন ছুঁয়ে দেয়া যায়না।জীবনের এই নির্মম সত্যিটাকে মেনে নিয়ে অনেকেই নিজের সাথে, নিজের ভাগ্যের সাথে প্রচন্ড বিরোধীতা করে কাটিয়ে দেয় জীবন নামক ক্ষনিকের এই পথচলাকে।হাসিটা অনেক কারনে,অনেকের জন্যই অবলিলায় আসতেই পারে,কিন্তু চোখ থেকে কান্নাটা সহজেই সবার জন্য আসবেনা।যার জন্য কান্নাটা আসবে,সে হয়তো বুঝবেনা,নয়তো ভাগ্যেই থাকবেনা।
~এম.এস.এ.সাগর।
সারাক্ষণ অন্যের সাথে কথা বলতে থাকা আর অন্যের মুখে সবসময় হাসি ফোটানো মানুষটাও একদিন হুট করেই চুপচাপ হয়ে যায়।
সে মানুষটার হঠাৎ করে এই চুপ হয়ে পড়ার পিছনে হয়তো কোনো বিশেষ কারণ থাকতেই পারে। সে কারণটা হয়তো হতে পারে তার খুবই ব্যক্তিগত একটা কারণ। যা সে হয়তো কখনো কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারবে না। আবার এতদিন যাদের মুখে এই মানুষটা প্রতিনিয়ত হাসি ফুটিয়ে এসেছে, তারাও এটা বুঝতে পারবে না।
সব মিলিয়ে সে মানুষটা একদম চুপ হয়ে যায়। অবেলার বৃষ্টি এখন তাকে আর কাছে টানে না, কিংবা কাশঁফুলের বাগানও এখন তার কাছে খুবই ফ্যাকাসে বলেই মনে হয়। আসলে মন হঠাৎ ভাঙলে কিংবা মনের ওপর কোনো বোঝা চেপে গেলে মুখের বুলি হুট করে হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।
এদিকে আমরাও আবার খুব অদ্ভুত। আমরা সে মানুষটাকে গুটিকয়েক সিমপ্যাথির কথাবার্তা বলতে পারি ঠিকই, কিন্তু কখনো তার চোখের ভাষা আর মনের নিঃশব্দ কড়া আর্তনাদ কখনো বুঝতেই পারি না।
আমরা আমাদের নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত যে আমরা কখনো অন্যের দিকে ফিরে তাকানোর সময়টাই নিজেদের সময়ে নির্ধারণ করতে পারি না।
খুব আফসোস হয় এমন নিজেদের দেখলে। আর আরো বেশি আক্ষেপ হয় এমন মানুষদের হারিয়ে ফেললে, যারা কিনা হুট করেই অস্বাভাবিকভাবে চুপ হয়ে যায়।
~Rejuan Ovi
তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রতিটা দিন আমি মৃত্যু চাইতাম। কিন্তু বিশ্বাস করো, আজকাল আমি বাঁচতে চাই। প্রান ভরে বাঁচতে চাই।
তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে আমার চোখের নিচে কালি পরে গিয়েছিলো। কিন্তু বিশ্বাস করো, আজকাল সেই চোখ দুটোকেই আমি কাজল দিয়ে সাজাই।
তুমি আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমি ঠিকমত খেতে পারতাম না। সমস্ত আবেগেরা আমার গলায় দলা পাকিয়ে থাকতো। আমার গলা দিয়ে খাবার নামতো না। কিন্তু বিশ্বাস করো, আজকাল আমি খুব সহজেই খাবার খেয়ে নিই৷ আমার একটুও কষ্ট হয় না।
সেই সব দিনগুলো এখনের মতো এতো সহজ ছিলো না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আমি নিজেকে ভেঙ্গে আবার গড়েছি। জানো তো, এখন আর আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আজকাল নিজেকেই বড্ড বেশি ভালোবাসি৷ কারন আমি একটা বাঁচতে শিখে গেছি প্রিয়।
~Zannatul Eva
James Boss
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?