চিনিকল বন্ধ নয়, লোকসান কমাতে আধুনিকায়ন করা হবে ॥ শিল্পমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশের চিনিকলগুলো বন্ধ করার কোনো চিন্তা নেই। লোকসান কমাতে আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান লোকসানি নয়। কারণ এখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯ প্রদান উপলক্ষে শিল্প ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেশে চিনি সংকট হলে অথবা দাম কমানোর জন্য প্রয়োজন হলে চিনি আমদানি করা হবে।
চিনিকল বন্ধের প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব এলাকায় চিনিকল রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অন্যান্য শিল্প সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের লোকসানি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান লোকসানি নয়। কারণ এখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লোক ছাঁটাই করেছে, আমাদের সরকারী প্রতিষ্ঠানের কারো চাকরি যায়নি, কারো বেতন-ভাতার কোনো সমস্যা হয়নি।
রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করতেই জেল হত্যা ॥ লিটন
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ইতিহাসের কলঙ্কিত জেল হত্যা দিবসে দেশের জাতীয় চার নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাজশাহী সিটি মেয়র ও শহীদ এএইচএম কামারারুজ্জামানের পুত্র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন রাষ্ট্রিয় কাঠামো ধ্বংস করতেই কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বুধবার জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৩ নবেম্বর বাঙালী জাতির গভীর বেদনার দিন। জাতি দিনটিকে জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালনের মাধ্যমে জাতীয় চার নেতাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নবেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রধান ভূমিকায় থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জাতীয় শত্রু ও ঘাতকরা রক্তে অর্জিত বাঙালির রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংসের হীন উদ্দেশ্যেই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করেছিল। কিন্তু দেশের মানুষ সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। দেশবাসীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত, তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
জেলহত্যা দিবস সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রত্যেক সন্তানের কাছেই তার মা-বাবা অত্যন্ত আবেগের জায়গা। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি বা হওয়ার কথাও না। সেই ক্ষেত্রে এই দিনটিকে ঘিরে অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে। বাবা হারানোর যে বেদনা তরুণ বয়সে পেয়েছি, তখন যেমন ছিল এখন তেমনই আছে। এ ব্যথা তো থাকবেই।
জাতীয় চারনেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকের এই দিন আসলে মনে হয়, জাতির জন্য বড় ক্ষতিটা হয়ে গেছে। যেটা ১৯৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর। এই ক্ষতি সহসা পূরণ হওয়ার নয়। এই ক্ষতি যারা করেছেন তারা জাতির জীবন থেকে ২১টি বছর দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। এটি তো অফেরতযোগ্য। এ কারণে জাতি চিরকাল এই খুনিদের মীর জাফর হিসেবে চিহ্নিত করবে, ঘৃণা করবে এবং এই দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করবে।
তিনি বলেন, এমনিতে অনেক দেরি হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার করতে গিয়ে একটি হত্যাকাণ্ডের যেমন সময় লাগে বরং তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে। ২০০১ সালে জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসলো। তারা জেলহত্যা মামলার রায় ২০০৪ সালে দিল। সেটি একটি প্রহসনের রায়। যারা প্রকৃত খুনি তাদের নামমাত্র শাস্তি দেওয়া হলো বা বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। আমরা সেই রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছি।
লিটন আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচারকার্য শেষ হয়ে এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে রায় বাস্তবায়নের কাজটি বাকি। বাস্তবায়নের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে আছি। কারণ আমাদের সবারই বয়স হয়েছে। আমাদের মায়েরাও গত হয়েছে। তারা আংশিক দেখে যেতে পেরেছেন। আমরা মনে করি এই কলঙ্ক বাঙালি জাতির ললাট থেকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্যে যা করা দরকার, আমাদের সরকার তা করবে এবং করছে।
মেয়র লিটন বলেন, জাতীয় শত্রুদের বিরুদ্ধে সচেতন ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জনাচ্ছি।
জেলহত্যা দিবসে গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ শোকাবহ জেলহত্যা দিবসে গভীর শোক আর শ্রদ্ধায় রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার দিনভর রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচী পালন করে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে দলীয় কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে নগরীর কাদিরগঞ্জে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে জাতীয় চার নেতার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এসব কর্মসূচীতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামারুজ্জামানের ছেলে ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের অলোকার মোড়স্থ অস্থায়ী কার্যালয় থেকে জেল হত্যা দিবসের একটি শোক র্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের এড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, রাজশাহী রাজশাহী -৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, বরন্দ্রে বহুমুখী উন্নয়ন র্কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. রবিউল আলম বাবুসহ জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ মামলা ॥ হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এক নারীকে রির্সোট এনে আটকে রেখে ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমানে আদালতে এ অভিযোগ গঠন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান। আদালত কাঠগড়ায় আসামির উপস্থিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল মামুনুল হক সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে কথিত স্ত্রী পরিচয়ে দিয়ে জান্নাত আরা ঝর্নাকে নিয়ে এক কক্ষে অবস্থান করেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নারীসহ মামুনুল হকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের ইসলামের কর্মীরা রির্সোটে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে পুলিশ হেফাজত থেকে মামুনুল হকসহ ওই নারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ কার্যালয়, যুবলীগের সভাপতি বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বেপরোয়া ভাংচুর চালায়। হামলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহনের।
এ ঘটনায় সংহিসতার অভিযোগ এনে পুলিশ ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাদি হয়ে মামুনুল হককে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন। রিসোর্টকান্ডের দিন সঙ্গীনিকে মামুনুল দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও তার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর সংহিসতার মামলায় ১৮ এপ্রিল গ্রেফতারের পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল হক বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু বিয়ে করবেন বলে আর করেননি। ধর্ষণ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত ) সফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামুনুল হকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নাইজেরিয়ায় ভবন ধস ॥ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০
