তোমার সাথে আমার একদিন আবার দেখা হবে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হঠাৎ দেখা কবিতার মতো কোনো এক ট্রেনের কামরায় কিংবা মানবজীবনের প্রয়োজন চলতে চলতে শহরের কোনো এক ব্যস্ত রাস্তায়।
আমাকে দেখার পর সেদিন তুমি থতমত খেয়ে যাবে, তুমি আশ্চর্য হয়ে যাবে আমাকে দেখে, তোমার চোখে মুখে ভেসে উঠবে অলৌকিক
কোনোকিছু দেখার স্পষ্টত ছাপ।
ভাববে এখনো অস্তিত্ব আছে আমার?
আমার না কথা ছিলো শূন্যে মিলিয়ে যাওয়ার!
তুমি জল ছলছল চোখে অপলক তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে।
কেমন আছি, কোথায় থাকি, কি করি এখন, চাকরি টা আছে কি, এমন হাজার হাজার প্রশ্ন বুকের বামপাশে ছোটাছুটি শুরু করবে, ঠোঁট ফেটে বাইরে বের হয়ে আসার জন্য। কিন্তু শত ছোটাছুটি করেও ওরা বের হতে পারবে না। ছোটাছুটি করতে করতে একসময় একে অন্যের আঘাতে আহত হয়ে লুঠিয়ে পড়বে তোমার বুকের ভেতরেই। তারপর বুকের বামপাশে পড়বে শব্দের লাশের সারি।
বিচ্ছেদের তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করে অলৌকিক ভাবে বেঁচে থাকা আমি কে দেখার পর আপনি বাকরূদ্ধ হয়ে যাবেন। তোমার মগজের সব শব্দ সেদিন হারিয়ে যাবে আমার ভাবনায়, তুমি হয়ে যাবেন শব্দের ভিক্ষুক।
যেমনটা আমি হয়েছিলাম বিচ্ছেদের পর।
জল ছলছল চোখে তুমি আমার দিকে তাকিয়ে
কিছু শব্দ ভিক্ষা চাইবে, আমি দেবো না।
তোমার জল ছলছল চোখ দেখে আমার মায়া হবে,করুণা করে হলেও কিছু শব্দ ভিক্ষা দিতে মন চাইবে, কিন্তু তীব্র অভিমানে আমি আপনাকে সেদিন কোনো শব্দ ভিক্ষা দেবো না। দেবো শুধু শব্দের ভীষণ দারিদ্রতা।
তারপর আমি সেদিন তোমার জল ছলছল চোখ দেখে পাগলের মতো অট্ট হাসি হাসবো।
হাসতে হাসতে মানুষের মাঝে মিলিয়ে যাবো
যেমন করে মিলিয়ে গিয়েছিলেন তুমি।
Epshita Amin Lamyea
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