Linkeei - লিংকি
ফেসবুকের বিকল্প বাংলাদেশি অ্যাপ
website: www.linkeei.com
Linkeei App install: https://play.google.com/store/....apps/details?id=com.
Linkeei Messenger App install: https://play.google.com/store/....apps/details?id=com.
Page: https://www.facebook.com/linkeeiofficial
Group: https://www.facebook.com/groups/linkeeiofficial
কি কি ফিচার আছেঃ
@ নতুন বন্ধু
@ পোস্ট করা
@ চ্যাট, ভয়েস চ্যাট
@ অডিও ভিডিও কল
@ পেজ, গ্রুপ, ইভেন্ট
@ মুভি, গেম, চাকরি
@ শপ, ব্লগ, ফোরাম
#linkeei
প্রশ্ন: "মানুষ অভ্যাসের দাস"-এ কথাটা কি শিরকের অন্তর্ভুক্ত? এ কথাটির ব্যাখ্যা কি?
উত্তর:
“মানুষ অভ্যাসের দাস।” অর্থ: মানুষ অভ্যাসের অধীন বা অনুগত। দাস শব্দের আভিধানিক অর্থ: চাকর, ভৃত্য; ক্রীতদাস, অধীন বা অনুগত। [english-bangl] এখানে দাস শব্দটি অধীন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এ অর্থে শরঈ দৃষ্টিতে এতে কোনও সমস্যা নেই।
এ কথাটির ব্যাখ্যা হল:
Charles Duhigg তার ‘The Power of Habit’ গ্রন্থে লিখেছেন, “অভ্যাস হল এমন একটি পছন্দ যা আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু সময়ের জন্য করি এবং তারপর সে পছন্দ সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করে দিই, কিন্তু সে পছন্দটা চালিয়ে যাই অবিরত।’ আমরা অভ্যাসকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকি যেমন ভালো অভ্যাস ও খারাপ অভ্যাস। উদাহরণস্বরূপ- সততা, সকাল সকাল ঘুমোতে যাওয়া এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং বড়দের সম্মান করা ভালো অভ্যাস। অন্যদিকে ধূমপান, মদ্যপান, মাদক গ্রহণ, মিথ্যা কথা বলা, অধিক খাদ্য গ্রহণ, উৎকোচ গ্রহণ, প্রয়োজনের অধিক দ্রব ক্রয় এবং হিংসা খারাপ অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।” [jugantor]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উচিং লয়েন এ প্রসঙ্গে লিখেছেন:
“আমরা কোনও জিনিস কেন করি, কিভাবে করি এবং অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে জীবনের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব ‘দি পাওয়ার অব হ্যাবিট’ বইয়ে সেসব আলোচনা করেছেন চার্লস ডুহিগ। লেখকের মতে, কোনও অভ্যাস আমাদের মধ্যে গড়ে উঠলে তা স্থায়ীভাবে মন থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব। পুরনো অভ্যাসে পরিবর্তন আনার জন্য নতুন অভ্যাস তৈরি করাটা জরুরি। অভ্যাস মানুষের জীবনকে পরিচালিত করে।
কিন্তু অভ্যাসের দাস হয়ে থাকলে জীবনকে নিজের মতো করে সাজানো সম্ভব নয়। এ জন্য নিজের মঙ্গল হয় এমন অভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নেওয়া ভালো। ধারণা, রুটিন ও পুরস্কার—এই তিন ধাপে উপায়গুলো বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ধারণা ও পুরস্কার ঠিক থাকবে; কিন্তু রুটিনে পরিবর্তন এনে নতুন অভ্যাস ঠিক করে নিতে হবে। অনেকটা নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে যেমন দৈহিক উন্নয়ন করা যায়, ঠিক তেমনি নিয়মিত মস্তিষ্কের অনুশীলন করলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। সু অভ্যাসগুলো মেনে চললে জীবনে সাফল্য অর্জন সহজ হয়।” [kalerkantho]
মোটকথা, আমাদের কর্তব্য, সবসময় সৎচিন্তা করা, সৎকাজ করা এবং সৎ কর্মে অভ্যস্ত হওয়া এবং আমাদের সন্তান-সন্ততিকে এসব ভালো কাজে অভ্যস্ত করা। তাহলে আমাদের জীবন, সংসার ও সমাজ সততা ও কল্যাণ দ্বারা পূর্ণতা লাভ করবে-যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে এনে দিবে পরম সফলতা ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
#abdullahilhadi
প্রশ্ন: "মানুষ অভ্যাসের দাস"-এ কথাটা কি শিরকের অন্তর্ভুক্ত? এ কথাটির ব্যাখ্যা কি?
