📌ইতিহাসে অমর হয়ে থাকা এক দুধ বিক্রেতার আখ্যান
উসমানী খেলাফতের পতন পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ তুরষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে ফরাসী বাহিনী ঢুকে পড়ে। তখন ওই অঞ্চলের সকল নারীই বোরকা পরিধান করতেন। একদিন যাত্রাপথে এক ফরাসী জেনারেল তেমন কিছু মহিলাকে হেটে যেতে দেখল, সে বলে উঠলোঃ
-তোমাদের রাষ্ট্রের পতন হয়েছে, এবং এখন তোমরা পাশ্চাত্যের শাসনাধীন, সুতারং তোমাদের হিজাব খুলে ফেল।
নারীরা এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করলে ওই জেনারেল সরাসরি তাদের গায়ে হাত দেয় হিজাব খুলে ফেলার নিমিত্তে।
কাছেই ইমাম সুতজু নামক এক তুর্কি মুসলিম দুধ বিক্রি করছিলেন। এই ঘটনা তার মুসলিম সত্ত্বায় আঘাত করে এবং তার মধ্যে নারীদের প্রতি ইসলামী সমাজের গয়রাত (সম্মানবোধ) নাড়া দিয়ে ওঠে। তাৎক্ষনিক তিনি ওই জেনারেলের খাপ থেকে বন্দুক টেনে নিয়ে চোখের পলকেই তাকে হত্যা করে জাহান্নামের দোর গোড়ায় পৌছে দেন।
এই ঘটনার পরপরই ওই অঞ্চল থেকে ফরাসী বিতাড়ন আন্দোলন দুর্বার গতি লাভ করে। জনপরিসরে মুক্তির নেশা দাবানলের মত জ্বলে ওঠে। এর ফলে ১৯২৩ সালে কাহারমান নামক ওই শহর ফরাসী দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে।
এখন ও ওইসব অঞ্চলের মাদরাসাগুলোতে এই বীরোচিত উপাখ্যানের গল্প পড়ানো হয়।
মুসলিম পোর্ট
