#সত্য_ঘটনা
নিজের সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখার জন্যে প্রায় ৬০০+ মেয়েকে হত্যা করে তাদের রক্ত পান ও নিজের শরীরে মাখে এলিজাবেথ.....
এলিজাব্যাথ ব্যাথরী....প্রথম পর্ব
চিরযৌবন ধরে রাখার বাসনা মানুষের মনে আধিকাল থেকেই..
কে না চায়,?যৌবনের সৌন্দর্য ও শক্তি ধরে রাখতে.
বিভিন্ন যুগে নানা রকমের মানুষের সম্পর্কে জানা যায় যারা নিজেদের যৌবন কে ধরে রাখার জন্যে নানা রকম কাজ করেছেন,কেউ মন্ত্র পড়ে চেষ্টা করেছেন,কেউবা আবার ধ্যান করে,কেউ আবার খাদ্যাবাসে পরিবর্তন এনে.কেউবা আবার পশু বলি দিয়েও চেষ্টা করেছে...।।।
আবার এদের মধ্যে কারো কারো পন্থা ছিল অতী বিকৃত ধরনের.
এমনি বিকৃত মস্তিষ্কের একজন ছিলেন হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারের এলিজাবেথ ব্যাথরী.
১৫৬০ সালের ৭ আগষ্ট হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে মেয়ে,যার নাম রাখা হয় এলিজাবেথ, বংশের পদবী যোগ করে পুরো নাম হয়
এলিজাবেথ ব্যাথরী...!!!!
ছোটবেলা থেকেই এলিজাবেথ ছিল অনেক সুন্দরী এবং পরিবারের সকালের কাছে অনেক আদরের..।
এলিজাবেথ এর আত্বীয় স্বজনও তাকে অনেক পছন্দ করতো,তার আত্বীয় স্বজন রা ছিল অনেক ক্ষমতাবান.
১৫৭৫ সালের দিকে এলিজাবেথের বয়স যখন ১৫ এর দিকে তখন তার বিয়ের কথা চিন্তা করে তার বাবা মা,কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে খুব আপত্তি থাকে এলিজাবেথের,কিন্তু বাবা মায়ের কথা চিন্তা করে একপর্যায়ে যে বিয়ের জন্যে রাজি হয়ে যায়....।।
তার বিয়ে হয় ২৬ বছরের কাউন্ট ফেয়ার নেদারস এর সাথে,বিয়ের পর এলিজাবেথ এর নাম হয়ে যায় কাউন্ট এলিজাবেথ, বিয়ের পর এলিজাবেথ কাউন্ট এর সাথে যেতে চায়নি,সে চায় কাউন্টকে তার বাসায় ঘর জামাই করে রেখে দিতে,কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় এলিজাবেথ মনে মনে খুব ক্ষীপ্ত হতে থাকে...
কাউন্ট ছিলেন একজন বীরযুদ্ধা,সে হাঙ্গেরির একজন সুনামধন্য যুদ্ধা ছিলেন,তবে সে এলিজাবেথ কে অনেক ভালোবাসতো.কিন্তু যুদ্ধ করার ফলে সে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো,এইদিকে কাউন্ট এর অনুপস্থিতে এলিজাবেথ নিজেকে একাকী বোধ করতো...
কাউন্ট এর এই অনুপস্থিত এর ফলে এক সময় এলিজাবেথ এর মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে...!
এই সময় এলিজাবেথ এর চাচা থর্ক তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় এক যাদুকরের সাথে,আর সেখান থেকেই সব সমস্যার শুরু হয়....।।।।
যাদুবিদ্যার সাথে পরিচয় হয়ার কিছুদিন পরেই এলিজাবেথ পালিয়ে যায় এক কালো আগন্তুক এর সাথে..।।
তবে পালিয়ে গিয়ে খুব একটা সুবিধা হয়নি এলিজাবেথ এর,কারন ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে যে বড় হয়েছিল তার সাথে কোন মিলই ছিল না ওই পরিবেশের,তাই কিছুদিন পর সে নিজেই ফিরে আসে..।
এলিজাবেথ ফিরে আসলে কাউন্ট থাকে ক্ষমা করে দেয় সে ভেবেছিল হয়তো এলিজাবেথ তার ভুল বুঝতে পেরেছে,কিন্তু সে জানতো তার ধারনা কত বড় ভুল ছিল..!!!