অনলাইন ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়ার লাগোসে বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। স্থানীয় সময় সেমাবার ( ১ নভেম্বর) বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ধসে পড়া ভবনটিতে ‘অস্বাভাবিকতা’ নজরে আসার পর চলতি বছরের শুরুতে এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজে স্থগিতাদেশ দেয় রাজ্য সরকার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ২ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
লাগোস রাজ্যের ডেপুটি গভর্নর ওবাফেমি হামজাত বলেন, ২১ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণে গত জুনে এর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি শ্রমিকরা কাজ করার অনুমতি পায়। কিন্তু মঙ্গলবার দেখা গেছে যে, এটি নির্মাণাধীন অংশে ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট হচ্ছিল না।
তবে কি কারণে অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। কিন্তু লাগোস রাজ্যের বিল্ডিং কন্ট্রোল এজেন্সির প্রধান জানান, ভবনটি নির্মাণে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, যা ছিল ভয়ঙ্কর।
জানা গেছে, ফোর স্কোর হোম লিমিটেড আবাসন স্কিমের পরিকল্পনা করে ভবনটি নির্মাণ করছিল। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার অন্য এলাকাগুলোতেও তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে।
এদিকে, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে ভূক্তভোগীদের স্বজনরা অপেক্ষা করছেন প্রিয়জনকে দেখার জন্য।
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল জারি
অনলাইন ডেস্ক ॥ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও ঢাবি শিক্ষক আয়েশা মাহমুদাকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া এবং আদেশ যথাযথভাবে পালন না করায় এ রুল জারি করেন আদালত।
রিট আবেদনকারী ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদ এবং তার পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লায় মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় ১৭ জনের ৫ দিনের রিমান্ড
অনলাইন ডেস্ক ॥ কুমিল্লায় মন্দির ভাঙচুরে পুলিশের করা মামলায় ১৭ আসামিকে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ এ আদেশ দেন।
কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মামলার ১৮ আসামিকে আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক ১৭ আসামিকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর আসামির বয়স ১৮ না হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকার মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে’
অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক ঘটনায় প্রভাবিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব বিশ্বকে অবশ্যই ভাগ করে নিতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সঠিকভাবে সসমাধান করতে হবে। খবর বাসসের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভাষণে এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে। এ ছাড়া, আরও অতিরিক্ত ১.১ মিলিয়ন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বোঝা যোগ হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যায় স্কটিশ পার্লামেন্টে কমিটি কক্ষে ‘এ বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছালে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
তিনি উল্লেখ করেন যে, কার্যকর ও পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়ন হবে সমৃদ্ধি অর্জনের মূল চাবিকাঠি। তিনি এমসিপিপি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) এবং ভালনারেবল২০ (ভি২০) সভাপতি শেখ হাসিনা একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছেন, ‘প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলেকে অবশ্যই ব্যাপক ভিত্তিক এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) পেশ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রয়াস ছাড়া, শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, বন্ধ এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’
আরেকটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই পরিমাণ অর্থায়ন হবে বিদ্যমান ওডিএ (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) এর অতিরিক্ত এবং বিভিন্ন জলবায়ু অর্থায়নের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। তিনি বলেন, ‘অভিযোজন ও প্রভাব প্রশমনের ক্ষেত্রে জলবায়ু অর্থায়ন বিতরণে মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত’।
সর্বশেষ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবুজ প্রযুক্তির প্রসারের পরামর্শ দেন, যাতে মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মসূচির বিষয়ে তাদের সংকল্প ও উচ্চাকাক্সক্ষা প্রকাশ করতে গ্লাসগোতে সমবেত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়। তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব ও জলবায়ু দুর্যোগ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসাবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে ০.৪৭ শতাংশের কম অবদান রাখি।’
তিনি বলেন, চরম তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরা, অধিকতর তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঋতু পরিবর্তন, নদী ভাঙন, সমুদ্রের অম্লকরণ বাংলাদেশ ও অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং আগামী দশকে তা নয় শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই তহবিলের আওতায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সহ ৮০০টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা প্রধানত অভিযোজন, প্রভাব প্রশমন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি নিরাপদ, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ অর্জনের জন্য অভিযোজিত ব-দ্বীপের ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক ভিত্তিক ১০০ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহণ করেছি। বর্তমানে, দেশ অগ্রসর হচ্ছে এবং একটি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে (এনএপি) যা আমাদের অভিযোজন উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামির মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক ॥ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. রুস্তম আলী (৮১) নামে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রুস্তম আলী। দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজ বুধবার সকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারারক্ষী আবু নাসের বলেন, সকালের দিকে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রুস্তম আলী। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রুস্তম আলী নামের একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাচ্চু মিয়া বলেন, রুস্তম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।