রুহিঃ আমি ফ্রি আছি! বড় আম্মু তুমি চাইলে আমি তোমার ছেলের বউ হতে পারি।(মাংসের হাড় চিবুতে চিবুতে)
মুগ্ধ এই কথাটা শুনে এমন ভীষম খেয়েছে যে ওর কাশতে কাশতে জান শেষ!মুগ্ধ চোখ দিয়ে পানি ঝরছে আর মুখটা লাল হয়ে গেছে।পানি খেয়েও কাশি কমছে না!রুহি উঠে মুগ্ধর মাথায় আর পিঠে ফু দিতে শুরু করলো!ফু দিয়ে কাশি যখন থামলো না তখন মুগ্ধর মাথায় আর পিঠে থাবড়ানো শুরু করলো!মুগ্ধর কাশি আর রুহির থাবড়ানোতে মুগ্ধর অবস্থা আরো খারাপ…. মুগ্ধর কাশি দেখে সবাই কি নিয়ে কথা বলছিলো সেটাই ভুলে গেছে।
https://www.lovestory-bd.com/9347/
আহানঃ 😂😂😂😂😂😂😂 কি মেয়েরে বাবা সব সময় দৌড়াতেই থাকে! আর আজকে ওর ভাই দিবস!!! 😂😂😂😂😂
নিহাঃ হেই আহান,, একা একা হাসছ কেন বেবি? ( এই হলো নিহা। বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। অনেক ইগো। আর আহানকে পছন্দ করে তবে আহান ওকে এক কথায় সহ্য করতে পারে না। )
আহানঃ না কিছু না [(মনে মনে) এই মেয়েটা আবার!! 😣😖]
নিহাঃ চলো আহান আমরা কেন্টিনে যাই
আহানঃ ওকে। (কারণ আহান জানে এখন নিহাকে নিষেধ করলেও ও শুনবে না)
°°°
এইদিকে আরোহি এক দৌড়ে ক্যান্টিনে এসে পৌছে পর পর ২ গ্লাস পানি শেষ করল 🍻
মিতুঃ কি রে আজকাল কি তুই রেসে দৌড়ানোর প্রাকটিস করছিস নাকি? যখন দেখি তখনই দৌড়াচ্ছিস 😂
https://www.lovestory-bd.com/9361/
আমি গিয়ে দেখলাম সেতু মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে গোঙাচ্ছে।
প্রচন্ড মারের চোটে পিঠের চামড়া উঠে রক্তে লাল হয়ে আছে চমড়া।
আমি কাছে গিয়ে বসে ওর মাথায় হাত রাখলাম।সেতু মুখ তুলে আমার দিকে চাইলো।
প্রচন্ড অসহায় সেই মুখ।ওর কান্নাভেজা,পাংশুটে মুখখানি দেখে আমার বড্ড মায়া হলো।
ওকে উঠে বসতে সাহায্য করলাম আমি।সেতু ক্লান্ত কন্ঠে বলল,’আমাকে একটু পানি দাও।’
আমি টেবিলের ওপর থেকে পানি নিয়ে এলাম।পানিটা এক চুমুকে খেয়ে নিলো সেতু।
তারপর আমার হাতে গ্লাসটা দিয়ে আদ্র কন্ঠে বলল,’এক্ষুনি চলে যাও এখান থেকে।
তামিম আবার আসবে।তোমাকে এখানে দেখলে আমাকে আবার মা’র খেতে হবে।’
আমি কিছু জিগ্যেস করতে চেয়েও পারলাম না কারণ কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।
হয়তো এদিকেই আসছে।আমি দ্রুত চলে যাওয়ার সময় পেছন থেকে সেতুর গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
https://www.lovestory-bd.com/9368/