এলিজাবেথ কে নিয়ে কাউন্ট খুব সুখেই দিন কাটাচ্ছিল,এলিজাবেথ ও খুব ভালো ভাবেই দিন কাটাচ্ছিল কিন্তু এইকাখানে সে তার শাশুড়ী কে একদম সহ্য করতে পারতো না,তার শাশুড়ী ও তার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে যার ফলে তাদের মাঝে সব সময় বিরোধ লেগেই থাকতো..।।।
এই সময় এলিজাবেথ শুরু করে এক ভয়াবহ কাজ,সে তার সেবিকা ইলনাজু কে সাথে নিয়ে প্রসাধের চাকরানিদের উপর অত্যাচার শুরু করে,এক্ষেত্রে তার সহকারী ছিল থর্কো,ফিস্কো,এবং দুই যাদুকরী মহিলা ড্রাজোলা এবং জরজিয়া...।।
তবে অনেকের ধারনা চাকরানির মধ্যে যারা এলিজাবেথ এর যাদুবিদ্যার কথা জেনে যেতো তাদেরকেই এইভাবে অত্যাচার করতো এলিজাবেথ..!!!
এইভাবেই কেটে যায় ১০ টি বছর,আর এই মাঝেই জন্ম নেয় এলিজাবেথ এর প্রথম কন্যা সন্তান যার নাম রাখা হয় এনা..।।।
এর পরে ৯ বছরের মধ্যে আরো ২ টি সন্তানের জন্ম দেয় এলিজাবেথ ব্যাথরী..।
সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে চলছিল তখন....।
কাউন্ট তখন বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকতো,সন্তানদের জন্যে সে যুদ্ধে যাওয়া কমিয়ে দেয়.
এলিজাবেথকেও সে আগের চাইতে অনেক বেশি ভালোবাসতো,সবকিছুই তখন ঠিকঠাক চলছিল...!!!
কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা,কাউন্ট মারা যায় এক যুদ্ধে.
কাউন্ট মারা যাবার পর এলিজাবেথ অন্য রকম হয়ে যায় সে তার শাশুড়ী কে প্রসাধ থেকে বের করে দেয়,
এবং এই সময় সে পুরোপুরি ভাবে যাদুবিদ্যায় ঢুকে যায়,এই সময় সে বিভিন্ন ধরের পশু বলি দিতে শুরু করে,পাঠা,ঘোড়া এবং আরো নানা রকম পশু.।
অনেকে মনে করে সে তার শাশুড়ী কেও বলি দিয়ে দেয়...!
একদিন এলিজাবেথ খেয়াল করে তার চামড়া খুসকে উঠেছে,তার মানে সে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে,সে তার যোবন কমে যাচ্ছে,তার শক্তি কমে যাচ্ছে..!!
কিন্তু এলিজাবেথ এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না,পৃথিবীতে এই একটা জিনিসই সে মেনে নিতে পারেনি যা হলো সে বুড়ো হয়ে যাবে.
সব কিছু ভুলে সে শুধু ভাবতে থাকে কিভাবে সে তার যোবন ধরে রাখবে,কিভাবে সে তার শক্তি ধরে রাখবে,
এসব ভেবে যিখন সে কোন কাজ করতে পারতেছিল না তখন তার মনে পরে যায়,বেশ কিছু দিন আগে এক বৃদ্ধা মহিলা তাকে অভিশাপ দিয়েছিল..
অভিশাপ টা ছি এই রকম,এলিজাবেথ কিছুদিনের মাঝেই বুড়ো হয়ে যাবে,তার সব সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে,তার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না........,
এই কথা মনে হতেই এলিজাবেথ পাগল হয়ে যায়,যেইভাবেই হোক তার সৌন্দর্য তাকে ধরে রাখতেই হবে, এটাই ছিল তার সকল চাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাওয়া...!!!!!
চলবে.....
