লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা!
--------------
১: লা- হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ (لا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّه)।
আল্লাহ ছাড়া কোনও উপায় নেই, কোনও শক্তি নেই।
আমার মুখের ওপর পৃথিবীর যাবতীয় দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও আমি কখনো কিছুতেই নিরাশ হবো না। আমার সমস্ত শক্তি-সামর্থ নিঃশেষ করেও উদ্দিশ্য হাসিলে ব্যর্থ হলে, একটুও আশা হারাব না। কোনও অবস্থাতেই আমি আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হবো না। সর্বাবস্থায় আমি আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ অবিচল আস্থা রাখব। আমি সুনিশ্চিত ইয়াকীন রাখব, যিনি স্বীয় রহমত ও হেকমতে আমার সামনে একটি দরজা বন্ধ করেছেন, তিনি অচিরেই স্বীয় করুণা ও অনুগ্রহ, শক্তি ও সামর্থে আমার জন্য মুক্তির দরজা খুলে দেবেন। ইন শা আল্লাহ।
.
২. লা- হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ (لا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّه)।
আল্লাহ ছাড়া কোনও উপায় নেই, কোনও শক্তি নেই।
এই দোয়া মাজলুম অসহায়ের হাতিয়ার। এই দোয়া কখন ফলপ্রসূ হবে? দোয়াটির কার্যকারিতা নির্ভর করবে, আমার আকীদায়ে তাওহীদের গভীরতার উপর। দোয়াটি বলার ক্ষেত্রে একীনের উপর। রাব্বে কারীমের প্রতি আমার আনুগত্য আর পুণ্যকর্মের ওপর। আল্লাহর ওয়াদার প্রতি আমার আস্থা পোষণের উপর। আমার ভেতর-বাহিরকে সংশোধন করার উপর। আমার নিয়ত ও অন্তরের স্বচ্চতার উপর। আমার এসব ঠিক থাকলে, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে আশাতীত প্রতিদানে ভূষিত করবেন। কল্পনাতীত বিনিময় দান করবেন। ধারণাতীত পুরস্কার দান করবেন।
.
৩. লা- হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ (لا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّه)।
আল্লাহ ছাড়া কোনও উপায় নেই, কোনও শক্তি নেই।
যে কোনও ইবাদত বিশেষ করে সলাত আদায়ের সর্বোচ্চ স্তর হল (الإِحسان والمُراقبة) ইহসান ও মুরাকাবার পর্যায়ে উপনীত হওয়া। এমনভাবে ইবাদত করা, যেন আমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছি। এটা সর্বোচ্চ পর্যায়। এটা সম্ভব না হলে, অন্তত এটুকু মনে করা, আমি তাকে দেখতে না পেলেও তিনি তো আমাকে দেখতে পাচ্ছেন।
আমি সলাত-সিয়ামকে ‘ইহসান-মুরাকাবার’ স্তরে উপনীত করতে চাইলে, আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহর সাহায্য আর অনুগ্রহ ছাড়া এ-পর্যায়ে পৌঁছা অসম্ভব। যে কোনও ইবাদত শুরুর আগে, মনে মনে জপে নিব- লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। সম্পূর্ণ হুজুরে কলব (حُضور القلب) বা জাগ্রত সচেতন মনোযোগে সলাত-সিয়াম-ইবাদতে মশগুল হতে চাইলে আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই।
তাকবীরে তাহরীমা থেকে সালাম ফেরানো পর্যন্ত, রব্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত বিশ^স্ত হতে চাইলে রব্বের অনুগ্রহ আবশ্যক। দুনিয়াবি অর্জনে যেমন আল্লাহর তাওফীক ও অনুগ্রহ দরকার, রব্বের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদতে পূর্ণমগ্নতা অর্জনও রব্বের করুণা ছাড়া সম্ভব নয়। প্রতিটি ইবাদতের নিয়ত করার সাথে সাথে ‘ইহসান-মুরাকাবার’ স্তর লাভের নিয়্যত ও দোয়াও করা দরকার। আল্লাহর সাহায্য করুণা ছাড়া যে আমার একপা চলাও যে সম্ভব নয়।
আজ থেকে আমার প্রতিটি ইবাদত-সলাত-সিয়াম হোক ইহসান-মুরাকাবার সাথে। রাব্বে কারীমের অনুগ্রহের সাথে।