#
#
যখন আবু লাহাব নবীকে অভিশাপ দিচ্ছিল তখন নবী চুপ ছিলেন। স্বয়ং আল্লাহ বলেন,
" তাব্বাত ইয়াদা আবি লাহাবিউ ওয়া তাব্ব"
" ধ্বংস হোক আবু লাহাব ও তার দুই হাত"
যখন তারা বলল, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তো নির্বংশ (আবতার) তখন আল্লাহ জবাব পাঠালেন,
"ইন্না শা-নি আকা হুয়াল আবতার"
"নিশ্চয় তারাই নির্বংশ"
আল্লাহ কখনোই তার রাসূলকে নাম ধরে ডাকেন নি। ইয়া আয়্যুহান নাবী, ইয়া আয়্যুহার রসূল, ইয়াসীন, মুজাম্মিল সহ আরো অনেক পরোক্ষ নামে সম্বোধন করেছেন।
কোন মানুষের পক্ষে প্রিয় রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রকৃত মান-মর্যাদা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে নিয়ে যখনি কেউ কটুক্তি করেছেন স্বয়ং সৃষ্টি জগতের সকল ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তা-আলা তার জবাব নিজে দিয়েছেন। ভাবতে পারেন? মহান আল্লাহ তা-আলা স্বয়ং তাকে হুমকি দিয়েছেন।
শুধু সেই সময় নয়, শুধু এবার নয়, শুধু আপনার জীবনকালেই নয়, বরং আপনার মরে যাওয়ার পরও কেয়ামত পর্যন্ত যত হাজার কোটি বার কেউ রাসূল কে কটুক্তি করবে তত হাজার কোটি বার আমার রব স্বয়ং নিজে তাকে অভিশপ্ত করে দিবেন। কারন আল্লাহু ঘোষণা দিয়েছেন,
" হে রাসূল। নিঃশ্চই উপহাসকারীদের জন্য আপনার পক্ষ হতে আমি(আল্লাহ) যথেষ্ট।"
আল্লাহর রাসূলের মর্যাদা আল্লাহ হেফাযত করবেন। আপনি বা আমি তেমন কিছুই করার ক্ষমতা রাখি না। তবুও, যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় আমার অবদান কি ছিল সেদিন যেদিন আমার জীবদ্দশায় আল্লাহর রাসূলকে কটুক্তি করা হয়েছিল? তেমন বড় অবদান না হোক, বান্দা হিসাবে ছোট একটা অবদানের কথাও যদি সেদিন উপস্থাপন না করি তবে কি নিজেকে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মত বলে পরিচয় দিতে পারব?
আযানের মধ্যে লুকিয়ে আছে অলৌকিক গনিতের খেলা। আল্লাহর কসম এই আযানের এই তথ্যগুলো পড়ার পর আপনি বাকরুদ্ধ হবেন আর আল্লাহর উপর আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।........