অাপনাদের সারা পেলে শেষ পর্ব পোস্ট করবো
Collected
#সত্য_ঘটনা
নিজের সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখার জন্যে প্রায় ৬০০+ মেয়েকে হত্যা করে তাদের রক্ত পান ও নিজের শরীরে মাখে এলিজাবেথ.....
এলিজাব্যাথ ব্যাথরী....প্রথম পর্ব
চিরযৌবন ধরে রাখার বাসনা মানুষের মনে আধিকাল থেকেই..
কে না চায়,?যৌবনের সৌন্দর্য ও শক্তি ধরে রাখতে.
বিভিন্ন যুগে নানা রকমের মানুষের সম্পর্কে জানা যায় যারা নিজেদের যৌবন কে ধরে রাখার জন্যে নানা রকম কাজ করেছেন,কেউ মন্ত্র পড়ে চেষ্টা করেছেন,কেউবা আবার ধ্যান করে,কেউ আবার খাদ্যাবাসে পরিবর্তন এনে.কেউবা আবার পশু বলি দিয়েও চেষ্টা করেছে...।।।
আবার এদের মধ্যে কারো কারো পন্থা ছিল অতী বিকৃত ধরনের.
এমনি বিকৃত মস্তিষ্কের একজন ছিলেন হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারের এলিজাবেথ ব্যাথরী.
১৫৬০ সালের ৭ আগষ্ট হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে মেয়ে,যার নাম রাখা হয় এলিজাবেথ, বংশের পদবী যোগ করে পুরো নাম হয়
এলিজাবেথ ব্যাথরী...!!!!
ছোটবেলা থেকেই এলিজাবেথ ছিল অনেক সুন্দরী এবং পরিবারের সকালের কাছে অনেক আদরের..।
এলিজাবেথ এর আত্বীয় স্বজনও তাকে অনেক পছন্দ করতো,তার আত্বীয় স্বজন রা ছিল অনেক ক্ষমতাবান.
১৫৭৫ সালের দিকে এলিজাবেথের বয়স যখন ১৫ এর দিকে তখন তার বিয়ের কথা চিন্তা করে তার বাবা মা,কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে খুব আপত্তি থাকে এলিজাবেথের,কিন্তু বাবা মায়ের কথা চিন্তা করে একপর্যায়ে যে বিয়ের জন্যে রাজি হয়ে যায়....।।
তার বিয়ে হয় ২৬ বছরের কাউন্ট ফেয়ার নেদারস এর সাথে,বিয়ের পর এলিজাবেথ এর নাম হয়ে যায় কাউন্ট এলিজাবেথ, বিয়ের পর এলিজাবেথ কাউন্ট এর সাথে যেতে চায়নি,সে চায় কাউন্টকে তার বাসায় ঘর জামাই করে রেখে দিতে,কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় এলিজাবেথ মনে মনে খুব ক্ষীপ্ত হতে থাকে...
কাউন্ট ছিলেন একজন বীরযুদ্ধা,সে হাঙ্গেরির একজন সুনামধন্য যুদ্ধা ছিলেন,তবে সে এলিজাবেথ কে অনেক ভালোবাসতো.কিন্তু যুদ্ধ করার ফলে সে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো,এইদিকে কাউন্ট এর অনুপস্থিতে এলিজাবেথ নিজেকে একাকী বোধ করতো...
কাউন্ট এর এই অনুপস্থিত এর ফলে এক সময় এলিজাবেথ এর মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে...!
এই সময় এলিজাবেথ এর চাচা থর্ক তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় এক যাদুকরের সাথে,আর সেখান থেকেই সব সমস্যার শুরু হয়....।।।।
যাদুবিদ্যার সাথে পরিচয় হয়ার কিছুদিন পরেই এলিজাবেথ পালিয়ে যায় এক কালো আগন্তুক এর সাথে..।।
তবে পালিয়ে গিয়ে খুব একটা সুবিধা হয়নি এলিজাবেথ এর,কারন ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে যে বড় হয়েছিল তার সাথে কোন মিলই ছিল না ওই পরিবেশের,তাই কিছুদিন পর সে নিজেই ফিরে আসে..।
এলিজাবেথ ফিরে আসলে কাউন্ট থাকে ক্ষমা করে দেয় সে ভেবেছিল হয়তো এলিজাবেথ তার ভুল বুঝতে পেরেছে,কিন্তু সে জানতো তার ধারনা কত বড় ভুল ছিল..!!!
