খ্রিস্টান ধর্মের আইনে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কি বলা হয়েছে ?
উকিল : খ্রিস্টান ধর্মের আইন অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। ব্যাখ্যা:3
শাহানা : বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা কেন প্রয়োজন ?
উকিল : বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব পারিবারিক জীবনে অপরিসীম। রেজিস্ট্রেশন বিয়ের বর-কনে উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নারীদের জন্য। বিবাহ সম্পর্কিত কোন জটিলতা বা প্রমাণের প্রশ্ন উঠলে এই রেজিস্ট্রেশনই প্রমাণ পত্র হিসেবে কাজ করে।
ইজমেন্ট বা সুখাধিকার কি?
ইজমেন্ট বা সুখাধিকার বলতে এমন এক সুবিধাভোগী স্বত্বের অধিকারকে বুঝায় যা দ্বারা কোনো জমির মালিক বা দখলকার তা জমির সুবিধাজনক ভোগের জন্য অপর কোনো ব্যক্তির জমির উপর দিয়ে কিছু করতে বা করা অব্যাহত রাখতে, কোনো কিছু নিবৃত্ত করতে বা নিবৃত্ত অব্যাহত রাখতে পারে ।(১৯৮২ সালের ইজমেন্ট রাইট এক্ট এর ৪ ধারা )
এ অধিকার অর্জন সম্পর্কে ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি শান্তিপূর্ণভাবে এবং প্রকাশ্যভাবে কোনো ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি বাঁধাহীন ভাবে ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ২০ বত্সর কাল ধরে ভোগ দখল করে থাকলে তাতে তার পথ চলার অধিকার জনিত স্বত্ব অর্জিত হয়
অধিকার:
• জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তাঘাট ব্যবহারের অধিকার ৷
• টিউবওয়েল/কুপ/তারাপাম্প থেকে খাবার পানি ব্যবহারের অধিকার ৷
• পুকুর/জলাধারের পানি ব্যবহার কিংবা সেখানে গোসলের অধিকার ৷
• আলো বাতাস চলাচলের জন্য গমনাগমনের পথ পাবার অধিকার ৷
• ২০ বত্সর যাবত্ কোনো জমি ভোগ দখলের পর তা স্বাধীন ভাবে ব্যবহারের অধিকার ৷
• সরকারী জমি হলে ৬০ বছরের বেশী সময় ধরে ব্যবহারের পর স্বাধীন ভাবে ভোগ দখলের অধিকার ৷
(১৮৮২ সালের ইজমেন্ট রাইট এ্যাক্ট এর ৪ ধারা এবং ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারা )
লঙ্ঘন:
• সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হবে মর্মে নোটিশ না পাওয়া।
• অধিগ্রহণের বিরূদ্ধে আপত্তি দাখিলের সুযোগ না দেওয়া।
• আপত্তি দাখিলের জন্য আইনে বর্ণিত সময় না পাওয়া।
• সরকার কর্তৃক সম্পত্তি অধিগ্রহণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে নোটিশ না পাওয়া।
• ক্ষতিপূরণের দাবী করার জন্য আইনে নির্ধারিত সময় ও সুযোগ না পাওয়া।
• সম্পত্তিটি বর্গাদার বা বর্গাচাষীর হেফাজতে বা অধীনে থাকাকালীন অধিগ্রহণ হয়ে থাকলে বর্গাদারকে ক্ষতিপুরণ দাবী করার সুযোগ না দেওয়া।
• প্রকৃত বর্গাদারকে সম্পত্তি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ না দেওয়া।
• যে উদ্দেশ্যে সম্পত্তিটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যে সম্পত্তিটি ব্যবহার না করা।
কোর্ট ম্যারেজ (court marriage) কি ?
কোর্ট ম্যারেজ হল যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন (ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিক এর সামনে) করে তাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত।
২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাতে হয়। এর পর আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী করিয়া নিতে হবে।
হিন্দু আইনে কী বলা আছে ?
হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। কেননা, হিন্দু বিয়েতে এখন পর্যন্ত বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। হিন্দু বিয়েতেও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়সী ছেলেমেয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে থাকে মাত্র, যা পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিয়ের হলফনামা একটি দালিলিক প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। প্রচলিত হিন্দু প্রথা না মেনে হলফনামা করা হলে এতে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল বলা যাবে না।
তাই বিবাহের ঘোষণা প্রদান করার ৩০ দিনের মধ্যে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। অন্যতায় প্রতারিত হলে আইনি কোন প্রতিকার পাওয়া যাবেনা।
ফেইসবুকের বিকল্প বাংলাদেশী অ্যাপ Linkeei লিংকি 2022 । Linkeei লিংকি