১। আযানের ১ম শব্দ হল আল্লাহ এবং শেষ শব্দ ও হল আল্লাহ। এর মানে আল্লাহই শুরু এবং আল্লহই শেষ।
২। আযান শব্দটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট রয়েছে ৫ বার। আর আমাদের প্রতিদিন নামাজ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।
৩। আযানের মধ্যে সর্বমোট শব্দ হল ৫০ টি। আর আল্লাহ মিরাজের সময় হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে সর্বপ্রথম ৫০ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ দিয়েছিলেন। পরে তা কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করা হয়। আর সহীহ হাদিস বলে একজন ব্যাক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব দিবেন।
৪। আযানের মধ্যে সর্বমোট ১৭ টি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে। আর আমাদের প্রতিদিন ফরজ নামাজ হল ১৭ রাকাত। ফজর ২ + জোহর ৪ + আসর ৪ + মাগরিব ৩ + এশা ৪ মোট ১৭ রাকাত।
৫। আযানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাবহৃত শব্দ হল ( আল্লাহ) আল্লাহ শব্দের আলিফ অক্ষরটি সম্পূর্ণ আযানে আছে মোট ৪৭ বার, লাম অক্ষরটি ৪৫ বার এবং হা অক্ষরটি ২০ বার। সুতরাং ৪৭+ ৪৫ + ২০ = ১১২। আর পবিত্র কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা হল সূরা ইখলাস। যে সূরায় আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন।"
❤️💚বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।
১) ব্লাড প্রেসার।
২) ব্লাড সুগার।
🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷
১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা,
২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা,
৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা,
৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।
🔸পাঁচটি জিনিস খাবার থেকে যত পারুন এড়িয়ে চলুন।
১) লবন,
২) চিনি,
৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ।
৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার
৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।
🔸পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।
১) সব রকমের সবুজ শাক
২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি
৩) ফলমূল,
৪) বাদাম,
৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।
🔸মানসিক শান্তি বা সুখী হতে সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।
১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু,
২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার,
৩) সবসময় সুচিন্তা,
৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়,
৫) অল্পেতে খুশি হওয়ার চেষ্টা,
৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা,
৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।
🔸ছয়টি জিনিষের চর্চা রাখুন।
১) অহংকার না করা,
২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা,
৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা,
৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা ।কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত ।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন
🔸সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।
১) কর্য,
২) লোভ,
৩) আলস্য,
৪) ঘৃণা,
৫) সময়ের অপচয়,
৬) পরচর্চা,পরনিন্দা
৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি
🔸পাঁচটি জিনিষ কখনোই করবেন না।
১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া,
২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা,
৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া,
৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেওয়া,
৫) একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া,
সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হোন
“সুস্থ্য থাকুন - ভাল থাকুন - ভাল রাখুন”
#
#
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট এবং গোপন করা একটি ঘটনা।
♦"ভূষনছড়া গনহত্যা"♦
পার্বত্য এলাকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা। ১৯৮৪ সালের ৩১ শে মে তৎকালীন শান্তিবাহিনী’র নৃশংস গণহত্যার শিকার হন রাঙামাটির দুর্গম ভূষণছড়া এলাকার ৪০০ এর বেশি বাঙালি।
৩১ শে মে, ১৯৮৪ আনুমানিক ভোর ৪টা। তখন ছিলো রমজান মাস। রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার, ভূষণছড়া গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষ সেহরি খেয়ে ঘুমের প্রস্তুতি নিতেছে। কিন্তু তারা বুজতেও পারে নি তাদের সাথে ঘটতে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নিকৃষ্ট এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
রমজান মাস, সেহরি খেয়ে কেউ ঘুমিয়েছে বা ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই 'পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি' এবং এর সশস্ত্র সামরিক শাখা শান্তিবাহিনীর ১২৫-১৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আক্রমণ করে তাদের উপরে। আগ্নেয়াস্ত্র, বেয়নেট, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘর-বাড়িতে।ঘুমের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় অনেক পরিবার। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি।
ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে নারী-শিশুসহ সাড়ে চারশর বেশি নিরীহ বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। গর্ভবর্তী নারী,ছোট শিশু,বৃদ্ধ কাউকেই বাদ দেয় নি। শিশু, কিশোরী বা সদ্য বিবাহিত তরুণীদের করা হয় গণধর্ষণ, গর্ভবর্তী নারীদের পেট চাকু দিয়ে কেটে বাচ্চা বের করে দেওয়া হয়। সেইসাথে চলে মহিলাদের উপর অমানবিক নির্যাতন। সেদিন প্রায় ১২০-১৩০ জন শিশু, কিশোর-কিশোরী,মহিলাদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। পুরুষদের গুলি করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হয় আরও সহস্রাধিক।
দুই ধাপে চলে আক্রমণ। ভোর রাতে আক্রমণ শুরু করার পর সকালের সূর্য ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সকালে সূর্য ওঠার পর রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া মানুষজন ভাবে যে তারা এখন নিরাপদ। সন্ত্রাসীরা চলে গেছে এই ভেবে যখন বাড়িতে ফিরে আসে ঠিক তখনই তাদের উপর আবারও আক্রমণ করা হয়। এ সময়ই নিকৃষ্ট ও ভয়াবহ হয়ে ওঠে আক্রমণ কারিরা।
এই ঘটনায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় পুরো একটি জনপদ।১৬০০ টি পরিবারের মধ্যে তিন শতাধিক পরিবার সেদিন আক্রান্ত হয়।আক্রান্তদের মধ্যে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ১০০ টির বেশি পরিবার। এর ফলে অন্যান্য পরিবার গুলোও পালিয়ে যায়।
♦ কেন এই নৃশংসতা?