এলিজাবেথ কে নিয়ে কাউন্ট খুব সুখেই দিন কাটাচ্ছিল,এলিজাবেথ ও খুব ভালো ভাবেই দিন কাটাচ্ছিল কিন্তু এইকাখানে সে তার শাশুড়ী কে একদম সহ্য করতে পারতো না,তার শাশুড়ী ও তার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে যার ফলে তাদের মাঝে সব সময় বিরোধ লেগেই থাকতো..।।।
এই সময় এলিজাবেথ শুরু করে এক ভয়াবহ কাজ,সে তার সেবিকা ইলনাজু কে সাথে নিয়ে প্রসাধের চাকরানিদের উপর অত্যাচার শুরু করে,এক্ষেত্রে তার সহকারী ছিল থর্কো,ফিস্কো,এবং দুই যাদুকরী মহিলা ড্রাজোলা এবং জরজিয়া...।।
তবে অনেকের ধারনা চাকরানির মধ্যে যারা এলিজাবেথ এর যাদুবিদ্যার কথা জেনে যেতো তাদেরকেই এইভাবে অত্যাচার করতো এলিজাবেথ..!!!
এইভাবেই কেটে যায় ১০ টি বছর,আর এই মাঝেই জন্ম নেয় এলিজাবেথ এর প্রথম কন্যা সন্তান যার নাম রাখা হয় এনা..।।।
এর পরে ৯ বছরের মধ্যে আরো ২ টি সন্তানের জন্ম দেয় এলিজাবেথ ব্যাথরী..।
সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে চলছিল তখন....।
কাউন্ট তখন বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকতো,সন্তানদের জন্যে সে যুদ্ধে যাওয়া কমিয়ে দেয়.
এলিজাবেথকেও সে আগের চাইতে অনেক বেশি ভালোবাসতো,সবকিছুই তখন ঠিকঠাক চলছিল...!!!
কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা,কাউন্ট মারা যায় এক যুদ্ধে.
কাউন্ট মারা যাবার পর এলিজাবেথ অন্য রকম হয়ে যায় সে তার শাশুড়ী কে প্রসাধ থেকে বের করে দেয়,
এবং এই সময় সে পুরোপুরি ভাবে যাদুবিদ্যায় ঢুকে যায়,এই সময় সে বিভিন্ন ধরের পশু বলি দিতে শুরু করে,পাঠা,ঘোড়া এবং আরো নানা রকম পশু.।
অনেকে মনে করে সে তার শাশুড়ী কেও বলি দিয়ে দেয়...!
একদিন এলিজাবেথ খেয়াল করে তার চামড়া খুসকে উঠেছে,তার মানে সে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে,সে তার যোবন কমে যাচ্ছে,তার শক্তি কমে যাচ্ছে..!!
কিন্তু এলিজাবেথ এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না,পৃথিবীতে এই একটা জিনিসই সে মেনে নিতে পারেনি যা হলো সে বুড়ো হয়ে যাবে.
সব কিছু ভুলে সে শুধু ভাবতে থাকে কিভাবে সে তার যোবন ধরে রাখবে,কিভাবে সে তার শক্তি ধরে রাখবে,
এসব ভেবে যিখন সে কোন কাজ করতে পারতেছিল না তখন তার মনে পরে যায়,বেশ কিছু দিন আগে এক বৃদ্ধা মহিলা তাকে অভিশাপ দিয়েছিল..
অভিশাপ টা ছি এই রকম,এলিজাবেথ কিছুদিনের মাঝেই বুড়ো হয়ে যাবে,তার সব সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে,তার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না........,
এই কথা মনে হতেই এলিজাবেথ পাগল হয়ে যায়,যেইভাবেই হোক তার সৌন্দর্য তাকে ধরে রাখতেই হবে, এটাই ছিল তার সকল চাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাওয়া...!!!!!
চলবে.....
অাপনাদের সারা পেলে শেষ পর্ব পোস্ট করবো
Collected
#সত্য_ঘটনা
নিজের সৌন্দর্য ও যৌবন ধরে রাখার জন্যে প্রায় ৬০০+ মেয়েকে হত্যা করে তাদের রক্ত পান ও নিজের শরীরে মাখে এলিজাবেথ.....
