রোনাল্ডোর গোলে ইউনাইটেডের জয়
স্পোর্টস রিপোর্ট : ধুকতে থাকা নরউইচ সিটি বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পেনাল্টিতে ৭৫ মিনিটে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। এই ম্যাচের পর ইউনাইটেড বস রাল্ফ রাংনিক খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বরখাস্তকৃত কোচ ওলে গানার সুলশারের স্থলাভিষিক্ত রাংনিকের অধীনে এ নিয়ে টানা দুই লিগ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে রেড ডেভিলসরা। যদিও ম্যাচের লম্বা সময় ধরে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। এর মাঝে গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া বেশ কয়েকবার দুর্দান্ত কিছু সেভ করে সফরকারীদের রক্ষা করেছেন। আগস্টে জুভেন্টাস থেকে যোগ দেবার পর এনিয়ে ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে ১৩ গোল করলেন রোনাল্ডো। ম্যাচ শেষে রাংনিক বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অনেক গভীর একটি ম্যাচ ছিল, ম্যাচে শারিরীক দক্ষতা বেশী প্রয়োগ করতে দেখা গেছে। এই ধরেনর ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত যোগ্যতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এখনো বেশ কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে সবাই অপেক্ষাকৃত ভাল খেলেছে। কিন্তু দিনের শেষে কোন গোল হজম করতে হয়নি, এটা আমাদের সৌভাগ্য। আরো একবার ডি গিয়া ম্যাচে কোন গোল হজম করেননি। আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে শারিরীক ভাষারও সমস্যা রয়েছে। এই একটি জায়গায় আমি বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি।’ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে বর্তমানে পঞ্চম স্থানে আছে রাংনিকের দল। চতুর্থ স্থানে থাকা ওয়েস্ট হ্যামের সাথে তারা সমান ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সুলশারের অধীনে শেষ ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর রাংনিকের অধীনে টানা দুই ম্যাচে কোন গোল হজম না করাটাও অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও তলানির দল নরউইচের সাথে আরো বেশী গোলে জেতা উচিত ছিল বলে অনেকেই মত দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসকে রাংনিকের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত করেছিল ইউনাইটেড। ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্রয়ের ম্যাচটি থেকে কাল ১১টি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন রাংনিক। করোনা ভাইরাসের আশঙ্কায় নরউইচের বেশ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিলেন। ম্যাচের শুরুতেই অল্পের জন্য এগিয়ে যাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের। এ্যালেক্স টেলেসের ফ্রি-কিক অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৩৭ মিনিটে দারুনভাবে দু'জনকে কাটিয়ে শট নেন রোনাল্ডো। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই শট আটকে দেন নরউইচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল। বিরতির ঠিক আগে আরেকবার দলকে বাঁচান তিনি। বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫৬ মিনিটে ভাল একটি সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। ডি-বক্সের মুখ থেকে টিমু পুক্কির জোরালো শট এক হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান ডেভিড ডি গিয়া। শেষ পর্যন্ত ৭৫ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন রোনাল্ডো। বক্সের মধ্যে নরউইচ ডিফেন্ডার তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে কোন ভুল করেননি পর্তুগীজ সুপারস্টার। দুই মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত নরউইচ। তবে ডি গিয়ার অসাধারণ সেভে এগিয়ে থাকে ইউনাইটেড। ওজান কাবাকের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন ডি গিয়া।
মেইঞ্জকে হারিয়ে বুন্দেসলিগায় আরো এগিয়ে গেল বায়ার্ন
স্পোর্টস রিপোর্ট : জার্মানি টিনএজ মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালার গোলে মেইঞ্জকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বুন্দেসলিগা টেবিলে ৬ পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেছে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ। মিউনিখের আলিয়াঁজ এরিনাওে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে ২২ মিনিটে কারিম ওনিসিওর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারী মেইঞ্জ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কিংসলে কোম্যান ও ১৮ বছর বয়সী মুসিয়ালার গোলে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়। দিনের আরেক ম্যাচে