https://linkeei.com/setting/my_points
আজ আকাশের অনেক মেঘ। সকাল হতে সূর্যের আলো পৃথিবীকে স্পর্শ করাতো দূরের কথা। বৃষ্টির জন্য ঘর হতে বের হতে পারিনা। তেমনি জুম্ম জাতি আজ অশনিসংকেত। ঘোর কালো মেঘের ছেয়ে গেছে জুম্ম জাতির ভাগ্য জুড়ে। দুই যুগ আগে রাজনৈতিক সমাধানে লক্ষ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তা বাস্তবায়নতো দূরের কথা দিন দিন ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি অপসংস্কৃতির কবলে জুম্ম জাতি।
7 নভেম্বর, 2016 এ ওয়ার্কসপে শ্রদ্ধেয় দেবপ্রিয় চাঙমা বলেছেন, “সেভ দ্যা চিলড্রেন -এর রিড প্রকল্প অধিনে যে শিক্ষামূলক তথ্য সংগ্রহকারীদের তথ্যমতে আমদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা(শিশু) মিনিটে ৬-৮টি শব্দ পড়তে পারে। যেখানে ত্রিপুরা, মারমা প্রজন্মরা ১৬-২০টি শব্দ পড়ে। আর বাঙ্গালী প্রজন্মরা ৫০-৫৬টি শব্দ অনায়াচে পড়ে এবংকি নিজ বর্ণমালা চাঙমা প্রজন্মরা এখনো অপরিচিত।সেখানে ত্রিপুরা ও মারমা প্রজন্মরা কিছু কিছু পড়ে।”
তাহলে, আমরা কোথায় যাচ্ছি???
অপরদিরে বলা হচ্ছে- আমাদের প্রতীকী ব্যবস্থার একটি বড় অংশকে নির্দেশ করে ভাষা। সুনির্দিষ্ট ও অনিয়ন্ত্রিত অর্থযুক্ত মৌখিক ও লিখিত মাত্রা বা চিহ্নের সামাজিকভাবে গঠনকৃত ব্যবস্থাই হচ্ছে ভাষা।
ভাষা সমাজস্থ সদস্যদেরকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ, জ্ঞান এবং অতীত প্রজন্মের অভিজ্ঞতা সংরক্ষণে অনুমোদন দেয়। ভাষাকে সংস্কৃতির সংরক্ষণাধার বলা হয়। ভাষা আমরা কেবল অন্যের সাথেই ব্যবহার করিনা, যখন একা থাকি তখনও ব্যবহার করি।নির্দিষ্ট ভাষাগুলো
ভিন্ন হলেও, ভাষা হচ্ছে প্রতিটি সংস্কৃতির ভিত্তি। সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রে অর্থ ও প্রতীকী প্রকাশের বিমূর্ত ব্যবস্থাই হচ্ছে ভাষা। বক্তব্য, লিখিত চরিত্র, সংখ্যা, প্রতীক এবং অমৌখিক যোগাযোগের ইশারা-ইঙ্গিত ভাষার অন্তর্ভুক্ত।
যে কথাটি বলতে যাচ্ছি, যা জুম্ম জাতির জনক এমএন লারমা বলেছেন- “আমাদের অহংকার করার কিছুই নেই।”
তবুও আমি আশাবাদি যে, বর্তমান প্রজন্ম ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে খুবই সচেনত। কাজেই, আমরা অজ নয় কাল অবশ্যই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করবো।