এলিজাব্যাথ ব্যাথরী....প্রথম পর্ব
চিরযৌবন ধরে রাখার বাসনা মানুষের মনে আধিকাল থেকেই..
কে না চায়,?যৌবনের সৌন্দর্য ও শক্তি ধরে রাখতে.
বিভিন্ন যুগে নানা রকমের মানুষের সম্পর্কে জানা যায় যারা নিজেদের যৌবন কে ধরে রাখার জন্যে নানা রকম কাজ করেছেন,কেউ মন্ত্র পড়ে চেষ্টা করেছেন,কেউবা আবার ধ্যান করে,কেউ আবার খাদ্যাবাসে পরিবর্তন এনে.কেউবা আবার পশু বলি দিয়েও চেষ্টা করেছে...।।।
আবার এদের মধ্যে কারো কারো পন্থা ছিল অতী বিকৃত ধরনের.
এমনি বিকৃত মস্তিষ্কের একজন ছিলেন হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারের এলিজাবেথ ব্যাথরী.
১৫৬০ সালের ৭ আগষ্ট হাঙ্গেরির অভিজাত পরিবারে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে মেয়ে,যার নাম রাখা হয় এলিজাবেথ, বংশের পদবী যোগ করে পুরো নাম হয়
এলিজাবেথ ব্যাথরী...!!!!
ছোটবেলা থেকেই এলিজাবেথ ছিল অনেক সুন্দরী এবং পরিবারের সকালের কাছে অনেক আদরের..।
এলিজাবেথ এর আত্বীয় স্বজনও তাকে অনেক পছন্দ করতো,তার আত্বীয় স্বজন রা ছিল অনেক ক্ষমতাবান.
১৫৭৫ সালের দিকে এলিজাবেথের বয়স যখন ১৫ এর দিকে তখন তার বিয়ের কথা চিন্তা করে তার বাবা মা,কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে খুব আপত্তি থাকে এলিজাবেথের,কিন্তু বাবা মায়ের কথা চিন্তা করে একপর্যায়ে যে বিয়ের জন্যে রাজি হয়ে যায়....।।
তার বিয়ে হয় ২৬ বছরের কাউন্ট ফেয়ার নেদারস এর সাথে,বিয়ের পর এলিজাবেথ এর নাম হয়ে যায় কাউন্ট এলিজাবেথ, বিয়ের পর এলিজাবেথ কাউন্ট এর সাথে যেতে চায়নি,সে চায় কাউন্টকে তার বাসায় ঘর জামাই করে রেখে দিতে,কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় এলিজাবেথ মনে মনে খুব ক্ষীপ্ত হতে থাকে...
কাউন্ট ছিলেন একজন বীরযুদ্ধা,সে হাঙ্গেরির একজন সুনামধন্য যুদ্ধা ছিলেন,তবে সে এলিজাবেথ কে অনেক ভালোবাসতো.কিন্তু যুদ্ধ করার ফলে সে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো,এইদিকে কাউন্ট এর অনুপস্থিতে এলিজাবেথ নিজেকে একাকী বোধ করতো...
কাউন্ট এর এই অনুপস্থিত এর ফলে এক সময় এলিজাবেথ এর মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে...!
এই সময় এলিজাবেথ এর চাচা থর্ক তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় এক যাদুকরের সাথে,আর সেখান থেকেই সব সমস্যার শুরু হয়....।।।।
যাদুবিদ্যার সাথে পরিচয় হয়ার কিছুদিন পরেই এলিজাবেথ পালিয়ে যায় এক কালো আগন্তুক এর সাথে..।।
তবে পালিয়ে গিয়ে খুব একটা সুবিধা হয়নি এলিজাবেথ এর,কারন ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে যে বড় হয়েছিল তার সাথে কোন মিলই ছিল না ওই পরিবেশের,তাই কিছুদিন পর সে নিজেই ফিরে আসে..।
এলিজাবেথ ফিরে আসলে কাউন্ট থাকে ক্ষমা করে দেয় সে ভেবেছিল হয়তো এলিজাবেথ তার ভুল বুঝতে পেরেছে,কিন্তু সে জানতো তার ধারনা কত বড় ভুল ছিল..!!!