বোখামের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। আর এতেই টানা দশমবারের মত লিগ শিরোপা জয়ের পথে আরো এগিয়ে গেছে বেভারিয়ান্সরা। এর মাধ্যমে বায়ার্ন বস জুলিয়ান নাগলসম্যান ক্যারিয়ারের শততম বুন্দেসলিগায় জয় অর্জন করেছেন। ম্যাচ শেষে নাগলসম্যান নিশ্চিত করেছেন পূর্বে অস্বীকৃতি জানানো মুসিয়ালা শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এ সম্পর্কে নাগলসম্যান বলেন, ‘মুসিয়ালা ভ্যাকসিন নেয়াতে আমি খুশী। আশা করছি মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের তেমন কোন বড় সমস্যা হবে না। গত মাসে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংষ্পর্শে আসায় বায়ার্নের যে ৫ খেলোয়াড় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের মধ্যে মুসিয়ালা অন্যতম। গত শনিবার ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ের পর বুধবার বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ গ্রুপ ম্যাচে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ষষ্ঠ ম্যাচে টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। পরপর দুটি বড় ম্যাচের পর কাল বায়ার্নের শুরুটা বেশ ধীরগতির। এই সুযোগ মেইঞ্জ বায়ার্নের উপর চেপে বসে। ২২ মিনিটে ওনিসিও ম্যানুয়েল নয়্যারের মাথার উপর দিয়ে বল জালে প্রবেশ করিয়ে সফরকারীদের এগিয়ে দেন। ক্রোয়েনটিন টোলিসোর লম্বা পাসে কোম্যান ৫৩ মিনিটে সমতা ফেরান। ম্যাচ শেষের ১৬ মিনিট আগে দারুন ফিনিশিংয়ে মেইঞ্জ গোলরক্ষক রবিন জেনটারকে পরাস্ত করে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করেন মুসিয়ালা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়া ডর্টমুন্ড এখনো সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। কালকের ম্যাচেও ছিল তারই ছাপ। টেবিলের নবম স্থানে থাকা বোখামের বিপক্ষে তাই ১-১ গোলের ড্র নিয়েই ডর্টমুন্ডকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে উইঙ্গার জুলিয়ান ব্রান্ডেট বলেছেন, ‘এটা শুধুমাত্র দূর্ভাগ্য নয়, আজকের ম্যাচে আমরা জয়ের অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’ দলের দুই তারকা স্ট্রাইকার জুড বেলিংহ্যাম ও আর্লিং ব্রট হালান্ড উভয় প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ কাজে হাতছাড়া করেছেন। আগের চারটি লিগ ম্যাচের তিনটিতেই জয়ী হওয়া বোখার যোগ্য দল হিসেবেই ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায়। উইঙ্গার ক্রিস্টোফার এন্টি-আদেইর আদায় করা পেনাল্টি থেকে সেবাস্তিয়ান পোল্টার কোন ভুল করেননি। বেলিংহ্যামের অফসাইডে মারিয়ান উল্ফের একটি ভিএআর বাতিল করে দিলে সমতায় ফেরা হয়নি ডর্টমুন্ডের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে ব্রান্ডেটের গোলে স্বস্তির ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরে ডর্টমুন্ড। বরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাবাখকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের মাধ্যমে আরবি লিপজিগের নতুন কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ডোমেনিকো টেডেসকো। এর মাধ্যমে লিগে টানা তিন ম্যাচে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো লিপজিগ। ২১ মিনিটে জোসতো গাভারডিওলের ফি-ক্রিকে এগিয়ে যায় লিপজিগ। ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আন্দ্রে সিলভা। এরপর সিলভার একটি শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ৮৮ মিনিটে রামি বেনসেবাইনি লিপজিগের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি। স্টপেজ টাইমে ক্রিস্টোফার এনকুনকু ও বেঞ্জামিন হেনরিখসের দুই গোলে লিপজিগের জয় নিশ্চিত হয়।
মিলানকে এক পয়েন্ট উপহার দিলেন ইব্রা, ভেনেজিয়ার সাথে ড্র করলো জুভেন্টাস
স্পোর্টস রিপোর্ট : জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের শেষ মুহূর্তের গোলে উদিনেসের সাথে সিরি-এ লিগে শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যধানে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে এসি মিলান। ৯২ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের দুর্দান্ত গোলে মিলান এক পয়েন্ট উপহার পায়। এই ড্রয়ের পরেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে মিলান। অন্য ম্যাচে ভেনেজিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে জুভেন্টাস। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস এখন শীর্ষ চারের অবস্থান থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ইনজুরি আক্রান্ত মিলানের জন্য অবশ্য এই এক পয়েন্ট অর্জনই বড় পাওনা ছিল। মূল একাদশে খেলা সেন্টার-ব্যাক সাইমন কায়ের দীর্ঘদিন ধরেই মাঠের বাইরে রয়েছেন। ফরোয়ার্ড অলিভার গিরুদ, রাফায়েল লিও ও আন্তে রেবিচও রয়েছেন সাইডলাইনে। সপ্তাহের মাঝামাঝিতে লিভারপুলের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে ইউরোপ থেকে বিদায় নেবার পর কাল আরো একটি বাজে পারফরমেন্সে কোনমতে রক্ষা পেয়েছে স্টিফানো পিওলির দল। ম্যাচ শেষে মিলান বস বলেছেন, ‘ছেলেরা নিজেরাই জানে আজ তারা কেমন খেলেছে। এটা মোটেই তাদের সেরা পারফরমেন্স না। আমাদের অবশ্যই এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সেরাটা উপহার দেয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।’ অন্তর্র্বতীকালীন কোচ গাব্রিয়েল সিওফির অধীনে উদিনেস কাল প্রথম মাঠে নেমেছিল। ঘরের মাঠে ১৬ মিনিটেই বেটোর গোলে স্বাগতিক উদিনেস এগিয়ে যায়। মাইক মেইগনান বেটোর প্রথম প্রচেষ্টাটি রুখে দিলে ফিরতি শটে আর কোন ভুল করেননি ২৩ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের একেবারে শেষভাগে বেটোর শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে না গেলে উদিনেস হয়ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো। উল্টো ইব্রাহিমোভিচের গোলে ইনজুরি টাইমে জয় বঞ্চিত হয়েছে স্বাগতিকরা। ভেনেজিয়ার মাঠে বিরতির পর ৯ মিনিটের মধ্যে কার্লিং লো ড্রাইভে গোল করে মাত্তিয়া আরামু ভেনেজিয়ার হয়ে দারুন এক পয়েন্ট উপহার দেন। মৌসুমে এটি ১৬ বছর বয়সী ইতালিয়ান ফরোয়ার্ডের পঞ্চম গোল। এর আগে আলভারো মোরাতার গোলে ৩২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস। এই ড্রয়ে ১৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট অর্জন করা ভেনেজিয়া রেলিগেশন জোন থেকে ৬ পয়েন্ট দুরে থাকলো। দিনের শুরুতে আরেক ম্যাচে নতুন দল সালেনিতানাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ফিওরেন্টিনা। এই জয়ে ফিওরেন্টিনার থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই রয়েছে জুভেন্টাস । ম্যাচের ১২ মিনিটেই আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালা ডান হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ত্যাগ করলে জুভেন্টাসের দূর্ভাগ্য শুরু হয়। বুধবার মালমোর বিপক্ষে জুভেন্টাসের ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে দিবালাকে প্রথমার্ধের পর বদলী বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। ম্যাচ শেষে জুভেন্টাস বস আলেগ্রি বলেছেন, ‘আমি খুবই চিন্তিত। তাকে নিয়ে এই মুহূর্তে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছিনা। বুধবার সামান্য পেশীর সমস্যার কারনে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম সে ভালই আছে। কিন্তু আজ আবারো নতুন করে ইনজুরিতে পড়তে হলো। সালেনিতানার বিপক্ষে গতকাল দুই গোল করে এবারের মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ১৫ গোল নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছেন ফিওরেন্টিনার ২১ বছর বয়সী সার্বিয়ান এ্যাটাকার ডুসান ভøাহোভিচ। ঘরের মাঠে স্তাতির আরটেমিও ফ্রাঞ্চিতে ৩১ মিনিটে গিয়াকোমো বোনাভেঞ্চুরার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ভøাহোভিচ। ম্যাচ শেষের ৬ মিনিট আগে রিকার্ডো সোত্তিলের লো ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন এই সার্বিয়ান তরুন। শেষ মিনিটে ইউসেফ মালেহ আরো এক গোল করলে বড় জয় পায় ফিওরেন্টিনা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও সুযোগ নেই: র্যাব মহাপরিচালক
ঢাকা অফিস : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীন মিডিয়া আছে, সুশীল সমাজ আছে। সবদিক থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি বিষয় যাচাই-বাছাই করা হয়। এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও সুযোগ নেই। সবকিছু আইন এবং বিধির আলোকে সংঘটিত হয়।’ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটায় এক মতবিনিময় সভায় র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক এ কথা বলেন। উপকূলীয় জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা বিধান বিষয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সংবিধান, আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ করে থাকি। র্যাব কোনও কাজ করলে আইন অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে থাকেন। পুলিশ তদন্ত করে। আমরা কিন্তু তদন্ত করি না। এরপর যদি মামলার প্রয়োজন হয় তাহলে মামলা হয়। এটারও তদন্ত হয়। জুডিশিয়াল প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই হয়। এরপর ইন্ডিপেনডেন্ট জুডিশিয়ারি যে সিদ্বান্ত দেয়, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে যেভাবে চেয়েছে তাদেরকে সেভাবে সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে । আমরা চাই ডাকাতি ছেড়ে জলদস্যুরা সমাজে সুস্থ ও সুন্দর জীবন নির্বাহ করুক।’ র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করেছি, সাগরও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দস্যুতা করে কেউ পার পাবে না। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার ঘোষণা বাস্তবায়নে র্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ’ মতবিনিময় সভা শেষে সম্প্রতি জেলেদের হামলায় নিহত এক জেলের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং জলদস্যুদের হাতে বন্দি থাকার পর ফিরে আসা নয় জেলেকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেন র্যাব মহাপরিচালক। এ সময় র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
ঢাকা অফিস : ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা ও তারেক রহমান শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমাদের দেশে আমি শুধু মুক্তিযোদ্ধা শুনেছি, কিন্তু শিশু মুক্তিযোদ্ধা আছে এটা প্রথমবার শুনলাম। এটা কাল্পনিক। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়ে মির্জা ফখরুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন। এমন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাই।’ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু যিনি পাক বাহিনীর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে স্বেচ্ছায় আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন, তিনি কী করে মুক্তিযোদ্ধা হন। এমন কথা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে আশা করি না।’ তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি স্বেচ্ছায় পাক হানাদার বাহিনীর কাছে আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছরে মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। এই সংবিধানে এমন কোনও ধারা নেই—যা যুক্ত করা হয়নি। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র এক বছরের মাথায় দেশে নির্বাচন দিয়েছেন। এই নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন দক্ষ একজন নেতা। তিনি শিক্ষানীতি, শিল্পনীতিসহ সব বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করে গেছেন। এখন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। কিন্তু তার শাসনে নতুনত্ব কিছু নেই, সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ও পরিকল্পনা। তার দেখানো পথেই শেখ হাসিনা দেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করেছেন।’ আলোচনা সভায় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবেশীদের সিদ্ধান্তহীনতায় ঝুলে আছে সম্ভাবনার জলবিদ্যুৎ
ঢাকা অফিস : সম্ভাবনা থাকলেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। ভারত-মিয়ানমার-নেপাল-ভুটানে প্রায় দেড় লাখ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেশগুলো তা ভাগাভাগি করে ব্যবহারে উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়। নেপালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়। চুক্তি চূড়ান্ত হলেও ভারতের সম্মতি না পাওয়ায় সেটা ঝুলে আছে। অন্যদিকে ভুটানের সঙ্গে আলোচনা অনেকটা এগোলেও সমঝোতা স্মারক সই হয়নি। বলা হচ্ছে কেন্দ্র নির্মাণ হলেও বিদ্যুৎ আনতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারে দেশটির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের অনুমোদন লাগবে। এর আগে ভারত এ ধরনের প্রকল্প করার ক্ষেত্রে তাদের দেশের কোম্পানি বা সরকারের অংশিদারিত্ব থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে আইন করে। আইনটি সংশোধন হলেও ভূখণ্ড ব্যবহারে সম্মতির জন্য তাদের ওপর নির্ভর করতেই হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সার্ক টেকনিক্যাল কমিটির সাবেক সদস্য বি. ডি রহমতুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ কাজ সম্পন্ন করতে সবার রাজনৈতিক কমিটমেন্ট থাকতে হবে। আমাদের অনেক নদী মরে যাচ্ছে। প্রবাহ কমছে ভারতেও। সরকারের উচিত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা। ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালে জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা অনেক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না এলে এ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না।’ ভারত অরুনাচল প্রদেশে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে বাংলাদেশর ওপর দিয়ে সেই বিদ্যুৎ দেশের নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সহযোগিতা যৌথ কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। সেই অনুযায়ী প্রকল্প গ্রহণের জন্য কয়েকটি রুটও ঠিক হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেটা ঝুলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপাল ও ভুটানে ৬০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে মিয়ানমারে ৫০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হতে পারে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেও প্রায় ৫০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। তবে সম্ভাব্যতা যাচাই করার আগে এই হিসাবকে চূড়ান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে না। সরকার নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত এক প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদনও করেন। কিন্তু পরে তা আর এগোয়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, ‘জলবিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভারত ও নেপালের সঙ্গে আমাদের যেসব কমিটি হয়েছে তাতে আমরা অনেকখানি এগিয়েছি। আঞ্চলিক বিদ্যুতের বিষয়ে আমাদের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার। তা হলে কাজের গতি বাড়বে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান: সা¤প্রদায়িক শক্তিগুলো নজরদারিতে
ঢাকা অফিস : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ ও ভুটানের সাবেক (চতুর্থ) রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিদেশি অতিথিরা ঢাকায় আসতে শুরু করবেন। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও অতিথিরা। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনুষ্ঠানেগুলো নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিরাপত্তা বলয় তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ নিয়ে একাধিকবার নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে একটি ছক তৈরি করেছে। এবার হেফাজতের পক্ষ থেকে কোনও অতিথিকে নিয়ে ‘আপত্তি’ জানানো হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, হেফাজত এবার সক্রিয় হবে না। তারপরও উগ্র ও সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএমপি সদর দফতরে বিশেষ সভা হয়। সভায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, র্যাব ও পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্রে জানা গেছে, এবারের অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনও নিরাপত্তা হুমকি নেই। অতিথিদের উড়োজাহাজ থেকে নামার পর থেকে হোটেলেও বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। গত বছর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে হেফাজতের সহিংসতা ও নাশকতার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের নিরাপত্তার ছক তৈরি করা হয়েছে। তবে হেফাজত বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়ায় এবং শীর্ষ কয়েকজন নেতা কারাগারে থাকায় বর্তমানে সংগঠনটি প্রায় নিস্ক্রিয়। সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে কোনও ষড়যন্ত্র না করতে পারে, সেজন্য সভা থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সমন্বিতভাবে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনীর কথা বলা হয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানস্থল ও উদ্যাপন এলাকাসহ এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের অনুমোদিত গাড়ি চলবে। এ ছাড়া অনুষ্ঠান চলাকালে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভাসমান দোকান ও সরকারি নির্মাণকাজও বন্ধ থাকবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান একেএম হাফিজ আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিভিন্ন দেশের অতিথিদের নিরাপত্তায় আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে সদস্যরা এখনই কাজ করছেন।’ উদযাপনকে ঘিরে কোনও উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির এখনও কোনও ষড়যন্ত্র বা অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা হেফাজতসহ বিভিন্ন গ্রুপকে নজরদারিতে রেখেছি। তবে আমাদের নজরে এখনও তেমন কিছু পড়েনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ শুরু হয়েছে। অতিথিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির সফরের বিরোধিতায় হেফাজতসহ ইসলামিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সহিংস বিক্ষোভ করে। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়েছিল সেই সহিংসতা। মামলা হয়েছিল ১৫৪টি। প্রায় ৯ মাস কেটে গেলেও শেষ হয়নি কোনও মামলার তদন্ত। ওই ঘটনায় সারাদেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিল পাঁচশ’রও বেশি। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রায় ১৩শ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের অর্ধেকেরও বেশি জামিনে বের হয়ে এসেছে।