রাঙামাটি জেলার 'বরকল' উপজেলার একটা দূর্গম ইউনিয়নের নাম "ভূষনছড়া"। রাঙামাটি জেলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৫ কি.মি.। এই এলাকাটা এতই দূর্গম যে সড়ক পথে যোগাযোগর কোন উপায় নেই। পুরোটাই নদী কেন্দ্রিক। সত্তরের দশকের শেষদিকে জনসংখ্যার সুষম বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দরিদ্র এবং ভূমিহীন মানুষদের চট্টগ্রামের সরকারি খাস জমিতে পূর্নবার্সন করে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এবং এর সশস্ত্র সামরিক শাখা শান্তিবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের পূনবার্সন মেনে নেয় নি। এর জন্যই ঘটে এই নৃশংসতা।
♦ ঘটনার প্রতিক্রিয়া!
এত অল্প সময়ে এক সাথে এতজন মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যার ইতিহাস পৃথিবীতে খুব কমই আছে। কিন্তু এত বড় একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও তৎকালীন সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখে।এই ঘটনা প্রকাশ হলে সারাদেশে ব্যাপি আন্দোলন হবে এবং বাঙালিদের ভয়ে উপজাতিরা ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে এই অজুহাত দেখিয়ে তৎকালীন সরকার এই ঘটনাটাকে সম্পূর্ণ ধামাচাপা দিয়ে ফেলে। অথচ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ বাঙালিরা উপজাতিদের উপর আক্রমণ চালালে তা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে ফলাও করে প্রকাশ করা হয়।
♦ নেওয়া হয় নি কোন মামলাও
এতবড় একটা নৃশংস গনহত্যা হওয়ার পর ও শুধুমাত্র সরকারের নির্দেষের কারণে নেওয়া হয় নি কোন মামলা। বাঙালিরা বারবার চেষ্টা করার পরও 'বরকল' থানা কর্তৃপক্ষ
উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বলে মামলা না নিয়ে শুধুমাত্র একটা সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করে রাখে।এই ঘটনার পর তৎকালীন রাস্ট্র প্রধান 'হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ' নিহত এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসবন এর কথা বললেও ক্ষতিগ্রস্তরা কোন সহায়তাই পাই না। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ একর করে সরকারি খাস জমি এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় নি। মাত্র ৫ হাজার টাকা এবং ১ বস্তা করে চাল দেওয়া হয়। অনেকে সামান্য এই সাহায্যটুকুও পায় নি।
দীর্ঘ ৩৭ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই গনহত্যার কোন বিচার হয় নি।তৎকালীন সময়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনেই এ গনহত্যা স্বীকৃতি পায় নি। এই গনহত্যার সাথে জড়িত সকলেকে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে বিচার করা হোক এটাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর দাবী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র অনেক হয়েছে, প্রচুর রক্ত ঝড়েছে। সব সময়ই বলী হয়েছে সাধারণ নিরীহ মানুষ। শান্তি চুক্তির এত বছর পরও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসে নি।
সোর্সঃ ভূষণছড়া গণহত্যা - উইকিপিডিয়া
লেখা- #defres
#dtb