এলিজাবেথ কে নিয়ে কাউন্ট খুব সুখেই দিন কাটাচ্ছিল,এলিজাবেথ ও খুব ভালো ভাবেই দিন কাটাচ্ছিল কিন্তু এইকাখানে সে তার শাশুড়ী কে একদম সহ্য করতে পারতো না,তার শাশুড়ী ও তার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে যার ফলে তাদের মাঝে সব সময় বিরোধ লেগেই থাকতো..।।।
এই সময় এলিজাবেথ শুরু করে এক ভয়াবহ কাজ,সে তার সেবিকা ইলনাজু কে সাথে নিয়ে প্রসাধের চাকরানিদের উপর অত্যাচার শুরু করে,এক্ষেত্রে তার সহকারী ছিল থর্কো,ফিস্কো,এবং দুই যাদুকরী মহিলা ড্রাজোলা এবং জরজিয়া...।।
তবে অনেকের ধারনা চাকরানির মধ্যে যারা এলিজাবেথ এর যাদুবিদ্যার কথা জেনে যেতো তাদেরকেই এইভাবে অত্যাচার করতো এলিজাবেথ..!!!
এইভাবেই কেটে যায় ১০ টি বছর,আর এই মাঝেই জন্ম নেয় এলিজাবেথ এর প্রথম কন্যা সন্তান যার নাম রাখা হয় এনা..।।।
এর পরে ৯ বছরের মধ্যে আরো ২ টি সন্তানের জন্ম দেয় এলিজাবেথ ব্যাথরী..।
সব কিছুই ঠিকঠাক ভাবে চলছিল তখন....।
কাউন্ট তখন বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকতো,সন্তানদের জন্যে সে যুদ্ধে যাওয়া কমিয়ে দেয়.
এলিজাবেথকেও সে আগের চাইতে অনেক বেশি ভালোবাসতো,সবকিছুই তখন ঠিকঠাক চলছিল...!!!
কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা,কাউন্ট মারা যায় এক যুদ্ধে.
কাউন্ট মারা যাবার পর এলিজাবেথ অন্য রকম হয়ে যায় সে তার শাশুড়ী কে প্রসাধ থেকে বের করে দেয়,
এবং এই সময় সে পুরোপুরি ভাবে যাদুবিদ্যায় ঢুকে যায়,এই সময় সে বিভিন্ন ধরের পশু বলি দিতে শুরু করে,পাঠা,ঘোড়া এবং আরো নানা রকম পশু.।
অনেকে মনে করে সে তার শাশুড়ী কেও বলি দিয়ে দেয়...!
একদিন এলিজাবেথ খেয়াল করে তার চামড়া খুসকে উঠেছে,তার মানে সে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে,সে তার যোবন কমে যাচ্ছে,তার শক্তি কমে যাচ্ছে..!!
কিন্তু এলিজাবেথ এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না,পৃথিবীতে এই একটা জিনিসই সে মেনে নিতে পারেনি যা হলো সে বুড়ো হয়ে যাবে.
সব কিছু ভুলে সে শুধু ভাবতে থাকে কিভাবে সে তার যোবন ধরে রাখবে,কিভাবে সে তার শক্তি ধরে রাখবে,
এসব ভেবে যিখন সে কোন কাজ করতে পারতেছিল না তখন তার মনে পরে যায়,বেশ কিছু দিন আগে এক বৃদ্ধা মহিলা তাকে অভিশাপ দিয়েছিল..
অভিশাপ টা ছি এই রকম,এলিজাবেথ কিছুদিনের মাঝেই বুড়ো হয়ে যাবে,তার সব সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে,তার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না........,
এই কথা মনে হতেই এলিজাবেথ পাগল হয়ে যায়,যেইভাবেই হোক তার সৌন্দর্য তাকে ধরে রাখতেই হবে, এটাই ছিল তার সকল চাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাওয়া...!!!!!
চলবে.....
অাপনাদের সারা পেলে শেষ পর্ব পোস্ট করবো
Collected