উত্তর:
“মানুষ অভ্যাসের দাস।” অর্থ: মানুষ অভ্যাসের অধীন বা অনুগত। দাস শব্দের আভিধানিক অর্থ: চাকর, ভৃত্য; ক্রীতদাস, অধীন বা অনুগত। [english-bangl] এখানে দাস শব্দটি অধীন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এ অর্থে শরঈ দৃষ্টিতে এতে কোনও সমস্যা নেই।
এ কথাটির ব্যাখ্যা হল:
Charles Duhigg তার ‘The Power of Habit’ গ্রন্থে লিখেছেন, “অভ্যাস হল এমন একটি পছন্দ যা আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছু সময়ের জন্য করি এবং তারপর সে পছন্দ সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করে দিই, কিন্তু সে পছন্দটা চালিয়ে যাই অবিরত।’ আমরা অভ্যাসকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকি যেমন ভালো অভ্যাস ও খারাপ অভ্যাস। উদাহরণস্বরূপ- সততা, সকাল সকাল ঘুমোতে যাওয়া এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং বড়দের সম্মান করা ভালো অভ্যাস। অন্যদিকে ধূমপান, মদ্যপান, মাদক গ্রহণ, মিথ্যা কথা বলা, অধিক খাদ্য গ্রহণ, উৎকোচ গ্রহণ, প্রয়োজনের অধিক দ্রব ক্রয় এবং হিংসা খারাপ অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।” [jugantor]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উচিং লয়েন এ প্রসঙ্গে লিখেছেন:
“আমরা কোনও জিনিস কেন করি, কিভাবে করি এবং অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে জীবনের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব ‘দি পাওয়ার অব হ্যাবিট’ বইয়ে সেসব আলোচনা করেছেন চার্লস ডুহিগ। লেখকের মতে, কোনও অভ্যাস আমাদের মধ্যে গড়ে উঠলে তা স্থায়ীভাবে মন থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব। পুরনো অভ্যাসে পরিবর্তন আনার জন্য নতুন অভ্যাস তৈরি করাটা জরুরি। অভ্যাস মানুষের জীবনকে পরিচালিত করে।
কিন্তু অভ্যাসের দাস হয়ে থাকলে জীবনকে নিজের মতো করে সাজানো সম্ভব নয়। এ জন্য নিজের মঙ্গল হয় এমন অভ্যাসকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নেওয়া ভালো। ধারণা, রুটিন ও পুরস্কার—এই তিন ধাপে উপায়গুলো বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ধারণা ও পুরস্কার ঠিক থাকবে; কিন্তু রুটিনে পরিবর্তন এনে নতুন অভ্যাস ঠিক করে নিতে হবে। অনেকটা নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে যেমন দৈহিক উন্নয়ন করা যায়, ঠিক তেমনি নিয়মিত মস্তিষ্কের অনুশীলন করলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়। সু অভ্যাসগুলো মেনে চললে জীবনে সাফল্য অর্জন সহজ হয়।” [kalerkantho]
মোটকথা, আমাদের কর্তব্য, সবসময় সৎচিন্তা করা, সৎকাজ করা এবং সৎ কর্মে অভ্যস্ত হওয়া এবং আমাদের সন্তান-সন্ততিকে এসব ভালো কাজে অভ্যস্ত করা। তাহলে আমাদের জীবন, সংসার ও সমাজ সততা ও কল্যাণ দ্বারা পূর্ণতা লাভ করবে-যা আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে এনে দিবে পরম সফলতা ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
#abdullahilhadi
M Hassan Zobayer
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?